সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে নেপালে আটক সিয়াম হোসেনকে গত শুক্রবার ভারতের কাছে হস্তান্তর করা হয়। গতকাল শনিবার দুপুরে তাঁকে বারাসাতের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে তাকে ১৪ দিনের হেফাজতে চাইলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
জিজ্ঞাসাবাদে সিয়ামের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আজ রোববার ভারতের বাগজোলা খালে অভিযান চালিয়ে হাড়গোড় উদ্ধার করেছে সিআইডি।
এর আগে সকালে সিয়ামকে নিয়ে ভাঙড় এলাকায় যান সিআইডি কর্মকর্তারা। পরে বাগজোলা খালে ডুবুরি নামানো হয়। পরে সেখান থেকে উদ্ধার হয় হাড়গোড়। তবে, ওই হাড় এমপি আনারের কি না তা স্পষ্ট নয়। ফরেন্সিক পরীক্ষার পর তা জানা যাবে।
জানা গেছে, একটি ঝোপের পাশ থেকে হাড়গোড়গুলো উদ্ধার করা হয়। হাড়গুলো প্রাথমিকভাবে দেখে অনুমান করা হচ্ছে সেগুলো মানুষেরই।
উল্লেখ্য, ভারতের নিউ টাউনের অভিজাত আবাসনে সেপটিক ট্যাংক থেকে কিলো পাঁচেক ছোট ছোট মাংসের টুকরো উদ্ধার করেছিল সিআইডি। সেই মাংস কি আনোয়ারুলেরই, তা জানতে ফরেন্সিক পরীক্ষা করা হচ্ছে। এবার হাড়গুলোও ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে বলে সিআইসি সূত্রে জানা গেছে।
সিআইডি জানায়, উদ্ধার হওয়া মাংসের টুকরো বা হাড়ের ডিএনএ প্রোফাইল করতে আনারের মেয়েকে ভারতে নেওয়া হয়েছে। তিনি নমুনা দেবেন বিশেষজ্ঞদের।
সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ মে আনার খুনের পরে নিউ টাউনের অভিজাত আবাসন থেকে সংসদ সদস্যের দেহের অংশ ট্রলি স্যুটকেসে করে নিয়ে কৃষ্ণমাটিতে বাগজোলা খালে ফেলে দিয়েছিলেন সিয়াম। সাথে ছিলেন খুনের মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত জিহাদ হাওলাদার। জিহাদকে আগেই গ্রেপ্তার করেছিল সিআইডি। খালে দেহ ফেলে আবার নিউ টাউনের অভিজাত আবাসনেই সিয়াম ফিরে এসেছিলেন বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। গত ১৬ মে বিহার হয়ে নেপালে পালিয়ে যান সিয়াম।