২৫ হাজার কোটি টাকা রেমিট্যান্স এসেছে সেপ্টেম্বরের ২৮ দিনে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৭ পিএম
চলতি সেপ্টেম্বরের মাসের চার সপ্তাহেই দুই বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে রেমিট্যান্স। এই ৪ সপ্তাহে ২১১ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২০ টাকা হিসাবে) ২৫ হাজার ৩৫৭ কোটি টাকার বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রবাসী বাংলাদেশিরা চলতি সেপ্টেম্বর মাসের ২৮ দিনে ২১১ কোটি ৩১ লাখ ১০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এই হিসেবে প্রতিদিন গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ৭ কোটি ৫৫ লাখ ডলার বা ৯০৬ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে আরও জানা গেছে, এই ২৮ দিনে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা সাতটি। আর রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৫৮ কোটি ৬৫ লাখ ডলার এসেছে। এছাড়া বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৯ কোটি ২৬ লাখ ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৪২ কোটি ৮৬ লাখ ৭০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৫৩ লাখ ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে।
যে সাতটি ব্যাংকে এই ২৮ দিনে রেমিট্যান্স আসেনি সেগুলো হলো, রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব, বেসরকারি কমিউনিটি ব্যাংক, আইসিবি ব্যাংক, বিদেশি খাতের হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।
এর আগে ২০২০ সালের জুলাই মাসে দেশের ইতিহাসে এক মাসে সর্বোচ্চ ২৬০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। আর বছর হিসেবে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০-২০২১ অর্থবছরে। ওই অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স আসে ২৪ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৪৭৮ কোটি ডলার। আর চলতি বছরের জুন মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলে মোট ২৫৪ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় দেশে এসেছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ২৯ হাজার ৭১৮ কোটি টাকা। এটি এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান, চলতি মাস সেপ্টেম্বরের শুরু থেকেই রেমিট্যান্স আসার গতি ভালো ছিল। আমাদের প্রত্যাশা ছিল পুরো মাসে দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স আসবে। চলতি মাসের প্রথম ২৮ দিনেই দুই বিলিয় ডলার ছাড়িয়ে গেছে। এখন বৈধ পথে রেমিট্যান্স আসার পেছনে সচেতনতা কাজ করছে। বৈধ পথে ডলারের দরবৃদ্ধিতে হুন্ডি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন বিভিন্ন দেমে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। আর এতেই বাড়ছে রেমিট্যান্স আসার পরিমাণ।