অর্থ আত্মসাৎ : সাবেক কর কমিশনার ওয়াহিদার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
ওয়াহিদা রহমান। ছবি: সংগৃহীত
দেশের চার মোবাইল কোম্পানিকে ১৫২ কোটি টাকা সুদ ছাড়ের ঘটনায়ে হওয়া মামলায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক কমিশনার ওয়াহিদা রহমানের বিদেশ যাত্রায় ৬০ দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এই আদেশ দেন। শুনানিতে অংশ নেন দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর।
এর আগে গত ১১ জনু দুদক ওয়াহিদা রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করে। মামলায় ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে রাষ্ট্রের ১৫২ কোটি টাকা ক্ষতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৬ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত ১৬টি নথিতে দেশের শীর্ষস্থানীয় চারটি মোবাইল কোম্পানি গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক ও এয়ারটেলকে ১৫২ কোটিরও বেশি টাকা অপরিশোধিত সুদ মওকুফ করেন সাবেক কর কমিশনার ওয়াহিদা রহমান।
এর মধ্যে ছয়টি নথিতে গ্রামীণফোনের ৫৮ কোটি ৬৪ লাখ ৮৮ হাজার ৬৯৭ টাকা, সাতটি নথিতে বাংলালিংকের ৫৭ কোটি ৮৮ লাখ ৫৩ হাজার ৫১ টাকা, রবির ১৪ কোটি ৯৪ লাখ ১৬ হাজার ৬৮৮ টাকা ও এয়ারটেলের ২০ কোটি ৫৩ লাখ ৩০ হাজার ৯৫২ টাকা সুদ মওকুফ করেন তিনি।
এর মাধ্যমে ওয়াহিদা রহমান ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে সরকারের আর্থিক ক্ষতিসাধন করেন। তাই আত্মসাৎ দণ্ডবিধির ২১৮/৪০৯ ধারা ও ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
এদিকে, দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন আজ দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, ওয়াহিদার বিরুদ্ধে দেশের বেশ কয়েকটি সংস্থা তদন্ত কমিটি গঠন করে। সেসব তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
তিনি বলেন, সাবেক কর কমিশনার ওয়াহিদা রহমান একক নির্বাহী আদেশে অসৎ উদ্দেশ্যে চারটি প্রতিষ্ঠান থেকে সুদ আদায় না করে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি সাধন করেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার মামলা করে দুদক।
অনৈতিক সুবিধা গ্রহণের অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট চারটি মোবাইল কোম্পানির বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান দুদক সচিব।