শিলাস্তি রহমান। ছবি: সংগৃহীত
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার শিলাস্তি রহমানসহ তিনজনকে আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শুক্রবার (২৪ মে) আদালতে তোলার সময় ক্যামেরা দেখে মুখ লুকাতে থাকেন শিলাস্তি রহমান। পরে তাকে আদালতের ডকে তোলা হলে তিনি কাঁদতে থাকেন। শুনানির আগে শিলাস্তি রহমান বলেন, আমি কীভাবে আসামি হই, জিজ্ঞাসা করেন। আমি শুধু ওই বাসায় ছিলাম। তাছাড়া কিছুই জানি না।
রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া অন্য আসামিরা হলেন- শিমুল ভুইয়া ওরফে শিহাব ওরফে ফজল মোহাম্মদ ভুইয়া ওরফে আমানউল্লাহ সাঈদ ও তানভীর ভুইয়া।
জানা গেছে, এমপি আনার হত্যায় নাম আসা শিলাস্তি চেয়েছিলেন মডেল হতে। কিন্তু পুরান ঢাকার এই তরুণী বিত্তশালী আক্তারুজ্জামান শাহীনের খপ্পরে চলে যান অন্ধকার জগতে। মার্কিন পাসপোর্টধারী শাহীন দেশে এলেই ঘুরে বেড়াতেন তার সঙ্গে। বিভিন্ন পার্টিতে অংশ নিতেন শাহীনের ফ্ল্যাটে। কলকতায় এমপি আনার খুন হওয়ার পর মাস্টারমাইন্ড শাহীনের বান্ধবী হিসেবে নাম আসে এই শিলাস্তি রহমানের। আবার সেলে নিস্কি নামেও তিনি পরিচিতি।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ১৩ মে কলকাতায় এমপি আনার খুন করার পর ১৫ মে ঢাকায় চলে আসেন প্রধান কিলার আমানুল্লাহ ওরফে শিমুল ভূঁইয়া। তার সঙ্গে একই ফ্লাইটে ঢাকায় ফেরেন শিলাস্তি। বিমানবন্দর থেকে চলে যান বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় শাহীনের অভিজাত ফ্ল্যাটে। এমপিকে খুন করে সফল হওয়ায় ওই রাতেই শাহীন সেখানে ফুর্তি পার্টির আয়োজন করেন। সেখানে মনোরঞ্জন করেন এই শিলাস্তি। এর আগে ৩০ এপ্রিল শাহীনের সঙ্গে গিয়েছিলেন কলকাতায়। ১০ মে শাহীন দেশে ফিরলেও শিলাস্তি ছিলেন কলকাতাতেই।
সূত্র জানায়, শিলাস্তির গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের নাগরপুরে। তবে তিনি বড় হয়েছেন পুরান ঢাকায়। অবশ্য বিত্তশালীদের সঙ্গে সখ্য গড়ে ওঠার পর নিজেও থাকতেন শুরু করেন উত্তরার অভিজাত ফ্ল্যাটে।
সূত্র আরও জানায়, এই শিলাস্তিকে দিয়েই এমপি আনারকে কলকাতা নেওয়ার ফাঁদ পাততে পারেন খুনের মাস্টারমাইন্ড শাহীন। হয়তো ওই হানি ট্র্যাপেই পা দিয়ে নিজের জীবন দিয়েছেন এমপি আনার।