পুঁজিবাজারে কারসাজির দায়ে ক্রিকেট অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তবে আর্থিক খাতে অসৎ কর্মকাণ্ডের জন্য তাকে আরও বছর দুয়েক আগেই জরিমানা করা উচিৎ ছিল বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।

আজ রবিবার রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশের (আইবিএফবি) বার্ষিক সম্মেলন তিনি এ কথা বলেন।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে বিএসইসির এক তদন্ত প্রতিবেদনে শেয়ার কারসাজির অভিযোগে সাকিব আল হাসানের নাম ওঠে। শেষ পর্যন্ত গত ২৪ সেপ্টেম্বর তাকে অর্ধকোটি টাকা জরিমানা করার সিদ্ধান্ত নেয় সংস্থাটি।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, চুরি-দুর্নীতি অনেক দেশেই হয়, কিন্তু বাংলাদেশের মতো দুর্নীতি সচরাচর দেখা যায় না। বাংলাদেশে গত ১৫ বছর যে হারে দুর্নীতি হয়েছে তা বিশ্বের ইতিহাসে বিরল। কর কমানো হলেও নিত্যপণ্যের বাজারে দাম কমছে না। চাঁদাবাজির হাত পরিবর্তন হয়েছে, বন্ধ হয়নি।

অর্থ উপদেষ্টা আরও বলেন, যৌক্তিক কর ব্যবসায়ীদের দিতে হবে। সারা জীবন প্রণোদনা দেওয়া সম্ভব না। আগামী অর্থবছরের (২০২৫-২৬) বাজেটে ব্যবসায়ীদের জন্য প্রণোদনা কমানো হবে। ট্যাক্স সিস্টেমকে রিফর্ম করা হচ্ছে। ট্যাক্স পলিসি ও ট্যাক্স ইমপ্লিমেন্টেশন আলাদা করা হবে।