বাংলাদেশি পণ্যে ৩৭ শতাংশ শুল্ক বসাল যুক্তরাষ্ট্র

আরো পড়ুন
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন করে বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন। হোয়াইট হাউজে স্থানীয় সময় বুধবার বিকেল ৪টায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই ‘রিসিপ্রোকাল ট্যারিফ’ বা পাল্টা শুল্ক ব্যবস্থার ঘোষণা দেন।
বাংলাদেশ থেকে আমদানি হওয়া পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে, যেখানে আগে এই হার ছিল গড়ে ১৫ শতাংশ। ট্রাম্পের দাবি, এই নীতির ফলে “যুক্তরাষ্ট্র আবার সম্পদশালী হবে” এবং এটি যুক্তরাষ্ট্রের "অর্থনৈতিক স্বাধীনতা দিবস" হিসেবে ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর ওপর নতুন শুল্কহার:
কম্বোডিয়া ৪৯%
লাওস ৪৮%
ভিয়েতনাম ৪৬%
শ্রীলঙ্কা ৪৪%
বাংলাদেশ ৩৭%
থাইল্যান্ড ৩৬%
চীন ৩৪%
তাইওয়ান ৩২%
ইন্দোনেশিয়া ৩২%
পাকিস্তান ২৯%
ভারত ২৬%
দক্ষিণ কোরিয়া ২৫%
জাপান ২৪%
মালয়েশিয়া ২৪%
ফিলিপাইন ১৭%
সিঙ্গাপুর ১০%
নেপাল ১০%
বাংলাদেশের বাণিজ্য পরিস্থিতি:
যুক্তরাষ্ট্রের ইউএসটিআর-এর তথ্যমতে, ২০২৪ সালে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে মোট বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল প্রায় ১০.৬ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ থেকে আমদানি: ৮.৪ বিলিয়ন ডলার (মূলত তৈরি পোশাক, জুতা, টেক্সটাইল ও কৃষিপণ্য)।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে রপ্তানি: ২.২ বিলিয়ন ডলার (কৃষিপণ্য, যন্ত্রপাতি, লোহা ও ইস্পাত)।
নতুন শুল্কের প্রভাব:
ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তকে অনেক দেশ ও বিশ্লেষক 'বাণিজ্য যুদ্ধের সূচনা' হিসেবে দেখছেন। অর্থনীতিবিদদের মতে, এমন পরিস্থিতিতে শেষ পর্যন্ত কেউ-ই জয়ী হতে পারে না। তবে ট্রাম্পের ভাষায়, “আমরা একটি স্বাধীন ও সমৃদ্ধ জাতি হিসেবে নতুন যাত্রা শুরু করছি।”