Logo
Logo
×

সংবাদ

এনডিটিভির প্রতিবেদন

নারীসহ ওই ফ্ল্যাটে যান এমপি আনার

ডেস্ক রিপোর্ট

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ২৫ মে ২০২৪, ১২:৫৩ এএম

নারীসহ ওই ফ্ল্যাটে যান এমপি আনার

সন্দেহ করা হচ্ছে শিলাস্তি রহমান (ডানে) নামের এই তরুণীর সঙ্গে ওই ফ্ল্যাটে প্রবেশ করেন এমপি আনার। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের কলকাতার নিউ টাউনে গত ১৪ মে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার। এখন তার হত্যা রহস্যের জট খুলতে শুরু করেছে। এরমধ্যে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি শুক্রবার (২৪ মে) জানিয়েছে, এমপি আনারকে হত্যা করা হয় নিউ টাউনের একটি ফ্ল্যাটে। নিউ টাউনের ওই বাড়ি থেকে পাওয়া সিসিটিভির একটি ফুটেজে দেখা গেছে, এমপি আনার নারীসহ ওই ফ্ল্যাটে প্রবেশ করেন। এরপর সেখানে তাকে হত্যা করে, মরদেহ টুকরো টুকরো করে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেওয়া হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, তারা এখন হানি ট্র্যাপের বিষয়ে তদন্ত করছে। হানি ট্র্যাপের মাধ্যমে মূলত নারীদের ব্যবহার করা হয়। তারা নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে টার্গেট করেন এবং লোভনীয় প্রস্তাব দিয়ে বিপদে ফেলেন।

সিসিটিভিতে যে নারীকে দেখা যাচ্ছে সেটি শিলাস্তি রহমান ওরফে সিনথিয়া রহমান বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে শিলাস্তিকে আটক করেছে পুলিশ।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত খবরের খণ্ডচিত্র। 

ঢাকা থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কলকাতার এক পুলিশ সদস্য এনডিটিভিকে বলেছেন, তদন্ত ইঙ্গিত করছে এমপি আনার হানি ট্র্যাপের ফাঁদে পড়েছিলেন। মনে হচ্ছে ওই নারীর মাধ্যমে তাকে সেখানে নিয়ে আসা হয়েছে। আমরা সন্দেহ করছি ফ্ল্যাটে প্রবেশের পরই বাংলাদেশি এমপিকে হত্যা করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ১২ মে বাড়িতে চিকিৎসার কথা বলে কলকাতায় যান এমপি আনার। ওই সময় তিনি তার পুরোনো বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে উঠেন। তবে ১৪ মে তিনি নিখোঁজ হয়ে যান এবং তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

এদিকে আনারকে হত্যায় সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে জিহাদ হাওলাদার নামের এক অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে কলকাতা পুলিশ। পেশায় কসাই জিহাদ হত্যার পর আনারের মরদেহ টুকরো টুকরো করে সেগুলো শহরের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দেন। যেন কোনোদিন এমপি আনারের অস্তিত্ব খুঁজে না পাওয়া যায়। 

হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে আরও তথ্য খুঁজে বের করতে কসাই জিহাদকে ১২ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে কলকাতা পুলিশ। তবে ইতোমধ্যে পুলিশ জানিয়েছে, আক্তারুজ্জামান শাহীন নামের এক ব্যক্তি তাকে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন।

অন্যদিকে, আনার হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার তিন আসামির প্রত্যেককে ৮ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিলরুবা আফরোজ তিথির আদালত এ আদেশ দেন।

গ্রেপ্তাররা হলেন- কিলিং মিশনের প্রধান শিমুল ভূঁইয়া ওরফে আমানুল্লাহ আমান, তার সহযোগী তানভীর ভূঁইয়া এবং শিলাস্তি রহমান।

Logo

প্রধান কার্যালয়: ৬০৯০ ডাউসন বুলেভার্ড, নরক্রস, জর্জিয়া, যুক্তরাষ্ট্র।

ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন