Logo
Logo
×

অর্থনীতি

প্রতিদিন ২৫০ কোটি টাকার সোনা ও হীরা পাচার হয়: বাজুস

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৪, ০৪:৫৮ এএম

প্রতিদিন ২৫০ কোটি টাকার সোনা ও হীরা পাচার হয়: বাজুস

বছরে অন্তত ৯১ হাজার কোটি টাকার স্বর্ণ ও হীরা পাচার হয়ে দেশে আসে। প্রবাসীদের বৈদেশিক মুদ্রার অপব্যবহার করে এই স্বর্ণ ও হীরা পাচার হয়ে দেশে আসে ধারণা করছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। তবে সোনা ও হীরার চোরাচালানের মূল হোতারা আড়ালে থাকে। ধরা পড়ে চুনোপুঁটিরা। 

আজ সোমবার বাজুস কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘জুয়েলারি শিল্পের চলমান সংকট ও দেশি–বিদেশি চোরাকারবারি সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন বাজুস সহসভাপতি রিপনুল হাসান।

সোনা ও হীরা চোরাচালান প্রতিরোধে বাজুসকে সম্পৃক্ত করে মনিটরিং সেল গঠনের দাবি জানিয়ে রিপনুল হাসান আরও বলেন, প্রবাসী শ্রমিকদের কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রার অপব্যবহার করে প্রতিদিন কমপক্ষে প্রায় ২৫০ কোটি টাকার অবৈধ সোনার অলংকার, সোনার বার, ব্যবহৃত পুরোনো জুয়েলারি ও হীরার অলংকার অবৈধভাবে বাংলাদেশে আসছে। বছরে টাকার অঙ্কে এর পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৯১ হাজার ২৫০ কোটি টাকা বা তার বেশি। 

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনার ফলশ্রুতিতে বাজুসের সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে। একদল দেশদ্রোহী, প্রতারক ও চোরাকারবারিদের জন্য এ অবস্থা। যেসব ব্যক্তি চোরাচালানের মতো ঘৃণিত ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ও দেশের সুনাম নষ্টকারী তাদের সঙ্গে বাজুস কোনো দিন আপস করেনি, এমনকি বাজুস আইনি ব্যবস্থা নিতে সর্বদা প্রস্তুত। 

রিপনুল হাসান আরো বলেন, ডলারের মাত্রাতিরিক্ত দাম ও সংকটসহ অন্যান্য বৈদেশিক মুদ্রার ঊর্ধ্বমুখী দাম এবং বেপরোয়া চোরাচালানের কারণে বহুমুখী সংকটে পড়েছে জুয়েলারি শিল্প। এ পরিস্থিতিতে সোনার বাজারে অস্থিরতা ছড়িয়ে দিয়েছে চোরাকারবারিদের দেশি–বিদেশি সিন্ডিকেট। কৃত্রিম সংকট তৈরি করে স্থানীয় পোদ্দার বা বুলিয়ন বাজারে সোনার দাম বাড়ানো হচ্ছে। চোরাকারবারিদের সঙ্গে সিন্ডিকেটের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। দেশে চলমান ডলারসংকট ও অর্থ পাচারের সঙ্গে সোনা চোরাচালানের সিন্ডিকেটগুলোর সুসম্পর্ক রয়েছে। 

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ৩০টি জেলার সীমান্ত সংযোগ। এর মধ্যে খুলনা বিভাগের ৬ জেলা—মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, যশোর ও সাতক্ষীরা জেলা সোনা চোরাচালানের নিরাপদ রুট হয়ে উঠেছে। ভারতে পাচার হওয়া সোনার বড় একটি অংশ এসব জেলার সীমান্ত দিয়ে যায়। 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাজুসের উপদেষ্টা রুহুল আমিন রাসেল, বাজুস কার্যনির্বাহী কমিটির সহসভাপতি ও বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন অ্যান্টি-স্মাগলিং অ্যান্ড ল এনফোর্সমেন্টের চেয়ারম্যান মো. রিপনুল হাসান, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।

Logo

প্রধান কার্যালয়: ৬০৯০ ডাউসন বুলেভার্ড, নরক্রস, জর্জিয়া, যুক্তরাষ্ট্র।

ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন