পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
স্বৈরাচারী সরকারের মদদপুষ্ট দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের দেশবিরোধী কর্মকাণ্ড (পর্ব-১)
ছবি: সংগৃহীত
গত ১৫ বছরের আওয়ামী শাসনের সময় দেশের প্রশাসনে যেমন আওয়ামীকরণ করা হয়েছে। তেমনিভাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তারাও আওয়ামী সরকারকে অন্ধভাবে সমর্থন দিয়ে গেছেন। বিনিময়ে নিয়েছেন আর্থিকসহ নানা সুবিধা। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও ফোরামে সরকারের বিরোধীদের নৃশংস দমনের স্বপক্ষে মিথ্য তথ্য প্রদান আর সরকারের স্বপক্ষে ইতিবাচক ভূমিকা তারা রেখেছেন। এমনকি ক্ষেত্র বিশেষে তাদের নেওয়া পদক্ষেপ দেশবিরোধী প্রতীয়মান হলেও তাতে তাদের কোনো ভ্রুক্ষেপ ছিল না। কারও কারও বিরুদ্ধে তো দেশবিরোধী তথ্য সরবরাহের সুস্পষ্ট অভিযোগও ছিল। তারপরও হাসিনা সরকার তাদের সমর্থন দিয়ে গেছে। সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করে গেছে।
৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পালানোর পরও এখনো তারা বিভিন্ন দূতাবাস ও আন্তর্জাতিক সংস্থায় কর্মরত আছেন। যা বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য হুমকি স্বরূপ। কারও কারও বিরুদ্ধে এখনো শেখ হাসিনার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার অভিযোগও উঠেছে। আবার খোদ পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বিরুদ্ধেই আওয়ামী সমর্থনপুষ্ট পররাষ্ট্র কর্মকর্তাদের পুনর্বাসনের অভিযোগ আছে। এমনকি তিনি নিজেও আওয়ামী লীগের স্বার্থ দেখছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাবেক দুই সচিব শহীদুল হক ও মাসুদ বিন মোমেন যে সিন্ডিকেট গড়েছিলেন তার ধারাবাহিকতা এখনো রয়ে গেছে। তাদের ভয়ে তটস্থ থাকতো সিন্ডিকেটের বাইরে থাকা অন্য কর্মকর্তারা। এখন আবার তারাই বিভিন্ন জায়গায় পোস্টিং পাচ্ছেন। তৈরি করছেন নিজস্ব বলয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতিবাজ ও সুবিধাভোগী এসব কর্মকর্তাদের দেশবিরোধী ও নিয়মনীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো ছিল নিয়মিত কাজ। হাসিনা সরকারের মদদপুষ্ট এসব দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের নিয়ে অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়েরের দুই পর্বের ধারাবাহিক আয়োজনে আজ পাঠকদের জন্য থাকছে প্রথম পর্ব।
১. রিয়ার অ্যাডমিরাল মো. খুরশেদ আলম
২০০৯ সালের ২২ মার্চ রাষ্ট্রপতির আদেশে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কমোডর (অব.) মো. খুরশেদ আলমকে তিন বছর মেয়াদে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের প্রধান (অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদায়) হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন মেয়াদে তার চুক্তি বাড়ানো হয় এবং কিছুদিনের মধ্যেই সচিব পদমর্যাদায় মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের প্রধান করা হয়। পাশাপাশি নিয়ম বহির্ভূতভাবে তাকে ভূতপূর্ব রিয়ার এডমিরাল পদে পদোন্নতিও দেওয়া হয়।
চুক্তির শর্ত অনুযায়ী তার নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ রাষ্ট্রপতি (এই ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির আদেশ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করছে) এবং তার কাজের অধিক্ষেত্র মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স। কিন্তু আগে কূটনীতির কোনো অভিজ্ঞতা না থাকলেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাকে বিভিন্ন সময় কূটনীতির বিভিন্ন সংবেদনশীল কাজে যুক্ত করা হয়। এ ক্ষেত্রে পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তার উপর অগাধ আস্থা ছিল বলে জানা যায়।
এছাড়া, আইন বিষয়ে কোনো ব্যাকগ্রাউন্ড না থাকলেও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সংবেদনশীল বিভাগীয় মামলার তদন্ত ও রায়ও তিনিই দিয়ে থাকেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইংয়ের (RAW) অনুপ্রবেশকারী হিসেবে খুরশেদ আলম পরিচিত। তিনি তার নৌবাহিনীর কর্মজীবনে ১৯৭৪ সালে ভারতীয় নেভাল একাডেমিতে ভারতীয় রাষ্ট্রপতির স্বর্ণপদকে ভূষিত হন।
নৌবাহিনী থেকে অবসর নেওয়ার পর তিনি ২০০৯ সালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটে চুক্তিভিত্তিক যোগ দেন এবং তখন থেকেই হাসিনা ও র-এর এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন।
চুক্তি ভিত্তিক চাকরিতে ১৫ বছর ধরে আছেন তিনি, যা খুবই বিরল ঘটনা। প্রশ্ন হলো কেন তিনি সেখানে? তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভেতরে এমন একটি সেল পরিচালনা করেছেন যাতে কেউ হাসিনা ও ভারতের স্বার্থ বিরুদ্ধে কূটনীতির সাহস না পায়।
তিনি সর্বদা একটি ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন যে তিনি হেগের PEACE PALACE e ‘বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে সমুদ্রসীমার সীমানা নির্ধারণ সংক্রান্ত বিরোধ’ এবং ‘বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বঙ্গোপসাগরের সমুদ্রসীমার সালিশ’ এ আইনি দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন।
সত্য হলো তিনি সর্বদা ভারতের পক্ষে নজরদারি করার জন্য সেখানে ছিলেন। প্রকৃতপক্ষে, হেগে বাংলাদেশের জয়ের পরও তার কারণেই বাংলাদেশকে সামুদ্রিক এলাকার ২৫ শতাংশ ছেড়ে দিতে হয়েছে।
তার পোস্ট ব্যবহার করে, সেন্ট্রাল ইন্ডিয়ান ওশান (IOCINDIO)-এর জন্য IOC আঞ্চলিক কমিটির চেয়ারপার্সন হিসেবে তার ভূমিকার সময় তিনি ভারতের জন্য একরকমের প্রক্সি দিয়েছিলেন।
চলতি বছরের ১ সেপ্টেম্বর পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে মাসুদ বিন মোমেনের চুক্তি বাতিল করলে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে শেখ হাসিনার আস্থাভাজন এই খুরশেদ আলমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কূটনীতির অভিজ্ঞতাহীন এই ব্যক্তিকে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে নিযুক্ত করা জনপ্রশাসনের প্রজ্ঞাপন তথা সরকারি আদেশের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় এই নিয়োগই অবৈধ।
ছাত্র-আন্দোলনের সময়ে তিনি সদ্য বিদায়কৃত পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে থেকে দেশে-বিদেশে এই আন্দোলনের নামে অপপ্রচার করে আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা করেছেন এবং স্বৈরাচার সরকারের গণহত্যার পক্ষে সাফাই গেয়েছেন। তাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাধারণ কর্মকর্তাসহ পররাষ্ট্রনীতি সম্পর্কে সম্যক ধারণা আছে এরকম মহল থেকে তাকে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে দায়িত্ব প্রদানের পর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। পাশাপাশি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংস্কার নিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের নির্লিপ্ততা নিয়েও প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
খুরশীদ আলম রাজনৈতিক নিয়োগ হিসেবে আওয়ামী লীগের এজেন্ট ছাড়া আর কিছুই নন। তার চুক্তি অবিলম্বে বাতিল করতে হবে, তার পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করতে হবে যাতে সে দেশ ছেড়ে যেতে না পারে। মেরিটাইম কূটনীতির নামে তিনি এ পর্যন্ত যে সমস্ত তহবিল পরিচালনা করেছেন তার জন্য একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত প্রয়োজন।
তিনি কীভাবে আমাদের প্রতিবেশী একটি দেশকে প্রায় ২৫ শতাংশ সামুদ্রিক ভূমি নিয়ে যেতে সাহায্য করেছিলেন যা নেদারল্যান্ডের স্থায়ী আদালতের আরবিটরেশন বাংলাদেশকে দেওয়া হয়েছিল তাও তদন্ত করা দরকার।
২. ফাইয়াজ মুর্শিদ কাজী
বিসিএস ২০ তম ব্যাচের কর্মকর্তা। বলা যায়, তার পদায়ন হয়েছে বুলেট ট্রেনের গতিতে। মাসুদ বিন মোমেন তার প্রধান সহযোদ্ধাদের পুনর্বাসনের পরই চলে যান। তিনি নিশ্চিত করেছেন যে ফাইয়াজকে থাইল্যান্ডে পোস্ট করা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা খুব শিগগিরই বিমসটেক (BIMSTEC) শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে ব্যাংককে যাবেন। তিনি, সেখানে আমাদের প্রধান উপদেষ্টার নিরাপত্তা ও নিরাপত্তার জন্য একরকমের ঝুঁকি।
সেনাবাহিনীতে কুখ্যাত মেজর জেনারেল জিয়ার মতোই, তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জিয়া। হাসিনা তার স্বেচ্ছাচারিতাকে ন্যায্যতা দেওয়ার জন্য আমাদের মিশনগুলো ব্যবহার করেছিলেন এমন সমস্ত নথি তার কাছে রয়েছে।
হাসিনার শাসনকে ন্যায্যতা দেওয়ার জন্য সমস্ত আইডিয়া তৈরির প্রধান ব্যক্তি এই ফাইয়াজ। জামায়াত নেতাদের বিচারিক হত্যাকাণ্ডের ন্যায্যতা দেওয়ার জন্য তিনি সমস্ত (ভুল) তথ্য প্রদানের প্রধান অভিনেতা ছিলেন। তিনি হাসিনার বিচারিক হত্যাকাণ্ড এবং হাসিনার অন্য সব অপশাসনকে ন্যায্যতা দেওয়ার জন্য তার অবস্থান ব্যবহার করেছিলেন।
নিঃসন্দেহে তিনি একজন মেধাবী অফিসার। তিনি ইতিপূর্বে উপদেষ্টা তৌহিদের সঙ্গে কাজ করেছেন এবং তার কাছে খুব প্রিয় ছিলেন। ফাইয়াজের মতো লোকেদের ছেড়ে দেওয়া কঠিন। তাই, পরের সব পররাষ্ট্র সচিব এবং মন্ত্রীরা তাকে হাসিনার শাসনকে ন্যায্যতা দেওয়ার জন্য মেমো এবং আইডিয়া লিখতে ব্যবহার করেছিলেন।
ফাইয়াজের নিয়োগ এত দ্রুত কেন? এমনকি মিনিস্ট্রি অব ফরেন অ্যাফেয়ার্সে (MOFA) তার সহকর্মীরাও তার চলে যাওয়ার পরই ব্যাংককে আমাদের মিশনে যোগদানের কথা জানতে পেরেছিলেন। আমাদের প্রাক্তন পররাষ্ট্র সচিব ছাড়া আর কেউই তার চলে যাওয়ার বিষয়ে অবগত ছিলেন না।
৩. রোকিবুল হক, দক্ষিণ এশিয়ার মহাপরিচালক
ইতালিতে তাকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদায়ন করেছেন; যেই আদেশ এখনও বলবত রয়েছে। তিনি আওয়ামী লীগ শাসনের প্রতি চরম আনুগত্যের জন্য পরিচিত ছিলেন। তিনি জাতীয় স্বার্থের চেয়ে ভারতের স্বার্থকে সবসময়ই প্রাধান্য দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ টি এম রোকেবুল হক দক্ষিণ এশিয়ার মহাপরিচালক ছিলেন এবং এমন কোনো জিনিস নেই যা তিনি আমাদের বড় প্রতিবেশীকে সুবিধা দেওয়ার জন্য অনুসরণ করেননি। দক্ষিণ এশিয়ার ডিজি হওয়ার আগে তিনি দিল্লিতে আমাদের দূতাবাসে রাজনৈতিক মন্ত্রী ছিলেন।
সুতরাং, এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে তিনি প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রদূত হিসেবে রোমে প্রাইজ পোস্টিংয়ে ভূষিত হয়েছেন। রোমে তৎক্ষণাৎ অতীতের রাষ্ট্রদূত ছিলেন মনিরুল ইসলাম। যিনি আরও তিনটি রাষ্ট্রদূত পদে চাকরি করার পর রোমে আসেন এবং রোম থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
ব্যাংককে ফাইয়াজের মতো, রোকিবকে রোমে উল্কা গতিতে পোস্ট করা হয়েছিল। তাকে অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত। কিন্তু তা করতে হবে যথাযথ কৌশলে এবং যথাযথ প্রটোকলের সাথে। তাকে অবিলম্বে ঢাকার সাথে পরামর্শ (Home consultation) করতে বলা উচিত এবং হাসিনার শাসনামলে বাংলাদেশ যে সমস্ত গোপন চুক্তি করেছিল সে সম্পর্কে তার কাছে থাকা সমস্ত নথিপত্র হস্তান্তর করতে বলা উচিত।
৪. সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক
সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক ১৯৮২ ব্যাচের পররাষ্ট্র ক্যাডারের কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি চাকরিতে যোগদানের প্রায় ৪-৫ বছর পর তৎকালীন সময়ে লিয়েনে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)-এ চাকরি নিয়ে বিদেশে চলে যান। তিনি যখন লিয়েনে যান, তখন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি প্রায় ১৫-১৬ বছর আইওএম-এ চাকরি করেন এবং আন্তর্জাতিক সংস্থায় তার চাকরি বিধিসম্মত না হওয়ায় ডেজার্টেশনের কারণে সরকার তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়। পরবর্তীতে দীর্ঘ সময় জেনেভায় আইওএম-এর কার্যালয়ে কর্মরত থাকার সময়, ২০১৪ সালের গোড়ার দিকে, চাকরি পুনরায় ফিরে পেতে আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে ধর্না দিতে শুরু করেন।
সে সময় বর্তমানে কানাডায় নবনিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার নাহিদা সোবহান এবং তার স্বামী, কাতারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নজরুল ইসলাম, শহীদুল হকের চাকরি ফেরত পাওয়ার বিষয়ে মধ্যস্থতা করেন।
জানা যায়, নাহিদা সোবহান ও তার স্বামী নজরুল ইসলাম বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন জেনেভায় দীর্ঘ ৯ বছর কর্মরত ছিলেন এবং শহীদুল হকের চাকরি ফেরত পেতে শেখ হাসিনার বিয়াই ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফের কাছে দালালি করেন। সে সময়ে দীপু মনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। নজরুল ইসলাম জেনেভা থেকে ফেরত এসে তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনির দপ্তরের পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত থাকায় তাদের দালালি করা সহজতর হয় এবং তারা সফল হয়।
২০১৪ সালের মাঝামাঝিতে শহীদুল হক ঢাকায় ফেরত আসেন এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগদানের বিষয়ে কার্যক্রম শুরু করেন। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বিয়াই ও তৎকালীন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ ও দীপু মনির সুপারিশে শহিদুল হককে নিয়মবহির্ভূতভাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগদান করতে দেন।
পরবর্তীতে ২০১৪ সালে মাত্র তিন মাসের মধ্যে তাকে সিনিয়র সহকারী সচিব থেকে পরিচালক (চলতি); পরিচালক (চলতি) থেকে পরিচালক; পরিচালক থেকে মহাপরিচালক (চলতি); মহাপরিচালক (চলতি) থেকে মহাপরিচালক; মহাপরিচালক থেকে অতিরিক্ত সচিব (চলতি); অতিরিক্ত সচিব (চলতি) থেকে অতিরিক্ত সচিব; এবং চূড়ান্তভাবে অতিরিক্ত সচিব থেকে মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ পদ পররাষ্ট্র সচিব পদে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে পদোন্নতি দেন।
বাংলাদেশসহ পৃথিবীর কোনো দেশেই এভাবে অবৈধভাবে সিভিল সার্ভিসে যোগদান ও মাত্র তিনমাসের মধ্যে শীর্ষ পদে সম্পূর্ণ নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে পদোন্নতির নজির নেই। এরপর তিনি দীর্ঘ সাত বছর পররাষ্ট্র সচিব থাকার সময় শেখ হাসিনা সরকারের গুম-খুন, অবৈধ নির্বাচন ও অন্যান্য অন্যায় ও অপরাধকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে বৈধতা গ্রহণের প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছেন। এছাড়া তার সাত বছর পররাষ্ট্র সচিবের দায়িত্বের সময় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সভা সেমিনার আয়োজনের নামে বাংলাদেশ সরকারের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন।
উল্লেখ্য, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে শুরু থেকে বাংলাদেশ সরকারের নীতিগত ব্যর্থতার জন্য তিনিই মূলত দায়ী বলে অনেকেই মনে করেন।
তার সময়ে রোহিঙ্গাসহ অন্যান্য বিভিন্ন বিষয়ে সভা সেমিনারে অংশগ্রহণের নামে বিদেশ ভ্রমণ করে সরকারের টাকা খরচ নিত্য-নৈমিত্তিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। শহিদুল হকের ৭ বছরের দায়িত্বের সময় মন্ত্রণালয়ে তার আস্থাভাজন কর্মকর্তাদের নিয়ে তিনি একটি গ্রুপ তৈরি করেন। এই গ্রুপের উল্লেখযোগ্য সদস্য হলেন- বর্তমান অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব রিয়াজ হামিদুল্লাহ, কানাডায় নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহান ও তার স্বামী কাতারে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত নজরুল ইসলাম, ব্রাজিলে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত সাদিয়া ফয়জুন্নেসা এবং মাদকাসক্ত ও ইন্দোনেশিয়া সরকার কর্তৃক অবাঞ্ছিত বর্তমান মহাপরিচালক (দক্ষিণ আমেরিকা) কাজী আনারকলি, তুরস্কে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও সাবেক রাষ্ট্রাচার প্রধান আমানুল হক, বর্তমান রাষ্ট্রাচার প্রধান নাইম উদ্দিন, ফ্লোরিডায় কন্সাল জেনারেল ও শহিদুল হকের সাবেক পরিচালক ও ক্ষমতার অপব্যবহারকারী ইকবাল আহমেদ, নিইউইয়র্কের স্থায়ী মিশনে মিনিস্টার পদে কর্মরত শাহানারা মনিকা, ক্যানবেরায় কাউন্সিলর তাহলিল দিলওয়াল মুন, নেপালে রাষ্ট্রদূত সালাহুদ্দিন নোমান চৌধুরী, সদ্য নিযুক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) নাজমুল হক, মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের প্রধান রিয়ার এডমিরাল খুরশিদ আলম এবং ইস্তানবুলে কন্সাল জেনারেল মোহাম্মদ নুর-এ-আলম, ইতালিতে সদ্য নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ও সাবেক মহাপরিচালক (দক্ষিণ এশিয়া) রোকিবুল হক, মহাপরিচালক (পশ্চিম ইউরোপ ও ইইউ) কাজী রাসেল পারভেজ এবং সদ্য দায়িত্ব হস্তান্তরকারী মহাপরিচালক (প্রশাসন) এবং যুক্তরাষ্ট্রে ওয়াশিংটনে ডেপুটি চিফ অব মিশন ডিএম সালাহউদ্দিন (শহিদুল হকের সময় ওআইসিতে কর্মরত) উল্লেখযোগ্য।
এখানে উল্লেখ্য যে, প্রাক্তন পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হকই বর্তমান পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনকে তার উত্তরসূরি হিসেবে নিযুক্ত হতে সহায়তা করেন। শহীদুল হকের ৭ বছরের সময়কালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাধারণ কর্মকর্তারা নিগৃহীত হয়েছে এবং ভয়ে তারা কথা বলতে পারতেন না। তাদের সাথে প্রায়শই দুর্ব্যবহার করা হত। ৭ বছর দায়িত্ব পালনের শেষের দিকে আইওএম-এর ডেপুটি মহাপরিচালক হিসেবে নির্বাচন করার জন্য পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনোনয়ন প্রদান করেন। এই নির্বাচনে জিততে তিনি সমগ্র রাষ্ট্রযন্ত্র ও রাষ্ট্রের কোটি-কোটি টাকা খরচ করেন।
উল্লেখ্য, আইওএমের এই পদ পেতে তিনি ঢাকায় আইওএম অফিসকে বিশেষ সুবিধা দেন। এছাড়া তিনি শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার ছেলে ববির বিদেশী স্ত্রী পেপিকে দালালি ও সুপারিশ করে আইওএম-এ চাকরি পাইয়ে দেন। শেখ রেহানা ও তার ছেলে ববির সাথে তার বিশেষ সখ্যতার বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের সকলেই জানে। স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের স্বৈরাচার পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হককে ৭ বছর দায়িত্ব পালন শেষে শেখ হাসিনা দিল্লিতে বঙ্গবন্ধু চেয়ার হিসেবে নিযুক্ত করেন এবং আজ পর্যন্ত তিনি ভারতের দালাল ও চর হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি দিল্লিস্থ নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক’ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। ভারতের পররাস্ট্রমন্ত্রী জয় শংকরের সুপারিশে নিয়োগ পেয়েছেন।
সম্প্রতি ছাত্র জনতার আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাধারণ কর্মকর্তারা শহীদুল হকের অবৈধ ও নজিরবিহীনভাবে চাকরি ফেরত পাওয়া এবং তিন মাসের মধ্যে সিনিয়র সহকারী সচিব থেকে পররাষ্ট্র সচিব পদে পদোন্নতি এবং সাত বছরের বিভিন্ন অন্যায় অবিচার এবং শেখ হাসিনার অবৈধ সরকারের গুম-খুনসহ বিভিন্ন বিষয়ে তার কূটনৈতিক তৎপরতাসহ উক্ত সময়ে শত শত কোটি টাকা খরচের তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছেন।
শহীদুল হক বর্তমানে ঢাকার বসুন্ধারাতে তার বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে বসবাস করছেন এবং নিয়মিত ভারতে যাতায়াত করছেন। জানা যায় তিনি গোপনে পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন।
৫. সাঈদা মুনা তাসনীম
লন্ডনে বাংলাদেশের হাই কমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম। তিনি যুক্তরাজ্য এবং কমনওয়েলথের মধ্যে আওয়ামী লীগ সরকারের একজন দৃঢ় সমর্থক হিসেবে পরিচিত। লন্ডনে শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা এবং তাদের পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখেন। অভিযোগ রয়েছে, তিনি লন্ডনে ভিন্ন মতামত পোষণকারীদের দমন করতে আইনগত পন্থা ব্যবহার করেছেন। এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে, তিনি লন্ডনের হাই কমিশনকে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে রূপান্তরিত করেছেন।
সাঈদা মুনা তাসনীম বিকৃত কূটনীতিকের আইকন। একজন মেধাবী অফিসার যিনি তার সমস্ত প্রতিভা ব্যবহার করেছেন একটি অত্যাচারী শাসনের জন্য, দেশের জন্য নয়। তিনি তারেক জিয়াকে বাংলাদেশের ভবিষ্যত নেতা হিসেবে অপদস্থ করার লক্ষ্যে এককভাবে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে অর্থায়নের জন্য মিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নিয়েছেন। তাকে যে গোপন তহবিল দেওয়া হয়েছিল সে সম্পর্কে একটি হিসাব নেওয়া জরুরি। ভবিষ্যতের সব কূটনীতিকের জন্য একটি উদাহরণ স্থাপন করতে হবে যে প্রতিভা যথেষ্ট নয়, সততা এবং দেশপ্রেম তাদের (কূটনীতিকদের) সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।
মুনার দৃঢ়তা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যেখানে তিনি হাসিনা মন্ত্রিসভার কয়েকজন সিনিয়র মন্ত্রীকেও পাত্তা দেননি। হাসিনার সরকার কীভাবে আমাদের দূতাবাসগুলিকে তার নিজের প্রয়োজনে ব্যবহার করেছিল তার গুরুত্বপূর্ণ সমস্ত নথি তার কাছে রয়েছে। তার কাছে রেহেনা এবং তার পরিবারের পাশাপাশি বেক্সিমকো, মোরশেদ খাঁ এবং অন্যান্য অনেক বড় বড় রাঘব বোয়ালদের সম্পদের তথ্য রয়েছে। তাকে জরুরি ভিত্তিতে হেড কোয়ার্টারে ফিরে যেতে বলা উচিত।
৬. অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব এম. রিয়াজ হামিদুল্লাহ
আওয়ামী লীগ সরকারের সুযোগসন্ধানী এবং সুবিধাভোগী। সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক এবং সদ্য বিদায়ী পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের ঘনিষ্ঠ। আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে জ্যেষ্ঠতার নিয়ম ভঙ্গ করে শ্রীলঙ্কা এবং নেদারল্যান্ডসে রাষ্ট্রদূত হিসেবে পদোন্নতি ও পোস্টিং পেয়েছেন। কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগের পজিশন পেপার তৈরি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। সরকারি তহবিল দিয়ে ৩ কোটি টাকা মূল্যে আওয়ামী লীগের প্রতীকী ৩টি নৌকা ক্রয় করেছেন। ভারতে পড়াশোনা করেছেন, কথিত র এর এজেন্ট, বর্তমানে নতুন সরকারের সঙ্গে একীভূত হয়ে নিজের রঙ পরিবর্তনের চেষ্টা করছেন।
মাসুদ বিন মোমেনের নিরাপদ বাজি ছিল রিয়াজ। তিনি প্রতিভাবান, কিন্তু পরিচিত ভারতীয় প্রক্সি হিসেবে। মাসুদ বিন মোমেন তাকে পরবর্তী পররাষ্ট্র সচিব করার পরিকল্পনা করছিলেন, রিয়াজ গত ১ আগস্ট পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রসিকিউটরের মধ্যে একটি বৈঠকের আয়োজন করতে সক্ষম হন। রিয়াজের কাছে থাকা বছরের পর বছর ধরে হাসিনার শাসনকে ন্যায্যতা দেওয়ার জন্য খসড়া তৈরিতে সহায়তা করার জন্য সমস্ত নথি পুনরুদ্ধার করতে হবে।
৭. কাতারে রাষ্ট্রদূত মো. নজরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী কানাডায় নতুন রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহান
কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে দায়িত্ব পালনের সময় ভারতীয় একটি গোয়েন্দা সংস্থার স্লিপিং এজেন্ট হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। পরবর্তীতে জেনেভায় ৯ বছরের পোস্টিংয়ের সময় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনার পক্ষে সাফাই দিয়েছেন। নাহিদা সোবহান দীর্ঘ সময় জাতিসংঘ অনুবিভাগের মহাপরিচালক হিসেবে গুম, খুন ও বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন। জর্ডানে পোস্টিং থাকাকালীন, ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে তাদের সন্ত্রাসী হিসেবে উপস্থাপন করে অসংখ্য বাংলাদেশি শ্রমিককে জেলে পাঠানোর অভিযোগ রয়েছে। তার চাটুকারিতা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে ২০২২ সাল থেকে নামের আগে শেখ জুড়ে দিয়েছেন। নাহিদা সোবহানও মাসুদ বিন মোমেনের বিশ্বস্ত কর্মকর্তা যাকে বিপ্লবের পরে দ্রুত পোস্ট করা হয়েছিল।
কানাডায় হাইকমিশনারের দায়িত্ব নেওয়ার পরে তিনি প্রথম যে কাজটি করেছিলেন তা হলো একাত্তর টিভির মিথিলা ফারজানা এবং আওয়ামী লীগ নিযুক্ত আরেক রাজনৈতিক কূটনীতিক অপর্ণার কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করা। নাহিদকে অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত এবং আমাদের জেনেভা মিশনেও হাসিনার সরকারকে তার মূল ভূমিকায় ন্যায়সঙ্গত করার জন্য তার ক্রমাগত ভূমিকার জন্য চেষ্টা করা উচিত।
নাহিদ এবং নজরুল উভয়কেই তাদের ক্ষমার অযোগ্য ভূমিকার জন্য তাড়াতাড়ি অবসর নিতে হবে এবং বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
৮. মো. রুহুল আলম সিদ্দিকী
বর্তমানে তিনি পাকিস্তানে হাই কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে সচিব হিসেবে মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেছেন। তার কর্মজীবনে নারীদের প্রতি নির্যাতন ও হয়রানির অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি পাকিস্তান সরকার তাকে প্রত্যাহারের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছিল। তিনি অনৈতিক আচরণ এবং চরম দুর্নীতির জন্য পরিচিত। আওয়ামী লীগ সরকারের সুবিধাভোগী এবং সদ্য সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত। এর আগে তিনি পর্তুগালে রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।