Logo
Logo
×

অর্থনীতি

১৫ শতাংশ ট্যাক্স দিয়ে কালো টাকা সাদা করা যাবে

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২৪, ০৯:০৬ পিএম

১৫ শতাংশ ট্যাক্স দিয়ে কালো টাকা সাদা করা যাবে

প্রস্তাবিত বাজেটে আলোচিত কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে গেলো তিন সপ্তাহ ধরেই সরব সংসদ। তবে অর্থমন্ত্রীর কাছে ধোপে টিকেনি কোনো আলোচনা, চূড়ান্তভাবে অনুমোদন পেলো তা। তেমনি, প্রস্তাবিত বাজেটের চেয়ে খুব একটা পরিবর্তন ছাড়াই শনিবার জাতীয় সংসদে অনুমোদন মেলে অর্থবিলের।  

গেলো ৬ জুন জাতীয় সংসদে আসছে অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী। প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে সংসদে আলোচনার শনিবার অনুমোদন মেলে অর্থ বিলের। প্রস্তাবের সাথে যার নেই খুব একটা ফারাক। যদিও সংসদে বিরোধী দলের সদস্যরা প্রস্তাবিত বাজেটকে গতানুগতিক হিসেবেই দেখছেন। তাদের ভাষ্যমতে, অর্থনীতির চলমান চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলায় এতে কোনো নতুনত্ব আনা হয়নি।

এবারের বাজেট প্রস্তাবে বেশ আলোচনায় ছিল ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগের বিষয়টি। যা নিয়ে সংসদের ভেতরে-বাইরে নানা আলোচনা-সমালোচনা সত্ত্বেও প্রস্তাবে অনঢ় অর্থমন্ত্রী। অব্যাহত থাকছে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের ৫০ লাখ টাকা লাভের ওপর কর আরোপের সিদ্ধান্ত। তবে অর্থমন্ত্রীকে পিছু হটতে হয় সংসদ সদস্যদের গাড়ি আমদানিতে শুল্ক আরোপের প্রস্তাবে।

নতুন অর্থ বিলে বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাই-টেক পার্কগুলোর কর অবকাশ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে এনবিআর। শূন্য শতাংশ রাখা হয় অর্থনৈতিক অঞ্চলে স্থাপিত শিল্পের মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানি শুল্কও।

এদিন বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা জিএম কাদের। পরে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য প্রণীত বাজেটের ওপর সমাপনী বক্তব্য রাখেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

তিনি বলেন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট আমরা এমন এক সময়ে প্রণয়ন করছি যখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, চলমান মধ্যপ্রাচ্য সংকটসহ নানা বৈশ্বিক সংকটের কারণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশও মূল্যস্ফীতিসহ সামষ্টিক অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নানাবিধ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে। তাই এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণসহ সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনয়নকে আমরা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছি। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে মুদ্রানীতিতে ইতোমধ্যে সংকোচনমূলক নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে; নীতি সুদহার (রেপো) উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়িয়ে ৮.৫ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে এবং ব্যাংক সুদের হার সম্পূর্ণরূপে বাজারভিত্তিক করা হয়েছে।

‘তাছাড়া রপ্তানি উৎসাহিতকরণ এবং প্রবাস আয়ে গতি সঞ্চারের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ডলারের বিনিময় হারের ক্ষেত্রে ক্রলিং পেগ পদ্ধতি প্রবর্তন করা হয়েছে। মুদ্রানীতির সংকোচনমূলক উদ্যোগের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আমরা রাজস্ব নীতিতেও সহায়ক নীতিকৌশল অবলম্বন করেছি, যেমন বাজেট ঘাটতি হ্রাসকরণ, কম গুরুত্বপূর্ণ ব্যয় নিরুৎসাহিতকরণ এবং বিভিন্ন খাতে কৃচ্ছ্রসাধনের উদ্যোগ। আমাদের গৃহীত এসব নীতি-কৌশলের ফলে আশা করছি আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ৬.৫ শতাংশে নেমে আসবে।’

এ সময় অর্থ বিলের ওপর কয়েকজন সদস্যের আনা কয়েকটি সংশোধনী প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। বাকিগুলো কণ্ঠভোটে বাতিল হয়ে যায়। পরে তিনি অর্থবিল পাসের অনুরোধ জানালে স্পিকার তা ভোটে দেন। এ সময় উপস্থিত সদস্যদের কণ্ঠভোটে পাস হয় অর্থবিল।

৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার নতুন বাজেট পাস হবে রোববার। এটি কার্যকর হবে নতুন অর্থবছরের প্রথম দিন সোমবার থেকেই।

Logo

প্রধান কার্যালয়: ৬০৯০ ডাউসন বুলেভার্ড, নরক্রস, জর্জিয়া, যুক্তরাষ্ট্র।

ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন