Logo
Logo
×

অনুসন্ধান

নেত্র নিউজের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন

র‌্যাবের হেলিকপ্টার থেকে ছোড়া সাউন্ড গ্রেনেডে প্রাণ যায় স্কুলছাত্রের

ডেস্ক রিপোর্ট

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:২৩ এএম

র‌্যাবের হেলিকপ্টার থেকে ছোড়া সাউন্ড গ্রেনেডে প্রাণ যায় স্কুলছাত্রের

ছবি: নেত্র নিউজ

গত ১৯ জুলাই সন্ধ্যায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ১২ বছর বয়সী রাকিব হাসানের জীবনের হঠাৎই করুণ পরিণতি ঘটে। তার মরদেহ ঘটনাস্থলের কাছাকাছি একটি হাসপাতালে নিচ্ছিল একদল মানুষ। হাসপাতালে নেওয়ার একটি ভিডিও ধারণ করা হয়েছিল। ভিডিওতে দেখা যায়, তার মাথা থেকে রক্তক্ষরণ ঠেকাতে কেউ একজন আর্জেন্টিনার জার্সি দিয়ে বেঁধে দিয়েছিলেন। ওই সময় এক দর্শনার্থীকে চিৎকার দিয়ে আহাজারি করছিলেন ‘এক শিশু, এক শিশু’।

ঠিক ওই সময় ঘটনাস্থল থেকে আধা কিলোমিটারেরও কম দূরত্বে অবস্থিত এক ছাদ থেকে প্রত্যক্ষদর্শীরা একটি হেলিকপ্টারকে মাথার উপরে ঘুরতে দেখেন। তারা তার ভিডিও ধারণ করেছিলেন। হেলিকপ্টারটি থেকে বৃষ্টির মতো সাউন্ড (স্টান) গ্রেনেড ছোড়া হচ্ছিল। ওই সন্ধ্যার অন্ধকার ভেদ করে হেলিকপ্টার থেকে ছোড়া সেসব গ্রেনেড প্রচণ্ড শব্দের সঙ্গে বিদ্যুতের মতো ঝলকানি দিচ্ছিল। 

সংবাদমাধ্যম নেত্র নিউজের অনুসন্ধান অনুযায়ী, সেসব স্টান গ্রেনেডের একটি রাকিবকে সজোরে আঘাত করেছিল, যা তার মৃত্যুর কারণ হয়েছিল।

সামারিক বাহিনীর সদস্যদের আধিপত্য থাকা পুলিশের একটি বিশেষায়িত শাখা র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) হেলিকপ্টারটি পরিচালনা করছিল। ১৯ জুলাই মোহাম্মদপুরে জনসমাগম নিয়ন্ত্রণে স্টান গ্রেনেড ব্যবহারের কথা স্বীকারও করেছে র‌্যাব। যদিও তারা সেই গ্রেনেডে কারও মৃত্যুর বিষয়টি দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেছে। তবে রাকিবের পরিণতি থেকে বুঝা যায় জনতার ওপর স্টান গ্রেনেডের মতো ভারী বস্তুও কম মারাত্মক হতে পারে না।

জনসমাগমে এই ধরনের গ্রেনেড ব্যবহারের বিষয়ে গবেষণা করা— শান্তিতে নোবেল জয়ী একটি মানবাধিকার গোষ্ঠীর চিকিৎসরা বলছেন,বিক্ষোভ ঠেকানোতে স্টান গ্রেনেডের কোনো ভূমিকা নেই। হেলিকপ্টার বা ড্রোন থেকে গুলি চালানো বিশেষভাবে বিপজ্জনক হতে পারে।

নেত্র নিউজের অনুসন্ধানে,ঘটনার দিন ভিডিওগুলো ধারণের স্থান বিশ্লেষণ, হাসপাতাল, ফরেনসিক এবং পুলিশ নথি বিশ্লেষণের পাশাপাশি বিভিন্ন কর্মকর্তা, ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ, প্রত্যক্ষদর্শী এবং রাকিবের পরিবারের সদস্যদের সাক্ষাৎকারে রাকিবের মৃত্যুর সঙ্গে র‌্যাবের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি উঠে আসে। 

