পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ ও এনবিআরের সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমান ও তাদের পরিবারের সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ মঙ্গলবার( ২ জুলাই) কমিশনের সদর দপ্তরে এক সংবাদ সংম্মেলনে দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বাজেয়াপ্ত সম্পত্তি ছাড়াও এই দুই পরিবারের সদস্যদের অন্য কোনো সম্পত্তি আছে কিনা, তা জানতে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ৩০ জুন জানা যায়, মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সম্পদের হিসাব বিবরণী চেয়ে এনবিআর, বিএফআইইউ, নিবন্ধন অধিদপ্তর, বিএসইসি, বিআরটিএ, রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মসকে (আরজেএসসি) নোটিশ দিয়েছে দুদক।
দুদক সচিব বলেন, প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী জিসান মির্জা ও তাদের দুই মেয়ে জ্ঞাত আয় ছাড়াও সম্পদ অর্জন করেছেন। তাদের নামে ও বেনামে দেশে-বিদেশে আরও অনেক সম্পদ রয়েছে বলে তথ্য রয়েছে। তাই আইন অনুযায়ী আলাদাভাবে সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য নোটিশ দিয়েছে দুদক।
এর আগে ২৪ জুন দ্বিতীয়বার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদকে হাজির হওয়ার সুযোগ পেলেও বেনজীরের স্ত্রী জিসান মির্জা ও তাদের দুই মেয়ে হাজির হননি। গত ২৩ জুন বেনজীর আহমেদও দুদকে হাজির হননি। পরে দুদক সচিব বলেছিলেন, কমিশন এখন সাবেক এই পুলিশপ্রধানের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেবে।
দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন আরও জানান, এনবিআরের সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমান, তার প্রথম স্ত্রী নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ, প্রথম স্ত্রীর ছেলে আহমেদ তৌফিকুর রহমান (অর্ণব), মেয়ে ফারজানা রহমান (ইস্ফিতা) ও দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আক্তারকে (শিবলী) সম্পদের তথ্য দাখিলের নোটিশ দেওয়া হয়েছে।