ট্রাম্পের শুল্ক যুদ্ধ: চীনের প্রতিক্রিয়া ও সংকটকে সুযোগে রূপান্তরের কৌশল

বিশ্ব যখন ট্রাম্পের শুল্ক নীতির সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর চেষ্টা করছে, তখন চীন এই চ্যালেঞ্জের বিপরীতে দাঁড়িয়ে "সংকটকে সুযোগে" রূপান্তর করার অঙ্গীকার করছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন বিশ্বজুড়ে পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন, মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে চীন পাল্টা ব্যবস্থা নেয়—মার্কিন পণ্যের ওপর কড়া শুল্ক এবং নির্দিষ্ট কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
মার্কিন হুমকির জবাবে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানায়, “এটা ভুলের ওপর আরেকটি ভুল।” তারা এটিকে ‘চাঁদাবাজির উদাহরণ’ হিসেবে অভিহিত করে বলে, চীন কখনোই এই চাপ মেনে নেবে না, বরং শেষ পর্যন্ত লড়াই করবে।
চীনের এই দৃঢ় অবস্থান প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের নেতৃত্বে একটি সুপরিকল্পিত কৌশলের অংশ, যেখানে দেশটি নিজেদের ‘একতরফা মার্কিন দাদাগিরির’ বিরুদ্ধে একটি বিকল্প শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চায়। সরকারি মুখপত্র People's Daily বলেছে, “চাপে আমরা আরও শক্তিশালী হই” এবং “আকাশ ভেঙে পড়বে না।”
চীন মনে করে, এই বাণিজ্য যুদ্ধ মার্কিন অর্থনীতির ওপরই বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই তারা নিজেদের "সংবাদযোগ্য ও নিরাপদ বিনিয়োগ কেন্দ্র" হিসেবে উপস্থাপন করছে। গত সপ্তাহে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মার্কিন কোম্পানিগুলোর সাথে বৈঠক করে এবং ব্যবসা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানায়।
তবে বিশ্লেষকরা সতর্ক করছেন, এই দ্বন্দ্ব যত দীর্ঘায়িত হবে, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক তত কঠিন হয়ে উঠবে। এবং এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা যদি অব্যাহত থাকে, তবে বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থায় স্থায়ী পরিবর্তন ঘটতে পারে।