পোশাক শ্রমিকদের বার্ষিক মজুরি বাড়বে ৯ শতাংশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:০৯ পিএম
পোশাক শ্রমিকদের বার্ষিক মজুরি বৃদ্ধি বা ইনক্রিমেন্ট হবে ৯ শতাংশ। মালিক ও শ্রমিকপক্ষের মধ্যে দীর্ঘ দর-কষাকষির পর বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে। চলতি ডিসেম্বর থেকে এটি কার্যকর হবে।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধির খবর জানান শ্রম উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, মালিক শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে বেতন-ভাতা নিয়ে গার্মেন্টে যে অস্থিরতা ছিল তা আর থাকবে না।
এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, পোশাক খাত নিয়ে দেশে-বিদেশে নানান ষড়যন্ত্র চলছে। সেগুলো পাশ কাটিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার এই খাতকে এগিয়ে নিচ্ছে। মালিক শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে বেতন ভাতা নিয়ে গার্মেন্টে যে অস্থিরতা ছিল তা আর থাকবে না।
এর আগে আজ সচিবালয়ে পোশাকশিল্প খাতে বার্ষিক মজুরি বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিষয়ে সক্ষমতা ও করণীয় বিষয়ক কমিটির পঞ্চম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সচিবালয়ে শ্রম মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অতিরিক্ত সচিব মো. সবুর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে মালিক ও শ্রমিকপক্ষের ছয় ও সরকারপক্ষের চার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, আজকের বৈঠকে একপর্যায়ে শ্রমিকপক্ষের প্রতিনিধিরা ইনক্রিমেন্ট ১০ শতাংশ দাবি করেন। তবে মালিকপক্ষ দিতে চান ৮ শতাংশ। পরে সবার সম্মতিক্রমে ৯ শতাংশ ইনক্রিমেন্টের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। এ বিষয়ে মালিক, শ্রমিক ও সরকারপক্ষের প্রতিনিধিরা এক যৌথ ঘোষণায় সই করেন।
নিম্নতম মজুরি পুনর্নির্ধারণ না হওয়া পর্যন্ত পোশাক শ্রমিকেরা নিয়মিত ৫ শতাংশের সঙ্গে অতিরিক্ত ৪ শতাংশ, অর্থাৎ ৯ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট পাবেন। ফলে শ্রমিকদের জানুয়ারির মজুরির সঙ্গে ৯ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট যুক্ত হবে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান, তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সহায়ক কমিটির সদস্য এ এন এম সাইফুদ্দিন ও বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের মহাসচিব ফারুক আহাম্মাদ, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুববিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম; বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বাবুল আখতার ও বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি কবির আহম্মেদ, শ্রম অধিদপ্তরের পরিচালক এস এম এমাদুর হক, নিম্নতম মজুরি বোর্ডের সচিব রাইসা আফরোজ, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের যুগ্ম পরিচালক মো. হাসিবুজ্জামান ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান সিকদার।