অনুসন্ধানে আরও দেখা যায়, প্রাথমিকভাবে স্থানীয় পুলিশ রাকিবের পরিবারকে এই হত্যাকাণ্ডের যেন বিচার না পায় সেই চেষ্টা করেছিল। তবে নতুন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর তারা এই ধরনের মৃত্যুর ঘটনাগুলো জবাবদিহিতার আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দিলে, পুলিশ তাদের মনোভাব পরিবর্তন করে। তারা এই মৃত্যুর দায় ক্ষমতা হারানো আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদদের উপর চাপায়। কিন্তু সেই রাজনীতিবিদদের মধ্যে অনেকেরই সেদিন র‌্যাবের কর্মকাণ্ডের ওপর খুব কম বা কোনো নিয়ন্ত্রণই ছিল না।

বাংলাদেশ পুলিশ এবং র‌্যাব—উভয়ই এই ডিভাইসগুলি ব্যাপকভাবে ব্যবহার করেছে। সরকারি নথিপত্রে ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ২২ হাজার স্টান গ্রেনেড সংগ্রহের বিষয়টি উঠে আসে। 

রাকিবের শেষ মুহূর্তগুলোর মেলবন্ধনে যা দাঁড়ায় 

নেত্র নিউজ রাকিবের জীবনের শেষ মুহূর্তগুলো মিলিয়ে দেখেছে। তার পরিবারের দেওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সেদিন সন্ধ্যা ৬:৩৮ মিনিটে রাকিব মাটিতে পড়ে আছে। তার মাথা থেকে রক্ত ঝরছে। নেত্র নিউজ ভিডিওটির জিওলোকেশন করে দেখেছে, সেটি মোহাম্মদপুরে তার বাসা থেকে মাত্র এক মিনিট হাঁটা দূরত্বের একটি স্থানের। 

নেত্র নিউজের যাচাইকৃত দ্বিতীয় ভিডিওতে দেখা যায়, দুই মিনিটের মধ্যে লোকজন দ্রুততার সঙ্গে তার লাশ প্রধান সড়কে নিয়ে যাচ্ছে। মিনিট খানেক পরে যাচাইকৃত তৃতীয় ভিডিওতে দেখা যায়,রাকিবকে চিকিৎসার জন্য নিতে একটি রিকশার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

প্রায় ১১ মিনিট পরে সন্ধ্যা ৬টা ৫২মিনিটে—রাকিবকে যেখানে প্রথম মাটিতে লুটিয়ে থাকতে দেখা যায় সেখান থেকে আধা কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটি অ্যাপার্টমেন্টে বসবাস করেন প্রত্যক্ষদর্শী সালমান নাঈম; তিনি একটি হেলিকপ্টার থেকে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে স্টান গ্রেনেড ছোড়ার ভিডিও ধারণ করেন। 

নাঈম নেত্র নিউজকে বলেন, হেলিকপ্টারটি সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে প্রথমে দেখা যায় এবং সন্ধা ৭টা পর্যন্ত সেটা থেকে সাউন্ড বোমা ছোড়া হচ্ছিল। কাকতালীয়ভাবে যা রাকিবকে আঘাত করার সময়ের সঙ্গে মিলে যায়। তিনি বলেন, এটি বারবার আকাশে চক্কর দিচ্ছিল এবং গুলি চালিয়ে যাচ্ছিল।

রাকিব নিহত হওয়ার সাত দিন পর ২৫ জুলাই র‌্যাব সেদিন (১৯ জুলাই) মোহাম্মদপুরে বিক্ষোভ চলাকালীন হেলিকপ্টার থেকে স্টান গ্রেনেড এবং কাঁদানে গ্যাস স্প্রে (টিয়ার গ্যাস ক্যানিস্টার) ছোড়ার কথা স্বীকার করে। তবে অন্য একাধিক মৃত্যুর দায় অস্বীকার করেছে।

এই ব্যাপারে কথা বলতে সংবাদমাধ্যমের জন্য দেওয়া র‌্যাবের ফোন নম্বরে কল করলেও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।

নেত্র নিউজ রাকিবের মৃত্যুর মেডিকেলের নথি পেয়েছে। সেখানে দেখা যায়, সেদিন সন্ধ্যা ৭টা ৫২ মিনিটে রাকিবকে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আর তার লাশ বহনকারী রিকশাটি ঘণ্টা খানেক পর চলতে শুরু করে। তার ভর্তি টিকিটে উল্লেখ করা হয়, রোগীর ‘মাথার আঘাত (গ্রেনেড বিস্ফোরণ) ছিল’।

৩০ মিনিটেরও কম সময় পর রাত সোয়া ৮টার দিকে ইলেক্ট্রোকার্ডিওগ্রাম পরীক্ষা করে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তার বাবা আবুল খায়ের ছেলের লাশ দাফনের জন্য তাৎক্ষণিক নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মৃত্যুর কারণ নির্ণয়ের জন্য রাকিবের মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য নিকটস্থ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নেওয়া হয়। 

রাকিবের পরিবারের কোনো আপত্তি না থাকলেও, বিচার বিভাগীয় বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অনুমোদনের লাগবে উল্লেখ করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নেত্র নিউজকে ময়নাতদন্তের অনুলিপি দিতে অস্বীকৃতি জানায়।

তবে ময়নাতদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক চিকিৎসকের হাতে লেখা নোট নেত্র নিউজ পেয়েছে। রাকিবের মরদেহের ফরেনসিক প্যাথলজিতে সংশ্লিষ্ট ছিলেন এমন একজন চিকিৎসকের সঙ্গে নেত্র নিউজ যোগাযোগ করলে তিনি নোটগুলির সত্যতা নিশ্চিত করেন। তবে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলায় অনুমোদন না থাকায় তিনি তার নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করেন। 

চিকিৎসকের ওই নোটে লেখা হয়েছে,‘গ্রেনেডের আঘাতের ফলে [...] মৃত্যু হয়েছে।’ আঘাতগুলি ’মৃত্যুর আগেই (অ্যান্টিমর্টেম) পেয়েছিল এবং তা হত্যাকাণ্ড (হোমিসাইডাল)।’

রাকিবের মামলা সংক্রান্ত মেডিকেল, নোট এবং তদন্তের নথি ।

মেডিকেল নথিতে আরও উল্লেখ করা হয়, রাকিবের মস্তিষ্ক ‘পুরোপুরি ক্ষতবিক্ষত’ ছিল, যার ফলে মাথায় গভীর ক্ষত ছিল। তার মাথার খুলির হাড় ভেঙে গিয়েছিল।

ফিজিশিয়ান্স ফর হিউম্যান রাইটসের (পিএইচআর) একজন বিশেষজ্ঞ বলেছেন, আঘাতের বর্ণনা থেকে বোঝা যায় স্টান গ্রেনেড ‘তার মাথায় পড়ে এমনটি হতে পারে।’

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে জননিরাপত্তা বিভাগের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে এমন একজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফরেনসিক বিজ্ঞানী নেত্র নিউজের পাওয়া ওই নোট এবং সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রগুলো পর্যালোচনা করেছেন। বর্ণনা দেখে তিনিও মত দেন, রাকিবের মাথার আঘাতের সঙ্গে উপরে থেকে মাথার খুলিতে কোনো ভোঁতা বস্তুর আঘাতের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

আলাদাভাবে পিএইচআরের সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসক রোহিনী হারও বলেছেন, ‘স্টান গ্রেনেডগুলি বিভিন্ন ধরনের আঘাতের কারণ হিসেবে পরিচিত। যেমন সরাসরি আঘাতের ফলে পুড়ে যাওয়া, বিস্ফোরণে আহত বা আঘাত।

ওই প্যাথলজিস্টের নোট আরও বলা হয়েছিল, রাকিবের শরীরে অন্য কোনো আঘাত ছিল না। 

হাসপাতাল থেকে রাকিবের মরদেহ পাঠানোর পর শেরেবাংলা নগর থানার তৈরি তদন্ত প্রতিবেদনের অনুলিপিও নেত্র নিউজ পেয়েছে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, কপালসহ বাহ্যিক অঙ্গগুলি স্বাভাবিক ছিল। যা চিকিৎসকের দেওয়া বর্ণনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ পর্যবেক্ষণ। যদিও প্রতিবেদনে মাথার আঘাতের বর্ণনা এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। শুধু বলা হয়েছে, ‘মাথাটি একটি সাদা ব্যান্ডেজে সম্পূর্ণভাবে ঢেকে ছিল।’

ন্যায়বিচার পাওয়া কঠিন

রাকিবের বাবা আবুল খায়ের নেত্র নিউজকে বলেছেন, পুলিশ সেই সময় তার ছেলের লাশ দেওয়ার আগে তাকে একটি বিবৃতিতে সই করতে বাধ্য করেছিল। যার মাধ্যমে ভবিষ্যতে এই হত্যাকাণ্ডে আইনি আশ্রয়ের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়।

খায়েরের স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমি এই শর্তে লাশ সংগ্রহ করছি যে ভবিষ্যতে আমি এই লাশের বিষয়ে কোনো আইনি আশ্রয় নেব না।’ বিবৃতিতে শফিক নামে পুলিশের একজন উপ-পরিদর্শকের (এসআই) কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। খায়ের জানান, এই শফিকই তাকে ওই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করেছিল।

শেখ হাসিনা প্রশাসনের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়ে ঢাকার থানাগুলোর পুলিশে ব্যাপক রদবদল করে। ফলে নেত্র নিউজ শফিকের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেনি বা তাকে খুঁজে বের করতে পারেনি। 

মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন নতুন সরকার রাকিবের মতো হত্যাকাণ্ডগুলোর বিচারের অঙ্গীকার করেছে। 

সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, রাকিবের এক চাচা তার মৃত্যুর বিষয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। নেত্র নিউজ সেই অভিযোগের একটি অনুলিপি হাতে পেয়েছে। তবে সেখানে র‌্যাবের স্টান গ্রেনেড ব্যবহারের কথা উল্লেখ করা হয়নি।

রাকিবের বাবাকে যে কাগজে স্বাক্ষরে বাধ্য করা হয়। 

বরং ভাসা ভাসা ভঙ্গিতে লেখা অভিযোগটিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার মতো শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে দলটির ওয়ার্ড পর্যায়ের কর্মী-সমর্থকদের এই মৃত্যুর জন্য দায়ী বলে অভিযুক্ত করা হয়৷ শুধু তাই নয়, সেটিতে কোনো প্রমাণ ছাড়াই গুলিতে রাকিব নিহত হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।

একজন বিশ্লেষক বলেছেন, সাধারণত পক্ষপাতদুষ্ট আইনজীবীদের মাধ্যমে এই ধরনের অভিযোগগুলি তৈরি হয়, যারা ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যদের বিনামূল্যে আইনি পরিষেবা দিয়ে থাকেন। 

তিনি আরও বলেন, প্রকৃত জবাবদিহিতা চাওয়ার পরিবর্তে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য দুঃখজনক ঘটনার মামলাকে কাজে লাগানোর প্রবণতা থাকে এসব আইনজীবীর। 

এই ধরনের দাবির বৈধতার ব্যাপারে পুলিশের তদন্ত করার কথা এবং প্রকৃত অপরাধীকেই অভিযুক্ত করার কথা। যদিও গত ১৭ অক্টোবর এই মামলায় সংশ্লিষ্ট হিসেবে ঢাকা উত্তরের সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা ব্যবসায়ী আতিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যদিও সেদিন র‌্যাবের কর্মকাণ্ডের উপর তার কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না এবং সংস্থাটির ওপর সরকারি কর্তৃত্বেরও অভাব ছিল।

পুলিশও হয়তো যারা ট্রিগার টেনেছিল তাদের চেয়ে বরং রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলকে অগ্রাধিকার দিতে পারে—এই গ্রেপ্তার তারই ইঙ্গিত দেয়।

Logo

প্রধান কার্যালয়: ৬০৯০ ডাউসন বুলেভার্ড, নরক্রস, জর্জিয়া, যুক্তরাষ্ট্র।

ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন