দেশ ছাড়ার আগে কয়েকটি ব্যাংক একাউন্ট থেকে প্রায় ১০০ কোটি টাকা সরিয়েছেন সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যরা। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার আদেশের আগেই বিভিন্ন ব্যাংকে থাকা ফিক্সড ডিপোজিট ভাঙেন তারা। ৪ মে’র আগেই তারা অ্যাকাউন্টগুলো থেকে টাকা সরিয়ে নেয়। দুর্নীতি দমন কমিশন -দুদক মাঠে নেমে এমনটি দেখতে পেয়েছে। দায়িত্বশীল একটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
বেনজীর আহমেদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৬ জুন তলব করেছে দুদক। তবে এর আগেই ৪ মে সপরিবারে দেশ ত্যাগ করেছেন বেনজীর আহমেদ। তার ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র বলছে, ৪ মে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনের একটি ফ্লাইটে তিন মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে সিঙ্গাপুর যান তিনি। স্ত্রী জীশান মির্জার চিকিৎসার কথা বলে তারা দেশ ত্যাগ করেছেন।
আরেকটি সূত্র জানায়, সিঙ্গাপুর হয়ে তারা দুবাই গেছেন। সেখানে তাদের একাধিক হোটেল, আবাসিক ভবনসহ বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা রয়েছে। বাংলাদেশের একাধিক আবাসন ব্যবসায়ীরও তাতে বিনিয়োগ আছে।
তবে বেনজীর আহমেদের মতো একজনের এভাবে অতি গোপনে দেশ ছাড়ার বিষয়টি কিছু প্রশ্নেরও জন্ম দিয়েছে। দেশ ছাড়ার ক্ষেত্রে প্রশাসনের বা সরকারের উপরের মহলের কারও কারও সহায়তা ও পরামর্শ তিনি পেয়েছেন বলে কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা ও আমলার সন্দেহ। তাদের ভাষ্য, ২৬ মে বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী ও তিন মেয়ের স্থাবর সম্পদ ক্রোকের আদেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে এ পাঁচজনের নামে থাকা ব্যাংক হিসাব এবং বিভিন্ন কোম্পানিতে তাদের নামে থাকা শেয়ার ফ্রিজ করার আদেশ দেওয়া হয়। কিন্তু ৪ মে’র আগেই তিনি সব সরিয়ে নিয়েছেন। আগে থেকে না জানলে এটি অসম্ভব।