কমছে রিজার্ভ, জুন শেষে আমদানি সক্ষমতা নামবে ২ মাসের নিচে!
দেশের বৈদিশিক মুদ্রার রিজার্ভের পতন অব্যাহত রয়েছে। গত এপ্রিল মাসে শেষে নিট রিজার্ভ কমে হয়েছে ১২ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার। ১০ মাস আগে ২০২৩ সালের জুন শেষে এর পরিমাণ ছিল ১৯ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার।
সোমবার (২৪ জুন) বাংলাদেশের অনুকূলে ঋণের তৃতীয় কিস্তি ছাড়ের অনুমোদন দেয় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। এর পরপরই বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে মূল্যায়ন প্রতিবেদন প্রকাশ করে সংস্থাটি। এই প্রতিবেদনেই এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদনে আভাস দেওয়া হয়, চলতি অর্থবছর শেষে নিট রিজার্ভ দাঁড়াতে পারে ১৪ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার, যা দিয়ে ১ দশমিক ৮ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে।
আইএমএফের মূল্যায়ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ শুধু গত ডিসেম্বর পর্যন্ত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি। এ ছাড়া বাকি সব শর্ত পূরণ করতে পেরেছে।
আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি ব্যালান্স অব পেমেন্ট বা বিপিএম-৬অনুযায়ী, গত ডিসেম্বর নাগাদ বৈদেশিক মুদ্রার নিট রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু বাংলাদেশের নিট রিজার্ভ ছিল ১৬ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছর শেষে বাংলাদেশের গ্রস ইন্টারন্যাশনাল রিজার্ভ (জিআইআর) দাঁড়াবে ১৮ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার, যা দিয়ে ২.৩ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে। তবে এই সময়ে আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তি পাওয়ায় রিজার্ভের পরিমাণ আরও কিছুটা বাড়বে।