১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ বাতিল করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আজ সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) এনবিআর এ সংক্রান্ত একটি এসআরও (বিধি-বিধান) জারি করেছে।
ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকার গত বাজেটে ১৫ শতাংশ কর দিয়ে নগদসহ জমি, ফ্ল্যাট ও প্লটসহ স্থাবর সম্পদ কিনে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়। গত সপ্তাহে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে এই সুবিধা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় কালো টাকা সাদা করার সুযোগ আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল করে এনবিআর।
চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত এক বছরের জন্য বিগত সরকার এই সুযোগ দিয়েছিল। ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ ১৫ শতাংশ কর দিয়ে সাদা করার সুযোগ ছিল। গত ২৫ আগস্ট অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, সরকার আর কাউকে কালো টাকা বানাতে দেবে না।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশে জাতিসংঘের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমাদের সিদ্ধান্ত পরিষ্কার, আর কালো টাকা তৈরির কোনো সুযোগ থাকবে না।’
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান খান কালো টাকা সাদা করার পদ্ধতির কঠোর সমালোচনা করে বলেছেন, এটি একটি অশালীন কাজ এবং ‘সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য’। প্রায় সব সরকারই দেশে কালো টাকাকে বৈধতা দেওয়ার অনুমতি দিলেও তাতে সাড়া মেলেনি।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত প্রায় ৪৭ হাজার কোটি টাকা বৈধ হয়েছে। তবে বিএনপি সরকারের ১৯৯১-৯৬ মেয়াদে কালো টাকা সাদা করার কোনো সুযোগ ছিল না।
সর্বশেষ ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনার সুযোগ দেওয়া হলেও কেউ এ সুযোগ নেয়নি। এর এক বছর পর কালো টাকা সাদা করার আরেকটি সুযোগ দেওয়া হয়েছিল।