র্যাবের পোশাক পরে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস ছিনিয়ে নিয়েছিলেন তারা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩ জুন ২০২৪, ০৯:২০ পিএম
র্যাব পরিচয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে শ্রমিকদের বেতন ও বোনাসের ১৯ লাখ টাকা ডাকাতির ঘটনায় মূলহোতা হামিম ইসলামসহ (৪৫) চক্রের ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক আ ন ম ইমরান খান এ তথ্য জানান।
গ্রেপ্তার অন্য চারজন হলেন মো. জিন্নাহ মিয়া (২৭), মো. আমিন হোসেন (৩০), মো. রুবেল ইসলাম (৩৩) ও মো. আশিকুর রহমান (৪২)। তাদের কাছ থেকে ডাকাতিতে ব্যবহৃত মাইক্রোবাস, দুটি খেলনা পিস্তল, দুটি র্যাব জ্যাকেট, দুটি র্যাবের ক্যাপ, একটি হ্যান্ডকাফ ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি এবং ছিনতাইকৃত ১ লাখ ৬১ হাজার ৯৭০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
আ ন ম ইমরান খান জানান, গত ৬ জুন বিকেলে গাজীপুরের শ্রীপুরে র্যাব পরিচয়ে একটি কারখানার তিন কর্মকর্তাকে অপহরণ ও শ্রমিকদের বেতন-বোনাসের ১৯ লাখ ৪৫ হাজার টাকা ছিনতাই করেন তারা। ওই ঘটনায় পরদিন কারখানা কর্তৃপক্ষ বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় মামলা করে। এরপর থেকে ঘটনায় জড়িতদের ধরতে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায়।
অভিযুক্তদের স্বীকারোক্তির বরাতে র্যাব জানায়, ঘটনার দিন বিকেলে সেলভো কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের তিন কর্মকর্তা ব্যাংক থেকে শ্রমিকদের বেতন, বোনাস ও পরিবহন খরচের জন্য ১৯ লাখ ৪৫ হাজার টাকা তুলে প্রাইভেটকারে কারখানায় যাচ্ছিলেন। গাড়িটি কারখানার ৩ নম্বর গেটের সামনে পৌঁছালে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা মাইক্রোবাস নিয়ে গতিরোধ করে। তারা র্যাবের জ্যাকেট পরে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে কারখানা কর্মকর্তাদের জোর করে মাইক্রোবাসে তোলে। গাড়িতে তুলে তাদের মারধর করা হয়। তাদের নিয়ে গাজীপুর-ময়মনসিংহ সড়কের বিভিন্ন স্থানে ঘুরপাক থাকে গাড়িটি। সন্ধ্যা ৬টার দিকে টাকা রেখে তিন কর্মকর্তাকে গাজীপুরের হোতাপাড়া এলাকায় নামিয়ে দিয়ে তারা আত্মগোপনে চলে যায়।
র্যাব জানায়, তারা একটি সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র। হামিম এই চক্রের প্রধান। এই চক্রে ১০-১২ জন সদস্য রয়েছে। তারা ৩-৪ বছর ধরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের ভুয়া সদস্য পরিচয়ে গাজীপুর, টঙ্গী, উত্তরাসহ বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতির কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল।