ট্রাম্পের শুল্কনীতি নিয়ে আত্মবিশ্বাস, কিন্তু অর্থনৈতিক মন্দার শঙ্কা বাড়ছে

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার বিশ্বব্যাপী শুল্কযুদ্ধকে "খুব ভালো চলছে" বলে দাবি করেছেন, যদিও অর্থনৈতিক মন্দার শঙ্কা দিন দিন তীব্র হচ্ছে। চীনের সঙ্গে চলমান বাণিজ্য দ্বন্দ্ব আরও জটিল আকার ধারণ করেছে, কারণ বেইজিং যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশে উন্নীত করেছে এবং ট্রাম্পকে ‘একপাক্ষিক জুলুমকারী’ বলে অভিযুক্ত করেছে।
এই পটভূমিতে যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তাদের মূল্যস্ফীতির প্রত্যাশা ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। হোয়াইট হাউস যদিও দাবি করছে দেশটি "সোনালি যুগের" দ্বারপ্রান্তে, কিন্তু বিনিয়োগকারী এবং বাজার বিশ্লেষকরা এতটা আশাবাদী নন। ব্ল্যাকরকের সিইও ল্যারি ফিঙ্ক মন্তব্য করেছেন, “আমরা মন্দার দ্বারপ্রান্তে, যদি না ইতিমধ্যেই তাতে প্রবেশ করে থাকি।”
এই সপ্তাহে মার্কিন পুঁজিবাজার চরম অস্থিরতার মধ্য দিয়ে গেছে। তবে সপ্তাহ শেষে কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে, যেমন এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচক ৫.৭% বেড়েছে। ডাও জোন্সও ১.৬% বেড়েছে। কিন্তু ডলারের মান কমেছে এবং সরকারি বন্ডের দরপতন হয়েছে।
এদিকে ট্রাম্পের হঠাৎ ঘোষণায় শুল্ক বৃদ্ধির পরিকল্পনা ৯০ দিনের জন্য স্থগিত হওয়ায় বাজারে অস্থিরতা আরও বেড়েছে। আর এর মাঝে প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে ভেতরের তথ্য ব্যবহার করে লাভবান হওয়ার অভিযোগ উঠেছে, যা তদন্তের দাবি তুলেছেন সিনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেনসহ শীর্ষ ডেমোক্র্যাট নেতারা।
অন্যদিকে, টেসলা চীনে তাদের কিছু মডেলের অর্ডার নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে, যার পেছনে ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতির প্রতিক্রিয়াই মূল কারণ বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিশ্বব্যাপী বিশ্লেষকরা সতর্ক করছেন, এই শুল্ক যুদ্ধের প্রভাব শুধু আমেরিকার অভ্যন্তরেই নয়, বৈশ্বিক অর্থনীতিতেও ব্যাপক প্রভাব ফেলবে।