Logo
Logo
×

অর্থনীতি

বাংলাদেশের অর্থপাচার তদন্তে যুক্তরাজ্যে গভর্নর

বেনামি চিঠিতে ব্রিটিশ এমপিদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২৫, ০৮:৫৭ পিএম

বেনামি চিঠিতে ব্রিটিশ এমপিদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। ওই টাকার সন্ধানে নেমেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই টাকার সন্ধানে বর্তমানে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান মনসুর। যুক্তরাজ্য সরকার বাংলাদেশের অনুরোধে পাচার হওয়া অর্থের সন্ধানে সব ধরনের সহযোগিতা করতে রাজি হয়েছে।

তবে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে পাচার হওয়া অর্থের সন্ধান কার্যক্রমে নেতৃত্ব দেওয়া বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান মনসুরকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে ‘বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা’ চালানো হতে পারে বলে মনে করছেন এমপিরা। আজ সোমবার (২৪ মার্চ) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর বর্তমানে লন্ডনে অবস্থান করছেন। সেখানে তিনি বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া বিপুল সম্পদের সন্ধানে যুক্তরাজ্য সরকার ও বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতাও চেয়েছেন। এসব অর্থের কিছুটা যুক্তরাজ্যে সম্পত্তি কিনতে ব্যবহার করা হয়েছে বলে তিনি মনে করেন। এরমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরকে নিয়ে সন্দেহজনক ই-মেইল পেয়েছেন ব্রিটিশ এমপিরা।

বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি ও যুক্তরাজ্যের সাবেক সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিকও অর্থ পাচার বিষয়ে সন্দেহের তালিকায় রয়েছে। চলতি বছর ঢাকার দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তার বিরুদ্ধে একটি মামলা করে, যার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি পদত্যাগ করেন। তবে সেসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন টিউলিপ।

এপিপিজির সদস্য রুপা হক পৃথক ই-মেইল পেয়েছেন যাতে বলা হয়েছে, যদি আহসান মনসুর ‘টিউলিপ সিদ্দিকের সততা নিয়ে প্রশ্ন তোলার’ জন্য প্রস্তুত থাকেন, তাহলে তিনি এবং তার পরিবারেরও তদন্তের মুখোমুখি হওয়া উচিত।

এ বিষয়ে রুপা হক বলেন, এটি অত্যন্ত অস্বাভাবিক যে, আমি এমন একটি ই-মেইল পেয়েছি। এটি আমাদের কাজকে বাধাগ্রস্ত করতে এক ধরনের প্রচেষ্টা।

ব্রিটিশ এমপি ফিল ব্রিকেল বলেন, এটি যদি আমাদের বিভ্রান্ত করার উদ্দেশ্যে প্রচারণা হয়, তাহলে তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। তিনি আরও বলেন, আমাদের অবশ্যই খুঁজে বের করতে হবে কারা এই প্রচারণার পেছনে রয়েছে এবং কী উদ্দেশ্যে এটি চালানো হচ্ছে।

এপিপিজির কয়েকজন এমপি ই-মেইলগুলো ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সাইবার নিরাপত্তা পরামর্শদাতাদের কাছে পাঠিয়েছেন এবং পার্লামেন্টের পররাষ্ট্র কমিটির নজরে এনেছেন। তারা এই বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণার বিষয়ে তদন্ত করছে।

ব্রিটিশ এমপিরা আশঙ্কা করছেন, বাংলাদেশে দুর্নীতি তদন্তের প্রচেষ্টা আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে। কারণ আহসান মনসুরের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর মনসুর বলেছেন, যারা মানিলন্ডারিংয়ের তদন্তের আওতায় রয়েছে, তারা আমার সুনাম নষ্ট করতে এবং আমাকে বিভিন্নভাবে টার্গেট করতে চাইছে। 

Logo

প্রধান কার্যালয়: ৬০৯০ ডাউসন বুলেভার্ড, নরক্রস, জর্জিয়া, যুক্তরাষ্ট্র।

ই-মেইল: banglaoutlook@gmail.com

অনুসরণ করুন