উপজেলা নির্বাচন
সাংবাদিক যতক্ষণ ভোট পড়ে না ততক্ষণ
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার একটি কেন্দ্রের নাম তালতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। চারিদিকে ঝোপঝাড়-বাগান বেষ্টিত ছোট একটি মাঠ। সেটি আবার সুতুলি-বাশের বাউন্ডারি দেওয়া।
বেলা দেড়টার দিকে সাংবাদিকদের গাড়িটি যখন কেন্দ্রের পাশে থামলো তখন কেন্দ্রের দ্বিতীয় তলা থেকে হুড়মুড়িয়ে নেমে যেতে দেখা গেলো কিছু যুবককে। তৎপর দেখা গেলো মাঠের পাশের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার-পুলিশকেও। তারপর আধাঘণ্টা কেন্দ্রে অবস্থান করে চার সদস্যের ওই সাংবাদিক দলটি।
এই সময়ের মধ্যে কোনো ভোটারকে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেখা যায়নি। দুই তলার বারান্দায় প্রার্থীদের এজেন্টদের জটলা ছিল।
প্রিজাইডিং অফিসার ফোরকান আহমেদ বলেন, ভোটার না আসার ব্যর্থতা প্রার্থীদের। আমি আমার কেন্দ্র সঠিকভাবে পরিচালনা করছি। এই কেন্দ্রে জাতীয় নির্বাচনেও আমি প্রিজাইডিং অফিসার ছিলাম। সেসময় তো অনেক ভোটার ছিল। এখন নাই।
কেন্দ্রের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা বলেন, সকালের দিকে কিছু ভোটার ছিল। এখন দুপুরের খাবার সময়। বিকেলে হয়তো ভোটার আসবে।
এরই মধ্যে খাবার চলে আসে। আনারস প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষের পোলিং এজেন্টদের তত্ত্বাবধানে প্যাকেট বিরিয়ানি নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের হাতে পৌঁছে দিতে দেখা যায়। এ সময় অঘোষিতভাবে স্থগিত হয়ে যায় ভোট গ্রহণ কার্যক্রম।
সাংবাদিকদের ওই দলটি কেন্দ্রটিতে প্রায় ঘণ্টা খানেক অবস্থান করে। সে সময়ের মধ্যে একটি ইজিবাইকে করে দুজন ও হেঁটে দুজন নারী ভোটারকে কেন্দ্রে আসতে দেখা যায়।
এর আগে সাংবাদিকদের ওই দলটি ছোটনা মডেল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গেলে সেখানেও একই পরিস্থিতি দেখা যায়। ভোটার নেই। তবে সেখানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগে এক ছাত্রলীগ কর্মীকে আটক করলে পরিস্থিতি কিছুটা অস্বাভাবিক হয়ে ওঠে। তাকে ঘিরে একটা জটলা সৃষ্টি হয়।
বেলা ২টা পর্যন্ত ওই কেন্দ্রে ২ হাজার ৫২৪ ভোটের মধ্যে ৫৬০ ভোট পড়েছিল।