কালো টাকা সাদা করতে ১৫% হার কোথা থেকে এল: প্রশ্ন বিনায়ক সেনের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯ জুন ২০২৪, ০৫:০৭ এএম
নগদ টাকা বিনা প্রশ্নে বৈধ বা সাদা করতে ১৫ শতাংশ কর ধার্যের বিষয়টি কোথা থেকে এসেছে, সেই প্রশ্ন তুলেছেন বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক বিনায়ক সেন। তিনি বলেন, বিভিন্ন কারণে বৈধ প্রক্রিয়াতেও কিছু টাকা অপ্রদর্শিত থেকে যায়। আমরা সেই অর্থকে প্রদর্শনের সুযোগ দেওয়ার পক্ষে। তবে এ জন্য বাজেটে সাধারণভাবে ১৫ শতাংশ কর ধার্যের বিষয়টি কোথা থেকে এল। নির্দিষ্ট হারে করের বিপক্ষে আমরা। কালো টাকার পরিমাণের ওপর ট্যাক্স নির্ধারণ করা হবে।
শনিবার (৮ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিআইডিএস কার্যালয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট ও বাংলাদেশের অর্থনীতির মধ্যমেয়াদি পরিপ্রেক্ষিত বিষয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বিনায়ক সেন। অনুষ্ঠানে সূচনা ও সমাপনী বক্তব্য দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিআইডিএসের গবেষণা পরিচালক মনজুর হোসেন, কাজী ইকবাল, মোহাম্মদ ইউনুস ও এস এম জুলফিকার আলী।
জাতীয় সংসদে গত বৃহস্পতিবার ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। বাজেট প্রস্তাবে আগামী জুলাই মাস থেকে ১৫ শতাংশ কর দিয়ে বিনা প্রশ্নে এক বছরের জন্য কালোটাকা সাদা বা বৈধ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বিনায়ক সেন বলেন, একদল বলছেন কোনো অবস্থাতেই কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া যাবে না। আবার আরেক দল বলছে, অবশ্যই এ সুযোগ দিতে হবে এবং তা ১৫ শতাংশ কর হারে দিতে হবে। আমাদের অবস্থান উভয় পক্ষের মাঝামাঝি।
তবে কালোটাকা সাদা করতে ১৫ শতাংশ কর হার বেঁধে দেওয়া কর সমতার খেলাপ বলে মনে করেন বিনায়ক সেন। তিনি আরও বলেন, ‘বৈধ প্রক্রিয়াতেও কিছু টাকা অপ্রদর্শিত থেকে যেতে পারে। কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময়েই এই অর্থ প্রদর্শনের সুযোগ দিতে হবে। সে ক্ষেত্রে টাকার পরিমাণের ওপরে করহার নির্ভর করবে। এটি কারও ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ, কারও ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ আবার কারও ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশও হতে পারে; কিন্তু এটাকে ১৫ শতাংশে স্থির রাখার বিপক্ষে আমরা।’