বিশকেকে গিয়েছেন রাষ্ট্রদূত মনিরুল, দেশে ফিরতে চান শিক্ষার্থীরা
কূটনৈতিক প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১ মে ২০২৪, ০১:৫৮ এএম
কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেকে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। সেখানে আটকে পড়া শিক্ষার্থীরা দেশে ফিরতে চাইছেন। বিষয়টি দেখভাল করতে পাশের দেশ উজবেকিস্তান থেকে বিশকেকে গিয়েছেন রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম।
ডয়েচেভেলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘটনার সূত্রপাত গত ১৩ মে। এদিন কিরগিজস্তানের স্থানীয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় মিসর ও আরবের কয়েকটি দেশের শিক্ষার্থীদের। আহত হন কিরগিজস্তানের এক শিক্ষার্থী। এর জেরে গত ১৬ মে রাত থেকে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা শুরু করে স্থানীয়রা।
বিশেষ করে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানো হয়। পরে শিক্ষার্থীরা বাঁচার আকুতি জানাতে থাকেন। শুক্রবার রাতে এক ভারতীয় দূতাবাসে ফোন করে নিরাপত্তা ও সাহায্য চান।
সোমবার ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শিক্ষার্থীরা এখন সেখানে নিরাপদ। তাদের বিষয়ে সার্বিক খোঁজ খবর রাখা হচ্ছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানান, এখনও পর্যন্ত সেখানে বাংলাদেশি ছাত্রদের কোনো গুরুতর আহত বা হতাহতের খবর নেই। পাশের দেশ উজবেকিস্তানের তাসখন্দে অবস্থানরত আমাদের রাষ্ট্রদূতকে সেখানে যেতে বলা হয়েছে। তিনি স্থানীয় সময় বিকেলে বিশকেকে পৌঁছে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের খোঁজখবর নিতে ক্যাম্পাস ভিজিট করবেন এবং কিরগিজ পররাষ্ট্র ও অভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে যথাযথ পদক্ষেপ নেবেন। একজন শিক্ষার্থীর দেশে ফেরার জন্য খোলা চিঠি দেওয়া প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীরা এ ধরনের কোনো আবেদন করেননি। তবে রাষ্ট্রদূত সার্বিক বিষয় নিয়ে কাজ করবেন বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এছাড়া কিরগিজস্তানের ভারতীয় দূতাবাস এক্স বার্তায় জানায়, আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে। তবে এই মুহূর্তে শিক্ষার্থীদের বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি ও শিক্ষার্থীদের বলছি যেকোনো পরিস্থিতিতে দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে।
অন্যদিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফও এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের সহায়তায় যাবতীয় পদক্ষেপ নিতে দেশটির রাষ্ট্রদূতকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এক্স বার্তায় তিনি লেখেন, প্রয়োজনীয় সব সহায়তার জন্য আমি পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতকে নির্দেশ দিয়েছি। আমার অফিসও দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।