চলতি বছরের মধ্যেই বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে সহায়তা পাওয়ার আশা করছে বাংলাদেশ: অর্থ উপদেষ্টা
ইউএনবি
প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৩১ পিএম
অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বছর শেষ হওয়ার আগেই বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে সহায়তা পাওয়া যাবে বলে আশা করছে বাংলাদেশ। আজ মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সচিবালয়ের অর্থ বিভাগে বিশ্বব্যাংকের আঞ্চলিক পরিচালক ম্যাথিউ এ ভার্গিসের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা জানান উপদেষ্টা।
ড. সালেহউদ্দিন দেশের ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতে জরুরি সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বিশ্বব্যাংকের দ্রুত আর্থিক সহায়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, 'যেহেতু বিশ্বব্যাংক আমাদের বৃহত্তম বহুপাক্ষিক উন্নয়ন অংশীদার, তাই আমাদের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা আকারে বিশেষ সহায়তা আশা করছি।’
এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংক ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে জানিয়ে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, এসব সংস্কার বাস্তবায়নের বিষয়ে আরও বিস্তারিত আলোচনা হবে। মূলত কীভাবে সংস্কার করা যায় তা নিয়ে তাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে এবং আরও বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।’
বাংলাদেশ নতুন করে ২ বিলিয়ন ডলার তহবিল চেয়েছে, এমন খবরের বিষয়ে জানতে চাইলে ড. সালেহউদ্দিন টাকার পরিমাণ সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ না করে বলেন, অর্থের পরিমাণ পরে চূড়ান্ত করা হবে। তবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, বিশ্বব্যাংক সম্ভবত ১ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিতে পারে, যার মধ্যে নীতিগত সংস্কারের জন্য বিশেষভাবে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৭৫০ মিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থার সংস্কারের মাধ্যমে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে এই আর্থিক সহায়তার ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি শর্ত রয়েছে। সেগুলো হলো-
১. ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে অনাদায়ী ঋণ আদায়ের জন্য সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানিগুলোর জন্য একটি কাঠামো প্রতিষ্ঠা করা।
২. ঋণের প্রকৃত উপকারভোগীদের চিহ্নিত করতে নীতিমালা প্রণয়ন।
৩. ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য ফরেনসিক অডিটের সুযোগ নির্ধারণ করা।
৪. বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যে নিয়ন্ত্রক সংস্থার জন্য একটি পৃথক বিভাগ তৈরি করা।
আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক সংস্কারের প্রয়োজনে এই অর্থ সহায়তা পাওয়ার আশা করছে বলে জানিয়েছে এক সূত্র।
সংস্কারগুলো যাতে বাস্তবসম্মত ও বাস্তবায়নযোগ্য হয় তা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন ড. সালেহউদ্দিন। তিনি বলেন, 'সংস্কারগুলো বাস্তবায়নযোগ্য হতে হবে। না হলে কার্যকর করা সম্ভব হবে না এবং দাতাদের কাছ থেকেও সমর্থন পাওয়া যাবে না।’
সম্প্রতি বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের বৈঠকে দেশের আর্থিক অবকাঠামো সংস্কারের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। ঋণ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে গেলে এই প্রচেষ্টা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়তে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।