Logo
Logo
×

সংবাদ

সব বিদ্যুৎকেন্দ্র একযোগে নানা সংকটে

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৭ জুন ২০২৪, ০৯:৪৬ এএম

সব বিদ্যুৎকেন্দ্র একযোগে নানা সংকটে

পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র

দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র পায়রা। এর একটি ইউনিট পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে, যেখানে উৎপাদন হতো ৬২২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। 

এরপর রামপাল কেন্দ্রে যেখানে ১২৩৪ মেগাওয়াট উৎপাদন হত সেখানে উৎপাদন হচ্ছে ৮০০ থেকে ৮১০ মেগাওয়াট।

সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ আসে আদানি পাওয়ারের গড্ডা কেন্দ্র থেকে। দুই দিন ধরে সেখানে ১৪৯৬ মেগাওয়াটের জায়গায় উৎপাদন হচ্ছে ৩৭০-৩৭৫ মেগাওয়াট। কারণ সেখানে দুটি ইউনিটের মধ্যে একটি পুরোপুরি বন্ধ। আর অন্য ইউনিটেও উৎপাদন হচ্ছে আংশিক।

কয়লাভিত্তিক এসব কেন্দ্র মেরামত-সংস্কারের কাজ চলছে। এছাড়া, শেয়ার বিজের খবর অনুযায়ী, গ্যাস সংকটে দেশের ২৩টি বিদ্যুৎকেন্দ্র পুরোপুরি বা আংশিক বন্ধ রয়েছে।

দেশের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোয় গ্যাসের চাহিদা দৈনিক প্রায় ২৩২ কোটি ঘনফুট। গত ২৪ জুন সেখানে গ্যাস সরবরাহ করা হয় মাত্র ১০০ কোটি ঘনফুট। ২৫ জুন তা আরও কমে যায়।

অন্যদিকে সামিটের ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল মেরামত-সংস্কারের জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়েছে। ফলে গ্যাস সরবরাহ হ্রাস পেয়েছে, যার প্রভাব পড়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদনে।

বিদ্যুতের অভাবে গ্রামাঞ্চল প্রায় অন্ধকারে রয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৪-৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে। একই পরিস্থিতি কারখানাগুলোয়। এমনকি ব্যাটারিচালিত যানবাহনগুলোও বিপাকে পড়েছে।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) তথ্যানুযায়ী, ২৫ জুন রাত ১২টায় লোডশেডিং আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। এ সময় লোডশেডিং হয়েছে ২২৮৫ মেগাওয়াট।

হঠাৎ করে এতগুলো সমস্যা-সংকট একযোগে কেন হাজির হল সে বিষয়ে পিডিবি কথা বলতে রাজি হয়নি। তবে নাম না প্রকাশের শর্তে একজন কর্মকর্তার বরাতে শেয়ার বিজ বলছে, সামিটের এলএনজি টার্মিনাল মেরামত-সংস্কারের জন্য সিঙ্গাপুর পাঠানোর কথা আগেই জানিয়েছিল পেট্রোবাংলা। অন্য সমস্যাগুলোর কারণে পরিস্থিতি এলোমেলো হয়ে গেছে।

Logo

প্রধান কার্যালয়: ৬০৯০ ডাউসন বুলেভার্ড, নরক্রস, জর্জিয়া, যুক্তরাষ্ট্র।

ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন