ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনের ঘটনা
মিনিটে ৬০০ গুলি করা যায়, কনস্টেবল ছোড়েন ৩৮টি
রাজধানীর বারিধারায় ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে শনিবার দিবাগত গভীর রাতে পুলিশ সদস্যের গুলিতে হতাহতের ঘটনা ঘটে। নিহত হন আরেক পুলিশ সদস্য মনিরুল ইসলাম। যে বন্দুক দিয়ে গুলি করা হয় সেটি ছিল এসএমটি সাবমেশিনগান।
কর্মকর্তারা জানান, এটি দিয়ে মিনিটে ৬০০ রাউন্ড গুলি করা যায়। কূটনৈতিক জোনে দায়িত্ব পালনের জন্য কিছুদিন আগে ব্রাজিল থেকে এসব এসএমটি সাবমেশিনগান আনা হয়। সেই অস্ত্র দিয়ে ওই এলাকায় নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছিলেন পুলিশ সদস্যরা। কনস্টেবল কাওসার আলীর হাতেও এসএমটি সাবমেশিনগান ছিল। সহকর্মীকে লক্ষ্য করে তিনি সেই অস্ত্র দিয়ে ৩৮ রাউন্ড গুলি ছুড়েছেন।
এ ঘটনায় জাপান দূতাবাসের গাড়িচালক সাজ্জাদ হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। তিনি ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সাজ্জাদ হোসেনের শরীরে ৩ রাউন্ড গুলি লাগেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
খবর পেয়ে ওই রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুনসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ঘটনাস্থলে পাঠানো হয় ডিবির সোয়াট টিমকে। পরবর্তীতে কাওসারকে নিরস্ত্র করে থানায় নেওয়া হয়। কনস্টেবল মনিরুল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ কিছু গুলির খোসা এবং ২০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে।