এডিপিতে বৈদেশিক ঋণ বাড়ছে ১৭ শতাংশ
নতুন বাজেটে পরিবহন ও বিদ্যুৎ খাতে সর্বাধিক গুরুত্ব
দেশে
চলমান অর্থনৈতিক চাপের কারণে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার বাড়াচ্ছে না সরকার। তবে
আগামী ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে
এডিপিতে বৈদেশিক
ঋণ ১৬ দশমিক ৭৬
শতাংশ বাড়ানো হয়েছে ।
চলতি
অর্থবছরে সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বৈদেশিক ঋণ ৮৩ হাজার
৫০০ কোটি টাকা। সে হিসাবে এডিপিতে
এক অর্থবছরের ব্যবধানে বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বাড়ছে ১৬ হাজার ৫০০
কোটি টাকা।
আসন্ন
অর্থবছরের এডিপিতে মোট বরাদ্দ থাকছে দুই লাখ ৬৫ হাজার কোটি
টাকা। গত অর্থবছরের তুলনায়
মাত্র দুই হাজার কোটি টাকা বেশি।
আজ বৃহস্পতিবার
(১৬ মে) পরিকল্পনা
মন্ত্রণালয়ের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) সভায় এ উন্নয়ন বাজেট
অনুমোদন দেওয়া হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মোট
বরাদ্দের বৈদেশিক ঋণ বা অনুদান
লক্ষ্য এক লাখ কোটি
টাকা। এবারও উন্নয়ন বাজেটে পরিবহন ও বিদ্যুৎ খাতকে
সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এ দুই খাতে
তুলনামূলক বেশি বরাদ্দ থাকছে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের এডিপি
প্রণয়নে গত ১৪ মার্চ
নির্দেশনা দেয় পরিকল্পনা কমিশন। সেই নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে সব বাস্তবায়নকারী মন্ত্রণালয়
ও বিভাগের কাছ থেকে এডিপির জন্য মোট দুই লাখ ৭৬ হাজার ৪০২
কোটি ৪৬ লাখ টাকার
প্রাথমিক চাহিদা আসে। এর মধ্যে সরকারি
অর্থায়ন এক লাখ ৮৫
হাজার কোটি টাকা আর প্রকল্প ঋণ-অনুদান ৯১ হাজার ১১
কোটি টাকা।
পরে
অর্থ বিভাগ থেকে পাঠানো নির্দেশনা অনুযায়ী দুই লাখ ৬৫ হাজার কোটি
টাকা নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে সরকারি
অর্থায়ন এক লাখ ৬৫
হাজার কোটি টাকা বা ৬২ দশমিক
২৬ শতাংশ। উন্নয়ন ব্যয় মেটাতে বৈদেশিক ঋণ-অনুদানের টার্গেট
এক লাখ কোটি টাকা বা ৩৭ দশমিক
৭৪ শতংশ।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে সংশোধিত
এডিপিতে বৈদেশিক ঋণ ছিল ৮৩
হাজার ৫০০ কোটি টাকা। সে হিসাবে এডিপিতে
এক অর্থবছরের ব্যবধানে বৈদেশিক ঋণ বাড়ছে ১৬
হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
সরকার
নতুন উন্নয়ন বাজেটে পরিবহন ও বিদ্যুৎ খাতে
সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। দেখা যাচ্ছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত
এডিপির আকার গত অর্থবছরের মূল
এডিপি অপেক্ষা দুই হাজার কোটি টাকা বা দশমিক ৭৬
শতাংশ বেশি এবং সংশোধিত এডিপি অপেক্ষা ২০ হাজার কোটি
টাকা বা ৮ দশমিক
১৬ শতাংশ বেশি।
নতুন
এডিপিতে ১৫টি খাতের আওতায় মোট ৫৭টি মন্ত্রণালয়-বিভাগের প্রকল্পসমূহের অনুকূলে মোট বরাদ্দ দুই লাখ ৫৮ হাজার ৬৭১
কোটি টাকা। এর মধ্যে জিওবি
এক লাখ ৬৪ হাজার কোটি
এবং প্রকল্প ঋণ অনুদান ৯৪
হাজার ৬৭১ কোটি টাকা।
এছাড়া
১০টি উন্নয়ন সহায়তা খাতে মোট বরাদ্দ ৯ হাজার ৯৫৮
কোটি টাকা। সায়ত্তশাসিত সংস্থা/করপোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পসমূহের অনুকূলে প্রস্তাবিত বরাদ্দ ১৩ হাজার ২৮৬
কোটি টাকা। তাদের নিজস্ব অর্থায়নসহ প্রস্তাবিত এডিপির মোট আকার দুই লাখ ৭৮ হাজার ২৮৬
কোটি টাকা।
নতুন
এডিপিতে বিদ্যুৎ ও পরিবহন খাতে
মোট বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে ৭০ হাজার ৬৮৭
কোটি টাকা, যা মোট এডিপির
২৮ দশমিক ৮৮ শতাংশ। দ্বিতীয়
সর্বোচ্চ বরাদ্দ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে,
৪০ হাজার ৭৫১ কোটি টাকা। শিক্ষা খাতে ৩১ হাজার ৫২৮
এবং স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে ২০ হাজার ৬৮২
কোটি টাকা।