গাঁটের ব্যথা, পেটের ব্যথা! গ্যাস্ট্রিক ও/বা ইউরিক অ্যাসিড নয় তো?
গাঁটের ব্যথা ও/বা পেটের ব্যথা হলে তার কারণ গ্যাস্ট্রিক ও/বা ইউরিক অ্যাসিড হতে পারে? খাবার হজমের সময় ইউরিক অ্যাসিড তৈরি হয়। এটা মূত্রের স্বাভাবিক উপাদান। মাত্রাতিরিক্ত প্রোটিন খেলে বা ওজন বাড়লে ইউরিক অ্যাসিড বাড়তে পারে। ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে গাঁটে গাঁটে ব্যথা হতে পারে। প্রস্রাবে সংক্রমণও হতে পারে।
সমস্যা প্রকট না হয়ে থাকলে এই টোটকাগুলো পরীক্ষা করে দেখুন:
লেবু
লেবুর ভিটামিন সি অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। খালি পেটে উষ্ণ গরম জলে লেবুর রস (১০ থেকে ২০ গ্রাম) মিশিয়ে খেলে উপকার হবে।
মধু
এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে খেয়ে দেখুন।
ধনে
ধনে ভেজা পানি। এই পানীয় ক্যালোরি পোড়াতে কাজ করে। ফলে বাড়তি মেদ জমতে পারে না। ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতেও উপকারী। তবে বিভিন্ন কারণে সবার ক্ষেত্রে কাজ না-ও করতে পারে।
এক গ্লাস পানিতে এক-দুই চামচ গোটা ধনে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে ছেঁকে পান করবেন।
মেথি
মেথি ভেজানো জল। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে। ওজন কমায়। মেথিতে আছে ভিটামিন কে, থায়ামিন, ফোলিক অ্যাসিড, রাইবোফ্লাভিন, নিয়াসিন, ভিটামিন ‘এ’ ও ‘বি ৬’। এছাড়া আছে কপার, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, আয়রন, সেলেনিয়াম, জিংক, ম্যাংগানিজ ও ম্যাগনেশিয়াম।
ওজন কমাতে, বাড়তি মেদ ঝরাতে, গাঁটের ব্যথা কমাতে, হজমক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে মেথি।
এক গ্লাস জলে এক চামচ মেথি সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে ছেঁকে পান করবেন।
(চিকিৎসা ব্যবস্থাপত্র/প্রেসক্রিপশন হিসেবে লেখা হয়নি এই প্রতিবেদন। অবস্থা গুরুতর হলে অবশ্যই চিকিৎসক দেখাবেন)।