এমপি আনারকে শ্বাসরোধ করে হত্যা
'দেহের মাংস হাড় থেকে আলাদা করে রাখা হয় ফ্রিজে'
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যার পর খুনিরা তার দেহের মাংস হাড় থেকে আলাদা করে ফেলে। এরপর মাংসে হলুদের গুঁড়া ও মসলা মিশিয়ে ফ্রিজে রাখা হয়। পরে মাংস হিসেবে বাজারের ব্যাগে ভরে তা ট্রলিতে বাইরে নেওয়া হয়। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ও ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ।
ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ আরো জানান, বাংলাদেশেই এমপি আনোয়ারুল আজিম আনারকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। তাঁরা চেয়েছিল বাংলাদেশেই হত্যা করতে। কিন্তু পুলিশের তৎপরতার কারণে তাঁরা বিদেশে খুনের পরিকল্পনা করে। ফলে তিনজন মিলে কলকাতার এমন একটি পরিবেশে বাসা ভাড়া নেয়, যেখানে পরিবার থাকবে। আর এমপি আনোয়ারুল আজিম কলকাতায় কখন যাবে সেটা দেখে তাকে পরিকল্পনা মতো বাসায় নেবে।
হারুন বলেন, বাংলাদেশ থেকে তিন জন সেই বাসায় অবস্থান করে। আর বাকি এদেশেরই দুইজনকে ভারত থেকে ঠিক করা হয়। পরিকল্পনা অনুয়ায়ী আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যা করে মরদেহ টুকরো টুকরো করা হয়। মরদেহের হাড় ও মাংস আলাদা করে ব্রিফকেসে করে গুম করার চেষ্টা করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, তাঁরা আধাঘন্টার মধ্যে সব কাজ সম্পন্ন করে। হত্যার পর একজন এমপি আনারের মোবাইল ফোন নিয়ে বাইরে চলে যায়। আর লাশের হাড় থেকে মাংস বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। এরপর হাড়গুলো একটি ব্রিফকেসে করে বাইরে নিয়ে যায়। তারপর মাংসগুলো আলাদা করে নিয়ে যায়। এমনকি কেউ যেন সন্দেহ না করতে পারে তার জন্য মাংসের মধ্যে হলুদ লাগিয়ে নেয়।’
চিকিৎসার জন্য ১২ মে কলকাতায় গিয়েছিলেন আনোয়ারুল আজীম আনার। চলতি মাসের শুরুর দিকে তিনি কলকাতায় গিয়ে নিখোঁজ হন। গতকাল বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, আনার খুন হয়েছেন। তবে এখনো তাঁর মরদেহ উদ্ধার হয়নি।