Logo
Logo
×

অর্থনীতি

নিয়ন্ত্রকদের সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সম্পদ কেনাবেচায় যুক্তরাজ্যের ফার্মগুলোর ভূমিকা খতিয়ে দেখার আহ্বান

Icon

আউটলুক ডেস্ক

প্রকাশ: ২২ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৫৪ পিএম

নিয়ন্ত্রকদের সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সম্পদ কেনাবেচায় যুক্তরাজ্যের ফার্মগুলোর ভূমিকা খতিয়ে দেখার আহ্বান

বাংলাদেশের সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী

যুক্তরাজ্যের সংসদ সদস্যরা বাংলাদেশের সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সঙ্গে লন্ডনের রিয়েল এস্টেট এজেন্ট, আইনজীবী ও ঋণদাতা কোম্পানিগুলোর সম্পর্ক কী, তা খুঁজে বের করতে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোকে তাগাদা দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। 

দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাজ্যে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ২০ কোটি পাউন্ড মূল্যের ২৫০টি বাড়ি ও ফ্ল্যাট আছে। যদিও তাঁর আইনজীবী সম্প্রতি বলেছেন, রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার আগেই সাইফুজ্জামান চৌধুরী এসব সম্পত্তি কিনেছেন। এতে তাঁর লুকানোর কিছু নেই।

লেবার পার্টির সংসদ সদস্য ফিল ব্রিকেল যুক্তরাজ্যের রেভিনিউ অ্যান্ড কাস্টমস (এফডিসিএ), ফিন্যান্সিয়াল কন্ডাক্ট অথরিটি (এসআরএ) ও সলিসিটর্স রেগুলেশন অথরিটিকে (এসআরএ) চিঠি দিয়েছেন। দেশটির নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে চিঠিতে তিনি বলেন, যেসব কোম্পানি এসব সম্পত্তি কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত ছিল তারা সাইফুজ্জামান চৌধুরীর অর্থের উৎস যথাযথভাবে খতিয়ে দেখেছে কি না? এসব সম্পত্তি কেনাবেচার সময় আইনি প্রতিষ্ঠান ও ঋণদাতারা আইনগত বাধ্যবাধকতা মেনে চলছে কি না, তা নিশ্চিত করা হোক।

তিনি আরও বলেন, যুক্তরাজ্যের এই ফার্মগুলো সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সম্পদ কেনাবেচার সময় সন্দেহজনক তৎপরতার কথা জানিয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখতে। সম্পদ কেনাবেচার সময় অর্থ পাচারের সন্দেহ হলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে তা অবশ্যই জানানোর কথা। সেই সঙ্গে তিনি জানতে চেয়েছেন, এসব ফার্ম সন্দেহজনক তৎপরতার কথা না জানিয়ে থাকলে তা অপরাধের পর্যায়ে পড়ে কি না।

ফিল ব্রিকেল বলেন, যুক্তরাজ্য যে বিশ্বের দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রমের রাজধানী হিসেবে লন্ডনকে গড়ে তুলতে চায়, তা প্রমাণ করতে হলে এ ধরনের অভিযোগে দ্রুততার সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে হবে। সবিস্তারে তদন্ত করতে হবে।

এদিকে এর আগে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি আপসানা বেগম লন্ডনে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর যে সম্পদ আছে, তা বাংলাদেশকে অবশ্যই ফিরিয়ে দেওয়া দরকার বলে মত দিয়েছিলেন। তিনি বিষয়টি তদন্ত ও সম্পদ জব্দ করতে দেশটির ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা জানতে চান।

এদিকে যুক্তরাজ্যের দুর্নীতিবিরোধী সর্বদলীয় পার্লামেন্টারি কমিটি ও কর ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত সংসদ সদস্যরা সে দেশে বাংলাদেশিদের অবৈধ সম্পদ পুনরুদ্ধারে কীভাবে সহযোগিতা করা যায়, তা নিয়ে গত সপ্তাহে বৈঠক করেছেন। এই কমিটির চেয়ারম্যান এমপি জো পাওয়েল দেশটির ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সিকে এসব সম্পদ নিয়ে তদন্ত করতে তাগাদা দিয়েছেন।

Logo

প্রধান কার্যালয়: ৬০৯০ ডাউসন বুলেভার্ড, নরক্রস, জর্জিয়া, যুক্তরাষ্ট্র।

ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন