Logo
Logo
×

সাক্ষাৎকার

উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন

১ হাজারের বেশি মানুষ নিহত, বিচার হবে নুরেমবার্গ ট্রায়ালের আদলে

ডেস্ক রিপোর্ট

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ১৬ আগস্ট ২০২৪, ০৪:০৮ পিএম

১ হাজারের বেশি মানুষ নিহত, বিচার হবে নুরেমবার্গ ট্রায়ালের আদলে

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ চলাকালে সারা দেশে  এক হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নর্থইস্ট নিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন। 

ফোনে ৪৫ মিনিটের একটি সাক্ষাৎকারে ৭৬ বছর বয়সী হোসেন নর্থইস্ট নিউজকে বলেন,  ঢাকার কিছু জায়গায়  এবং অন্যান্য জেলায় জনতার ওপর তৎকালীন শেখ হাসিনার পুলিশ বাহিনী গুলি চালায় অথবা প্রাণঘাতী অস্ত্র দিয়ে হামলা করে।

ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা ১৫ আগস্ট নর্থইস্ট নিউজের সাথে কথা বলেছেন। তারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় এবং জেলা পর্যায়ের নেতাদের বিষয়ে প্রথম মনোনিবেশ করেছে। তবে অনেকেই ভারত এবং অন্যান্য দেশে পালিয়ে গেছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

শীর্ষ পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পর্যায়ক্রমে জেলা পর্যায়ের নেতাদের খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছে। তবে তারা বিশেষত তৎকালীন তথ্যমন্ত্রী মুহাম্মদ আলী আরাফাত, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদকে খুঁজে বের করতে বেশি আগ্রহী। 

একটি সূত্র জানিয়েছে , আগে ধারণা করা হয়েছিল হাছান মাহমুদকে সেনাবাহিনী আটক করেছে। তাকে এখনো পাওয়া যায়নি। আওয়ামী লীগের শাসনামলের অর্ধেক নেতাকে খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা ঢাকা থেকে নয়াদিল্লি পালিয়ে যান। সাখাওয়াত হোসেন বলছেন, একজন ‘মেগালোম্যানিয়াক’ হিসাবে হাসিনা একটি অত্যাচারী রাজত্বের সভাপতিত্ব করে গেছেন এবং মানুষের  জীবন নিয়ে তিনি বিশেষ মাথা ঘামাতেন না। তার মন্ত্রিপরিষদের কিছু মন্ত্রী যেমন আসাদুজ্জামান খান কামাল , আনিসুল হক, ওবায়দুল কাদের  এবং বেশ কিছু সিনিয়র পুলিশ অফিসার  এই  হত্যা যন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিলেন। 

কামাল আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২,০০০ কোটি টাকার বেশি আত্মসাৎ করেছেন এই তথ্য প্রকাশ করে সাখাওয়াত হোসেন জানিয়েছেন, তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) আওয়ামী লীগ দ্বারা সংঘটিত ব্যাপক দুর্নীতির তদন্ত দ্রুত শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন। 

তিনি আরও বলেন,  ‘বাংলাদেশের বুকে ঘটে যাওয়া খুন, অগ্নিসংযোগ এবং লুটপাটের ঘটনার ব্যাপক তদন্ত শুরু হবে ১৪ আগস্ট থেকে। এই তদন্তগুলো হবে ১৯৪৫-পরবর্তী জার্মানির নুরেমবার্গ ট্রায়ালের আদলে।’

সাখাওয়াত হোসেনের অধীনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে পুলিশ বাহিনীর ইউনিফর্ম এবং প্রতীক পরিবর্তন করার নির্দেশ দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘এই প্রস্তাবের জন্য মন্ত্রিসভার অনুমোদনের প্রয়োজন হবে, আশা করি আগামী কয়েকদিনের মধ্যে তা চলে আসবে।

মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন ঠিক করবে পুলিশ বাহিনীকে কীভাবে পরিচালনা করা হবে। উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেনের মতে  ‘কাজটি কঠিন হবে। বেশ কিছু অফিসারকে  চিহ্নিত করা হয়েছে। এই কর্মকর্তারা মাদক ব্যবসায় লিপ্ত এবং বদলি-পোস্টিং র‌্যাকেট চালিয়ে বিপুল অর্থ উপার্জন করত। তদন্ত শেষ হলে তাদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।’

ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার ‘অদৃশ্য ষড়যন্ত্রকারী এবং শত্রুদের দ্বারা পরিবেষ্টিত’। একথা উল্লেখ করে সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘ভারতীয় এস্টাবলিশমেন্টের কাছে তার বার্তা হলো- আপনি কি ঢাকায় বন্ধুত্বপূর্ণ না শত্রু সরকার চান? কারণ যে দেশ পরাশক্তি হতে চায়, তাকে বাংলাদেশের মতো প্রতিবেশী দেশের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়।’

Logo

প্রধান কার্যালয়: ৬০৯০ ডাউসন বুলেভার্ড, নরক্রস, জর্জিয়া, যুক্তরাষ্ট্র।

ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন