দেশের মানুষ এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে, গণতান্ত্রিক বিশ্বও এই নির্বাচনকে গ্রহণ করে নাই। সেই ভয়ে এতো জলদি করে এমপিরা শপথ নিল, মন্ত্রীরা শপথ নিল। তাদের ভয় কখন গনেশ উল্টে যায়। কিন্তু এই শপথ নেওয়ায় কিংবা দ্রুত সরকার গঠনে কাজ হবে না।
আজ শুক্রবার বিকেলে গণতন্ত্র মঞ্চের উদ্যোগে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে নেতারা এ কথা বলেন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।
সমাবেশে নেতারা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে ‘প্রহসনের ডামি নির্বাচন’ বলে উল্লেখ করেন এবং ওই নির্বাচন বাতিলের দাবি জানান। তারা বলেন, ভোটকেন্দ্রগুলো ছিল বিরান ভূমি। মানুষ এই ভোট বর্জন করেছেন। ৫ বা ৭ শতাংশ ভোট পড়েছে কি না, সন্দেহ! সিইসিকে ঘুম থেকে জাগিয়ে ৪১ শতাংশ ভোটের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনে অংশ নেওয়া দলগুলোই এখন সাক্ষ্য দিচ্ছে, ৭ জানুয়ারি কোনো নির্বাচন হয়নি।
সরকারি দলের জোটসঙ্গীরা, এমনকি তাদের নিজেদের কেন্দ্রীয় লোকেরাই এখন নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে বলছে বলে দাবি করেন নেতারা।
দেশের মানুষ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছেন দাবি করে নেতারা বলেন, গণতান্ত্রিক বিশ্ব এই নির্বাচনকে গ্রহণ করেনি। সেই ভয়ে জলদি করে সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীরা শপথ নিলেন। তাদের ভয়, কখন গণেশ উল্টে যায়। কিন্তু এসবে কাজ হবে না। ৭ জানুয়ারির মানুষের ভোট বর্জন নতুন গণপ্রতিরোধের সূচনা। জনগণের আন্দোলনের মুখেই এই সরকারকে বিদায় নিতে হবে।
সমাবেশে বক্তব্য দেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি’র সিনিয়র সহসভাপতি তানিয়া রব। সভা পরিচালনা করেন নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লা কায়সার।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি’র সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু, নাগরিক ঐক্যের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাক্কারুল ইসলাম নবাব, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কের পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমন প্রমুখ