Logo
Logo
×

অনুসন্ধান

বেনজীরকে পালাতে সাহায্য করেন পুলিশেরই আরেক কর্মকর্তা

জুলকারনাইন সায়ের

জুলকারনাইন সায়ের

প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২৪, ০৮:০৬ পিএম

বেনজীরকে পালাতে সাহায্য করেন পুলিশেরই আরেক কর্মকর্তা

পুলিশ কর্মকর্তা শাহেদা সুলতানা। ইনসেটে (মাঝে) বেনজীর।

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ চলতি বছরের ৪ মে বাংলাদেশ থেকে বিমানযোগে পালিয়ে যান। আর তাকে নির্বিঘ্নে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছেন পুলিশেরই এক কর্মকর্তা। 

অনুসন্ধানে জানা যায়, বেনজীরকে পালাতে সহায়তা করা নারী ওই পুলিশ কর্মকর্তা হলেন এডিশনাল এসপি শাহেদা সুলতানা। তিনি বর্তমানে র‍্যাবে সিনিয়র সহকারী পরিচালক (অপস) হিসেবে কর্মরত আছেন। 

আরও জানা যায়, ৪ মে রাত পৌনে ১২টায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে বেনজীরকে তুলে দেন শাহেদা সুলতানা। সিসিটিভিতে বেনজীরের কাগজপত্রসহ শাহেদা সুলতানাকে তার আগে আগে হাঁটতে দেখা যায়। 

বেনজীরের আগে আগে কাগজপত্র হাতে নিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন শাহেতা সুলতানা। 

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, শাহেদা অনেকদিন ধরেই বেনজীর পরিবারের আস্থাভাজন। বেনজীর যখন র‌্যাবের ডিজি ছিলেন তখন শাহেদা র‍্যাবে ছিলেন। বেনজীর আইজিপি হলে শাহেদা আইজিপির সেকশনে আইজিপির স্ত্রীর প্রটোকল অফিসার হিসেবে যোগ দেন। পরে যখন বেনজীর আইজিপি পদ থেকে অবসর নেন তখন তাকে আবার র‍্যাব সদর দপ্তরের অপারেশন উইংয়ে সিনিয়র সহকারী পরিচালক (অপস) হিসেবে পোস্টিং দেওেয়া হয়।

বেনজীর যখন দেশ ছেড়ে চলে যান, তখন তিনি র‍্যাবে কাজ করা সত্ত্বেও নিজের প্রভাব খাটিয়ে বেনজীরকে ইমিগ্রেশন পার হতে সাহায্য করেন।

উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট প্রবল ছাত্র আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালায় পুলিশ। এতে পুলিশ বাহিনীর ওপর ক্ষুব্ধ ছিল সাধারণ মানুষ। শেখ হাসিনার পলায়নের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে থানায় হামলা শুরু হয়। পুলিশের সাধারণ সদস্য থেকে শীর্ষ কর্মকর্তাদের অনেকে আত্মগোপনে চলে যান। সেই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠে পুলিশ কাজে যোগ দিলেও এখনো সব কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। তেমনি শাহেদা সুলতানার সঙ্গেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। 

Logo

প্রধান কার্যালয়: ৬০৯০ ডাউসন বুলেভার্ড, নরক্রস, জর্জিয়া, যুক্তরাষ্ট্র।

ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন