Logo
Logo
×

সংবাদ

এমপি আনার হত্যা

হাড়-মাংস আলাদা করেছিলেন যারা

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ জুন ২০২৪, ০২:২৮ এএম

হাড়-মাংস আলাদা করেছিলেন যারা

এবার ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যা মামলায় তিন আসামির ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ৮ দিনের রিমান্ড শেষে আসামিদের শুক্রবার (৩১ মে) দুপুরে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের আরো ৮ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন ডিবি পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান। শুনানি শেষে আদালত তাদের ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আসামিরা হলেন সৈয়দ আমানুল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভূঁইয়া, ফয়সাল আলী সাজী ওরফে তানভীর ভূঁইয়া ও শিলাস্তি রহমান। 

রিমান্ড আবেদনে উল্লেখ করা হয়, এমপি আনার হত্যা করা ও লাশ থেকে হাড় মাংস আলাদা করার কাজে আসামি ফয়সাল, মোস্তাফিজ ও জিহাদ সরাসরি জড়িত ছিলেন। আর হাড় ও শরীরের অন্যান্য অংশ দূরে ফেলার কাজে সিয়ামসহ অজ্ঞাতনামা ২/১ জন জড়িত ছিলেন। রিমান্ড আবেদনে ডিবি পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার মাহফুজুর রহমান এসব কথা জানান। 

রিমান্ড আবেদনে আরো বলা হয়, আনার এমপির মরদেহের অনেকাংশ এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ঘটনায় জড়িত পলাতক মূল পরিকল্পনাকারী আকতারুজ্জামান শাহীন, সিয়াম, ফয়সাল ও মোস্তাফিজসহ অজ্ঞাতনামা অন্যান্য আসামিদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তাই মামলার মূল রহস্য উদ্ঘাটন ও অন্যান্য আসামিদের তথ্য সংগ্রহের স্বার্থে এ তিন আসামিকে আরো আটদিনের রিমান্ডে নিয়ে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, জিজ্ঞাসাবাদে এক নম্বর আসামি আমানুল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভূঁইয়া জানিয়েছেন, তিনি নিষিদ্ধ ঘোষিত পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির শীর্ষস্থানীয় নেতা। খুলনা, ঝিনাইদহ, যশোরসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলে দলের কার্যক্রম পরিচালনা করতেন তিনি। সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের সঙ্গে তার দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল।

ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী আকতারুজ্জামান শাহীনের সঙ্গে আনারের ব্যবসায়িক বিরোধ ছিল। তাই এক নম্বর আসামি শিমুল ভূঁইয়া ও পরিকল্পনাকারী আকতারুজ্জামান শাহীন দীর্ঘদিন ধরে আনারকে হত্যার পরিকল্পনা করে করছিলেন। আসামিরা গত জানুয়ারি ও মার্চ মাসে দুইবার এমপি আনারকে হত্যার পরিকল্পনা করে ব্যর্থ হয়। পরবর্তীতে আকতারুজ্জামান শাহীন ভারতের কলকাতার নিউটাউন অভিজাত এলাকায় গত ২৫ এপ্রিল একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেয়। পরিকল্পনা মোতাবেক ৩০ এপ্রিল শিমুল ভূঁইয়া ও শিলাস্তি রহমান বাংলাদেশ থেকে গিয়ে ওই ফ্ল্যাটে ওঠেন। আর অন্যান্য আসামিদের সঙ্গে বৈঠক করে ভিকটিমকে হত্যার দায়িত্ব দিয়ে ১০ মে বাংলাদেশে চলে আসে।

আরো বলা হয়, পরে আসামি শিমুল ভূঁইয়া ও শাহীনের পরামর্শ মোতাবেক ভিকটিমকে সুকৌশলে ব্যবসার কথা বলে ওই ফ্ল্যাটে দিয়ে যান। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী এক নম্বর আসামি অন্যান্য আসামিদের সহায়তায় ভিকটিমকে হত্যা করে। এরপর ভিকটিমের হাড় মাংস আলাদা করে এবং মাংসের ছোট ছোট টুকরো করে ওই ফ্ল্যাটের টয়লেটের কমোডে ফেলে দিয়ে ফ্লাশ করা হয়। আর হাড়সহ শরীরে অন্যান্য অংশ ট্রলিব্যাগে করে কলকাতার কৃষ্ণমাটি এলাকার জিরানগাছা বাগজোলা খালে ফেলে দেয় বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে। 

এক নম্বর আসামি শিমুল ভূঁইয়া জানান, ভিকটিমকে হত্যা করা ও লাশ থেকে হাড় মাংস আলাদা করার কাজে আসামি ফয়সাল, মোস্তাফিজ ও জিহাদ সরাসরি জড়িত ছিলেন৷ আর হাড় ও শরীরের অন্যান্য অংশ দূরে ফেলে দেওয়ার কাজে সিয়ামসহ অজ্ঞাতনামা ২/১ জন জড়িত ছিলেন।

Logo

প্রধান কার্যালয়: ৬০৯০ ডাউসন বুলেভার্ড, নরক্রস, জর্জিয়া, যুক্তরাষ্ট্র।

ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন