Logo
Logo
×

সংবাদ

ব্যাংক ও বিকাশে চিনি চোরাচালানের টাকা নেন ছাত্রলীগ নেতা সুমন

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৪, ০৬:৪৪ পিএম

ব্যাংক ও বিকাশে চিনি চোরাচালানের টাকা নেন ছাত্রলীগ নেতা সুমন

মো. আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমন

ভারতীয় অবৈধ চিনিতে সয়লব হয়ে গেছে কিশোরগঞ্জে। চোরাচালানের মাধ্যমে আসা এসব চিনি ব্যবসায় জড়িত জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমন। তার নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ করছে বলে অভিযোগ। সিন্ডিকেটে তার ঘনিষ্ঠজন লোকজন ও নেতা-কর্মীরা রয়েছেন বলে তথ্য মিলেছে। 

চোরাচালানে ভারত থেকে আসা চিনির ট্রাক ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পাহারা দিয়ে নিরাপদে বিভিন্ন বাজারে পৌঁছে দেন। এ জন্য সুমন ট্রাকপ্রতি ১০ হাজার টাকা নেন। এ টাকা তিনি নিজের ব্যাংক হিসাব ও বিকাশের মাধ্যমে নেন বলেও প্রমাণ মিলেছে। টাকা নেওয়ার প্রমাণ হিসেবে হোয়াটসঅ্যাপ-মেসেঞ্জারের স্ক্রিন শট শনিবার রাত থেকে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে জেলাজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। 

একটি চিনির ট্রাক পুলিশ জব্দ করার পর বিষয়টি সামনে আসে। শুক্রবার সদর উপজেলার নগুয়া বগাদিয়া তালতলা এলাকায় ট্রাক জব্দ করার পর চালক রাতুল ও হেলপার রাজিবকে আটকও করে পুলিশ। পরে সদর থানায় এসআই মো. মারুফ কামাল আটক দুইজনসহ জনি নামে একজন ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি আল জুবায়েদ খান নিয়াজের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৫-৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। এতে ক্ষিপ্ত হন আল-জুবায়েদ খান নিয়াজ। তার লোকজন ফেসবুকে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমন জড়িত দাবি করে নানা রকমের পোস্ট দেন। 

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা জানিয়েছেন, জেলার ৬-৭টি রুট দিয়ে চোরাই পণ্য ঢুকছে। 

জেলা ছাত্রলীগের সাবেক গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক শাওন নিলয় ফেসবুকে এক পোস্টে লিখেছেন, ‘ আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমন ইদানীং ভারতীয় চিনি চোরাচালানের রমরমা বাণিজ্য করছেন। ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি চরম সংকটে।’

ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, আগে পুলিশকে ‘ম্যানেজ করে’ ভারতীয় চিনি জেলা শহরে আনা হতো। তখন খুব কম চিনি আসত। ছয় মাস ধরে ছাত্রলীগের কয়েকটি পক্ষ এ প্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্ত দিয়ে চিনির ট্রাক ভৈরব-কিশোরগঞ্জ সড়ক দিয়ে ছাত্রলীগের কিছু কর্মী মোটরসাইকেলের পাহারায় বিভিন্ন বাজারে নিয়ে আসে।

এ ব্যাপারে মো. আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমন বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে আমার বিরুদ্ধে এসব অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। ব্যাংক কিংবা বিকাশে আমি কোনো চিনি ব্যবসায়ী কিংবা চোরাকারবারির কাছ থেকে টাকা নিইনি। আমি চিনি চোরাকারবারি সিন্ডিকেটের সঙ্গে কোনোভাবেই যুক্ত নই।’ 

সদর থানার ওসি মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘চিনি চোরাচালানে যাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে, তাদেরই মামলায় আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া মামলার তদন্তে যদি আরো কোনো নাম পাওয়া যায় তাদেরও আসামি করা হবে। এখানে পুলিশ কারো দ্বারা প্রভাবিত হয়নি। আইন অনুযায়ী আমরা কাজ করছি।’

Logo

প্রধান কার্যালয়: ৬০৯০ ডাউসন বুলেভার্ড, নরক্রস, জর্জিয়া, যুক্তরাষ্ট্র।

ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন