Logo
Logo
×

অনুসন্ধান

এস আলমের বাঁশখালীর “লাঠিয়াল” লিয়াকত আলী, তার স্ত্রী বিরুদ্ধে মামলা

মুক্তাদির রশীদ

মুক্তাদির রশীদ

প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:২০ পিএম

এস আলমের বাঁশখালীর “লাঠিয়াল” লিয়াকত আলী, তার স্ত্রী বিরুদ্ধে মামলা

২০২১ সালে এস আলমের মালিকানাধীন এসএস পাওয়ার প্ল্যান্ট পরিদর্শনের সময় সাইফুল আলম মাসুদের ডান পাশে বিএনপি নেতা লিয়াকত আলী (সাদা পাঞ্জাবি)

চট্টগ্রামের বিতর্কিত ব্যবসায়ী এস আলমের ঘনিষ্ঠ বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত বাঁশখালী উপজেলার সাবেক নেতা মোহাম্মদ মোহাম্মদ লেয়াকত আলী ও ও তার স্ত্রী জেসমিন আকতারের বিরুদ্ধে প্রায় তিন কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ আহরণে অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। লেয়াকত আলী বাঁশখালী উপজেলার গণ্ডামারা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এবং চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এবং চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক (বহিষ্কৃত) ।

২০১৬ সালে ৪ এপ্রিল লেয়াকত আলী ও তার সমর্থকরা এস আলমের মালিকানাধীন কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ করেন। পরে চার জন নিহত হয়। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে, পরে লেয়াকত আলী এস আলম গ্রুপের মালিক সাইফুল আলম মাসুদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করতে সহায়তা করেন। আর রাতারাতি হয়ে যান এস আলমের “লাঠিয়াল”।

এ বিষয়ে জানতে লেয়াকাতের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল মালেক সমন্বিত জেলা কার্যালয় (সজেকা), চট্টগ্রাম-২, কমিশনের অনুমোদনক্রমে এই এজাহার দায়ের করে। আব্দুল মালেক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

সেখানে তিনি লিখেন, জেসমিন আকতার (৩৮), স্বামী- মোহাম্মদ লেয়াকত আলী, বাসা/হোল্ডিং-চিশতিয়া মঞ্জিল, খামার পাড়া, গ্রাম-গন্ডামারা, ডাকঘর-বড়ঘোনা, থানা-বাঁশখালী, জেলা- চট্টগ্রাম, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর-১৫১০৮৩১৬২৩০১৩ কর্তৃক দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ১,০৬,২৬,২৬২/- টাকা সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রদান করেন এবং ২,৮৫,১৩,৬৬২/- টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জনপূর্বক ভোগ দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। 

এছাড়া আসামি (খ) মোহাম্মদ লেয়াকত আলী (৫১), চেয়ারম্যান, ৯নং গন্ডামারা ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা-বাঁশখালী, জেলা-চট্টগ্রাম, স্থায়ী ঠিকানাঃ পিতা-মোহাম্মদ দুদু মিয়া, বাসা/হোল্ডিং-চিশতিয়া মঞ্জিল, খামার পাড়া, গ্রাম-গন্ডামারা, ডাকঘর-বড়ঘোনা, থানা-বাঁশখালী, জেলা-চট্টগ্রাম, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর- ১৫১০৮৩১৬২২৯৩৯ কর্তৃক চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব কালীন অসাধু উপায়ে অর্জিত অর্থ দিয়ে তার স্ত্রী আসামি জেসমিন আকতার এর নামে সম্পদ অর্জনের সহযোগিতা করায় দন্ডবিধি'র ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায় যে, দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রধান কার্যালয়, ঢাকার মাপ: ই/আর নং-তদন্ত-২/ ২৪৫/২১/চট্টগ্রাম-২ সংক্রান্ত জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের প্রাথমিক অনুসন্ধানের ভিত্তিতে আসামি জেসমিন আকতারের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন প্রধান কার্যালয়, ঢাকা ১০.১২.২০২৩ সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশ জারীর নির্দেশ দেয়া হয়। তৎপ্রেক্ষিতে দুদক, সজেকা, চট্টগ্রাম-২  ১৪.১২.২০২৩ মূলে তার বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশ জারীর নির্দেশ প্রদান করা হয়। তিনি গত ৩১.১২.২০২৩ খ্রি : তারিখে উক্ত আদেশ গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে তিনি গত ২৫.০১.২০২৪ খ্রিঃ তারিখে সময় বৃদ্ধির আবেদন করেন। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে দুদক, সজেকা, চট্টগ্রাম-২ এর স্মারক নং-২১৬, তারিখ-২৫.০১.২০২৪ খ্রিঃ তারিখে পূর্বের ধারাবাহিকতায় ১৫ কার্যদিবস সময় বর্ধিত করা হয়। পরবর্তীতে তিনি গত ১৫.০২.২০২৪ খ্রিঃ তারিখে উপপরিচালক, দুদক, সজেকা, চট্টগ্রাম-২ এর নিকট সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। অর্থাৎ তিনি নিদিষ্ট সময়ে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেছেন। উক্ত সম্পদ বিবরণী যাচাইয়ের জন্য মপ:/তদন্ত-২/০৭৮/২০২৪/চট্টগ্রাম-২ ভুক্ত করে দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রধান কার্যালয় ঢাকার নথি নং-০০.০১.১৫০০.৬২৩.০৩.০৭৮.২৪/ চট্টগ্রাম-২/১২৭১৬, তারিখ-৩১.০৩.২০২৪ খ্রিঃ মূলে আমাকে যাচাই/অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়। তার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ২,৩৯,৭৫,০০০/- টাকার স্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য ঘোষণা দেন। দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে তার নামে ১৬টি দলিল মূলে ২,৬৫,৫৫,৮৭৯/- টাকার স্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে (২,৬৫,৫৫,৮৭৯-২,৩৯,৭৫,০০০) = ২৫,৮০,৮৭৯/- টাকার স্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রদান করেন। অর্থাৎ দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ২৫,৮০,৮৭৯/- টাকার স্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রদান করায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬ (২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

এছাড়া দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে কোনো অস্থাবর সম্পদ অর্জনের ঘোষণা দেননি। তার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণী যাচাই/অনুসন্ধানকালে তার নামে (১) একটি প্রাইভেট কার যার রেজিস্ট্রেশন নম্বর ঢাকা মেট্রো ঘ-১১- ০৩৬২ মূল্য- ১১,৮০,০০০/- টাকা, (২) বাংলাদেশ ব্যাংক চট্টগ্রাম হতে গত ২৯.০৬.২০২০ তারিখে রেজিস্ট্রেশন নং-২০২০ ০৩০৪২৫৯ মূলে মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয় ক্রয়- ৫,০০,০০০/- টাকা, (৩) বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, বাঁশখালী শাখা, চট্টগ্রামের হিসাব নং-৩২০৮-০৩১১০৭০০২৯ তে …

বৎসরের আয়কর রিটার্ন মোতাবেক- ৯,০০,০০০/- টাকাসহ মোট = (১১,৮০,০০০+৫,০০,০০০+১,৩৯,৯৪৬+১,০৪,৬১৫+ ৩৭,২৯৩+৫১,৮৩,০৮৮+৪৪১+৯,০০,০০০)=৮০,৪৫,৩৮৩/- টাকার অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। অর্থাৎ তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ৮০,৪৫, ৩৮৩/- টাকার অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রদান করেন। অর্থাৎ দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ২৫,৮০,৮৭৯/- টাকার স্থাবর সম্পদ ও ৮০,৪৫,৩৮৩/- টাকার অস্থাবর সম্পদসহ মোট (২৫,৮০,৮৭৯+৮০,৪৫,৩৮৩) = ১,০৬,২৬,২৬২/- টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রদান করায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬ (২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

অনুসন্ধানকালে প্রাপ্ত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায় আসামি জেসমিন আকতার (১) ব্যবসা হতে আয় ৬৬,৭৯,৩৩৩/- টাকা (২) কৃষি হতে আয় ৩৩,৯৭,১৯৭/- টাকা, (৩) ব্যাংক সুদ ৬,৪৪,৩৩১/- টাকা ও (৪) অন্যান্য হতে আয় ১৬,৭৩৯/- টাকাসহ তার নামে মোট (৬৬,৭৯,৩৩৩+৩৩,৯৭,১৯৭+৬,৪৪,৩৩১+১৬,৭৩৯) = ১,০৭,৩৭,৬০০/- টাকা আয় করেছেন। সংগৃহীত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় তার উক্ত আর গ্রহণযোগ্য মর্মে বিবেচনা করা হয়েছে। একই সময়ে তিনি পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয়সহ বাবদ মোট ৪৬,৫০,০০০/- টাকা ব্যয় করেছেন মর্মে তার আয়কর নথিতে প্রদর্শন করেছেন। যাচাই/অনুসন্ধানকালে সংগৃহীত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় তার উক্ত ব্যয় গ্রহণযোগ্য মর্মে বিবেচনা করা হয়েছে। 

দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীর দায়ের কলামে তিনি কোনো দায়ের তথ্য প্রদান করেননি। এছাড়া দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণী অনুসন্ধানকালে দায় বা ঋণ সংক্রান্ত কোনো রেকর্ডপত্র দাখিল বা উপস্থাপন করেননি। বিধায় তার নামে কোনো দায় নেই মর্মে প্রতীয়মান হয়।

অনুসন্ধানকালে সংগৃহীত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় আসামি জেসমিন আকতার এর নামে ৩,৪৬,০১,২৬২/- টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। একই সময়ে তিনি ৪৬,৫০,০০০/- টাকার পারিবারিক ব্যয়সহ অন্যান্য ব্যয় করেছেন। ব্যয়সহ তার মোট অর্জিত সম্পদের পরিমাণ (৩,৪৬,০১,২৬২+৪৬,৫০,০০০) = ৩,৯২,৫১,২৬২/- টাকা। উক্ত সম্পদ অর্জনের বিপরীতে তার বৈধ ও গ্রহণযোগ্য আয়ের উৎস পাওয়া যায় ১,০৭,৩৭,৬০০/- টাকার। এক্ষেত্রে তার অর্জিত সম্পদের চেয়ে তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ পাওয়া যায় (৩,৯২,৫১,২৬২- ১,০৭,৩৭,৬০০) = ২,৮৫,১৩,৬৬২/- টাকার। অর্থাৎ জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ২,৮৫,১৩,৬৬২/- টাকার সম্পদ অর্জনপূর্বক ভোগ দখলে রাখায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

তাছাড়া আসামি জেসমিন আকতার দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ২,৩৯,৭৫,০০০/- টাকার স্থাবর সম্পদ অর্জন এবং কোন অস্থাবর সম্পদ অর্জন করেননি মর্মে ঘোষণা দেন। তার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে তার নামে ৩,৪৬,০১,২৬২/- টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে (৩,৪৬,০১,২৬২-২,৩৯,৭৫,০০০) = ১,০৬,২৬,২৬২/- টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রদান করেন। অর্থাৎ আসামি দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ১,০৬,২৬,২৬২/- টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রদান এবং জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ২,৮৫,১৩,৬৬২/- টাকার সম্পদ অর্জনপূর্বক ভোগ দখলে রাখায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। 

এছাড়া আসামি জেসমিন আকতার এর নামে তার স্বামী আসামি মোহাম্মদ লেয়াকত আলী কর্তৃক চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বকালীন অসাধু উপায়ে অর্জিত অর্থ দিয়ে তার স্ত্রী জেসমিন আকতার এর নামে সম্পদ অর্জনের সহযোগিতা করায় দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় শান্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। তৎপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রধান কার্যালয়, ঢাকার স্মারক নং- ০০.০১.১৫০০.৬২৩.০৩. ০৭৮.২৪/চট্টগ্রাম-২ (অংশ)/৩২৩৫৫, তারিখ-১১.০৯.২০২৪ খ্রিঃ মূলে আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা রুজুর জন্য উপপরিচালক, দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ কে নির্দেশনা প্রদান করেন (কপি সংযুক্ত)। এর প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ এর স্মারক নং-১৯৩১, তারিখ-১৫.০৯.২০২৪ খ্রিঃ মূলে আসামিদের বিরুদ্ধে বর্ণিত ধারায় মামলা  রুজুর নির্দেশনা প্রদান করেন ।

Logo

প্রধান কার্যালয়: ৬০৯০ ডাউসন বুলেভার্ড, নরক্রস, জর্জিয়া, যুক্তরাষ্ট্র।

ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন