Logo
Logo
×

অর্থনীতি

'শহরের নির্দিষ্ট আয়ের মানুষ চাপে আছে'

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২৪, ০৫:১৫ পিএম

'শহরের নির্দিষ্ট আয়ের মানুষ চাপে আছে'

গ্রামের চেয়ে শহরের নির্দিষ্ট আয়ের মানুষ চাপে আছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। তিনি বলেছেন, গ্রামের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। কিন্তু শহরের নিদিষ্ট আয়ের মানুষ সবচেয়ে বেশি চাপে আছে। আজ বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত বিএসআরএফ সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএসআরএফের সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় সভাপতি ফসিহ উদ্দিন মাহতাব এতে সভাপতিত্ব করেন।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি টিপ্পনী কাটার জন্য বলছি না। বাস্তবতা বলছি, মানুষের কাছে কিন্তু টাকা আছে। গত তিন মাসে দুই বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স আসছে। যেটা গত বছরের তুলনায় ৩৮ শতাংশ বেশি। এই দুই বিলিয়ন ডলার কিন্তু গ্রামীণ অর্থনীতিতে যোগ হয়। ফলে গ্রামের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। গ্রামের মানুষ যারা উৎপাদন করে তারা কিন্তু শহরের নিদিষ্ট আয়ের মানুষের থেকে ভালো আছে। গ্রামের যে লোকটি অটোরিকশা চালায় সে কিন্তু মাল্টিপল কাজ করছে।

তিনি বলেন, খুব বেশি চাপে আছে নিদিষ্ট আয়ের শহরের মানুষ। তাদের সহযোগিতার জন্য টিসিবিসহ অন্যান্য কর্মসূচি রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা চেষ্টা করছি, শহরভিত্তিক মানুষের আরও কীভাবে সহায়তা কতে পারি।

আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ডব্লিউটিওসহ বিভিন্ন জোটের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিগুলো করছি। ইউরোপীয় ইউনিয়নে কোটা ফ্রি, ডিউটি ফ্রি সুবিধা যাতে অব্যাহত থাকে সেই ব্যাপারে আমরা কাজ করছি। নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশের সঙ্গে দ্রুত কম্প্রেশনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ অ্যাগ্রিমেন্ট করবেন। চীনের সঙ্গে আমাদের স্টাডি সম্পন্ন হয়েছে। চীন একটি এফটিএ করার জন্য উদ্যোগী। আসিয়ান কান্ট্রিগুলোর সঙ্গেও আমাদের যোগাযোগ বৃদ্ধি করেছি।

ট্যারিফ কমিশনকে ঢেলে সাজানো হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা এলডিসি কান্ট্রি থেকে উন্নত দেশে যাবো ২০২৬ সালে। তখন কিন্তু আমরা আমদানিতে প্রতিবন্ধকতা রাখতে পারবো না। অন্যের বাজার পেতে চাইলে নিজেদের বাজার ওপেন করতে হবে। এজন্য ট্যারিফ কমিশনকে ন্যাশনালাইজ করতে হবে। কমিশনকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। ট্যারিফ পলিসি ২০২৩ ঘোষণা করছি। সেটা বাস্তবায়নে চেষ্টা করছি।

টিসিবিকে ফ্ল্যাগশিপ পণ্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) তৈরি করেছেন আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য করার জন্য। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য, ৭৫ পরবর্তী সময়ে টিসিবিকে আর রপ্তানি করতে দেয়নি। আমদানি করে ন্যায্যমূল্যের যে দোকানগুলো ছিল সেটাও সামরিক সরকার এসে বন্ধ করে দিয়েছে। এর ফলে যারা নিদিষ্ট আয়ের মানুষ তাদের কষ্ট হচ্ছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন , বাংলাদেশের টাকার বিপরীতে ৩৬ শতাংশ ডলারের রেট অবমূল্যায়ন হয়েছে । সেই ডলারের দাম যদি ৩৬ শতাংশ কমে যায় তা হলে আপনি গত বছরের দামে নিত্যপণ্য কিনতে পারতো ।

তিনি আরও বলেন , বাজারে আলু ও পেয়াঁজের দাম সহনীয় পর্যায় আছে । দাম যৌক্তিকতা করার যাচাই করার আমি কেউ না । যেকোনো পণ্যের দাম চাহিদা ও যোগানের ওপর নির্ভর করে বাজারের দাম নির্ধারণ করে। আমরা যদি সরবরাহ স্বাভাবিক করতে পারি তবে বাজারে দাম কমে আসবে । বাজারে আলু ও পেঁয়াজের কম দামে সরবরাহ না থাকলে  ততক্ষণ পর্যন্ত দাম বাড়তি থাকবে । বাজারে যে মূল্য আছে , সেই মূল্যটাকেই নিত্যপণ্যের দাম হিসেবে দেখতে হবে । এমন কোনো আইন করে বলতে পারবো না যে পেয়াঁজের দাম এতো । নিত্যপণ্যের দাম আমি নির্ধারণ করতে পারবো না , তবে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর হয়তো পারবে । কৃষি উৎপাদিত পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করা কোনো উপায় আমার জানা নাই । আমার জানা আছে , কৃষি উৎপাদিত পণ্য দাম যদি বেড়ে যায় তা আমদানি করে কম দামে সরবরাহ করলে অবশ্যই এই পণ্যের বাজার মূল্য কমতে সাহায্য করবে ।

সিন্ডিকেট নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন , আমি আমরা লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হলাম । আমার ইচ্ছা ছিল ,গত পাঁচ মাসে সিন্ডিকেট শব্দটি আর ব্যবহার করবো না। আপনি আবার শব্দটা নিয়ে আসলে। বাজারে কেউ সিন্ডিকেট করে নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে থাকে । সেই সিন্ডিকেটকে ধরতে অনেক আইন প্রয়োগকারী সংস্থা আছে , মজুদারি আইন আছে । এদের বিরুদ্ধে আমাদের ব্যবস্থা নিয়েছি , ভবিষ্যতে নিয়ে থাকবো । কেউ সিন্ডিকেট করে বাজারে অস্থিতিশীল করবে আমরা নীরব দর্শকের ভ‚মিকায় থাকতে পারি না । এই রকম অসহায়ত্ব গত ছয় মাসে আমি প্রকাশ করেনি । আগামীতেও এই রকম অসহায়ত্ব  প্রকাশ করবো না ।     

তিনি বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে পেরেছি। বিশেষ করে আমদানিকৃত দুটি পণ্য চিনি এবং তেল এ দুটির সরবরাহ ও দাম গত পাঁচ ছয় মাসে স্থিতিশীল আছে। আমাদের মন্ত্রণালয় বাজার পর্যবেক্ষণ ও মনিটরিং করে। আমাদের কাছে টুলস যে আছে তা হলো, আমদানি করে কিছু পণ্য সংগ্রহ করতে পারি। আমরা টিসিবিকে অনেক শক্তিশালী করেছি।

Logo

প্রধান কার্যালয়: ৬০৯০ ডাউসন বুলেভার্ড, নরক্রস, জর্জিয়া, যুক্তরাষ্ট্র।

ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন