ফরাসি দূতাবাসের বিরুদ্ধে দু’দফায় মায়ের ভিসা প্রত্যাখ্যানের অভিযোগ পিনাকীর
মায়ের সঙ্গে পিনাকী ভট্টাচার্য। ছবি: সংগৃহীত
প্যারিসে অবস্থানরত বাংলাদেশ সরকারবিরোধী অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও ব্লগার পিনাকী ভট্টাচার্য অভিযোগ করেছেন, ঢাকায় অবস্থিত ফ্রান্সের দূতাবাস তার ক্যান্সারে আক্রান্ত মায়ের ভিসা আবেদন দুই দফায় প্রত্যাখ্যান করেছিল। মাকে প্যারিসে নিয়ে যাওয়ার পর ছবি প্রকাশ করে তিনি এ অভিযোগ করেন।
সেখানে পিনাকী ভট্টাচার্য লেখেন, ‘আমার মা এসেছেন প্যারিসে। আমার সাথে ছয় বছর পরে দেখা হলো। মাঝে বাবা চলে গেলেন উনার সাথে দেখাই হলো না আর। মা ভিসা পাচ্ছিলেন না, দুই বছর ধরে। ওদের ধারণা, মা এসে আর বাংলাদেশে ফিরে যাবেন না। মায়ের ক্যান্সার ধরা পড়ে ২০১১ তে। বয়সও হয়েছে। মনে হচ্ছিলো, হয়তো আর দেখা হবে না।‘
তিনি আরো লেখেন, ‘শেষ পর্যন্ত আমার ফরাসী বন্ধুরা হাত লাগালেন। মা আসলেন। সবার কাছে যা ওয়ান টু এর ব্যাপার আমার জন্য সেটা হয়ে দাঁড়ায় যুদ্ধ। আমি ফ্রেঞ্চ রেসিডেন্ট। আমার একটা ফরাসী ক্যারিয়ার আছে। তাও আমার মায়ের ভিসা রিফিউজ করেছিলো ফরাসী দুতাবাস দুইবার।’
তিনি এই অভিযোগটা এমন সময় করলেন, যখন ফরাসি দূতাবাস বাংলাদেশ বিমানের জন্য চারটি উড়োজাহাজ বিক্রির মধ্যস্থতায় ব্যস্ত।
ফরাসি দূতাবাসের পক্ষ থেকে তার অভিযোগের বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।
বাংলাদেশে ‘ভারত খেদাও’ আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় তিনি বর্তমানে বহুল আলোচিত এবং জনপ্রিয় হয়ে উঠেন। সরকার বিরোধী অবস্থান ও সমালোচনার জন্য ৫৬ বছর বয়সী পিনাকী বাংলাদেশের বিরোধী জোটের কাছে একজন পরিচিত মুখ। তবে বাংলাদেশ সরকারের কাছে তিনি ‘সাইবার অপরাধী’ হিসেবে চিহ্নিত ।
পিনাকী একজন ব্লগার, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট এবং চিকিৎসক। তিনি বগুড়া জেলা স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শ্যামল ভট্টাচার্যের বড় ছেলে। চিকিৎসা বিদ্যায় পড়াশোনা করলেও বর্তমানে তিনি এ পেশায় যুক্ত নন।
পিনাকী একসময় বাম রাজনীতি করতেন। বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাস এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর তিনি ১৮টি গ্রন্থ রচনা করেছেন। বর্তমানে তিনি একজন জনপ্রিয় অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট, ফেসবুক, এক্সে (সাবেক টুইটারে) সক্রিয়ভাবে আলোচনা করেন। ফেসবুকে তার ১০ লক্ষাধিক অনুসারী রয়েছে। তিনি প্রায়ই বাংলাদেশের ইতিহাস, চলমান রাজনীতি, মানবাধিকার বিষয়াবলী এবং পার্শ্ববর্তী দেশের ইস্যু নিয়ে লেখালিখি ও ভিডিও বানিয়ে থাকেন।