সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের মানুষে মানুষে সাদৃশ্য ও ভিন্নতা অধ্যায়ে ‘শরীফার গল্প’ নিয়ে সারাদেশে তোলপাড় শুরু হয়েছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় পাঠ্যবইয়ে শরীফার গল্প বাদ দিয়ে সেই জায়গায় হিজড়াদের গল্প যুক্ত করার কথা জানিয়েছে। এর মধ্যে নবম শ্রেণির 'জীবন ও জীবিকা’ বইয়ে অন্য দেশের অন্তর্বাস বিক্রির একটি ওয়েবসাইটের ঠিকানাযুক্ত কিউআর কোড সংযুক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

জীবন ও জীবিকা বইটি রচনা ও সম্পাদনা করেছেন মো. মুরশীদ আকতার, মোসাম্মৎ খাদিজা ইয়াসমিন, হাসান তারেক খাঁন, মোহাম্মদ কবীর হোসেন, মো. সিফাতুল ইসলাম, মো. রুহুল আমিন, মো. তৌহিদুর রহমান, মো. মুস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ আবুল খায়ের ভূঁঞা। বইটির শিল্পনির্দেশনা মঞ্জুর আহমদ, চিত্রণ সুবীর মন্ডল, প্রচ্ছদ পরিকল্পনা মঞ্জুর আহমদ, প্রচ্ছদ প্রথমেশ দাশ পুলক, গ্রাফিক্স নূর-ই-ইলাহী ও কে. এম. ইউসুফ আলী।  

খা যায়, বইটির ৩৮ নম্বর পেজে ‘ধাপ-৬: ব্যবসার ব্র্যান্ডিং, মার্কেটিং বা বিপণন পরিকল্পনা’ নামক অধ্যায়ে উদ্যোক্তা হিসেবে যাত্রার জন্য কীভাবে ব্যবসায় শুরু করতে সেটি উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এই পেজে ‘চিত্র ২.১: বিভিন্ন মাধ্যমে পণ্যের বিজ্ঞাপনের নমুনার চিত্র তুলে ধরে সেখানে নিত্যদিন স্টোরের একটি ছবি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সেখানে ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, গুগল প্লাস, ভাইবার, লিংকডইন এবং পিনটারেস্টের লোগো দেওয়া হয়েছে। 

এই লোগো এবং নিত্যদিন স্টোরের মাঝখানে একটি কিউআর কোড সংযুক্ত করা হয়েছে। ওই কিউআর কোড স্ক্যান করলে ট্রাক্স (Trucss) নামক পর্তুগিজ একটি নারীদের অন্তর্বাস বিক্রির ওয়েবসাইটে নিয়ে যাচ্ছে। তবে প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে ওয়েবসাইটটি আর পুরো খুলছে না।

এখন অনেকেই প্রশ্ন করছেন, নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীর বইয়ে এ ধরনের অন্তর্বাস বিক্রির বিদেশি ওয়েবসাইটের কোড কেন দেওয়া হয়েছে?

এ বিষয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান ড. ফরহাদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, বিষয়টি আমাদেরও নজরে এসেছে। যেহেতু বইয়ে কিউআর কোডটি বসানো হয়েছে, তাই আর সংশোধন করার সুযোগ নেই। বই প্রস্তুত করার সময় কিউআর কোডটি সার্চ করে খেলাধুলার পোশাক সামগ্রীর ছবি পাওয়া যেত। কিন্তু এখন খেলাধুলার পোশাকের পরিবর্তে অন্যকিছু আসছে। আগামী বছর থেকে আমরা একটি ফলস কিউআর কোড তৈরি করে বইয়ে সংযোজন করব।