Logo
Logo
×

অর্থনীতি

কলিং ভিসা

মালয়েশিয়া যেতে পারেনি ৩০ হাজার কর্মী, ব্যবস্থা নিচ্ছে হাইকমিশন

Icon

প্রকাশ: ০১ জুন ২০২৪, ০৮:১৭ পিএম

মালয়েশিয়া যেতে পারেনি ৩০ হাজার কর্মী, ব্যবস্থা নিচ্ছে হাইকমিশন

বিমানের টিকেট পাননি। এ কারণে শেষ দিনে মালয়েশিয়া যেতে পারেননি প্রায় ৩০ হাজার কর্মী। আজ ১ জুন (শনিবার) থেকে দেশটির শ্রম বাজার অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এসব কর্মীদের ভাগ্য অনিশ্চয়তায় পড়েছে। তবে মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশি দূতাবাস দেশটির নিয়োগদাতা কোম্পানিগুলোর সঙ্গে কথা বলে সংকট সমাধানের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানা গেছে। 

জানা গেছে, দালালমুক্ত রাখতে কলিং ভিসায় বাংলাদেশসহ ১৪টি দেশ থেকে শ্রমিক নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশের অন্যতম শ্রমিক আমদানিকারক দেশ মালয়েশিয়া। স্থানীয় সময় ৩১ মে রাত ১২টা নাগাদ এসব কর্মীদের দেশটিতে প্রবেশের শেষ সময়সীমা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে বিপুল সংখ্যক কর্মীকে বিমানের টিকেট দিতে পারেনি।এ কারণে প্রায় ৩০ হাজার কর্মী দেশটিতে ঢুকতে পারেননি। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইট ছেড়ে গেলেও সব কর্মীকে নেওয়া সম্ভব হয়নি। 

এদিকে ভুয়া চাকরির লোভ দেখিয়ে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের নিয়ে যাওয়া নিয়ে আগে থেকেই ক্ষুব্ধ ছিল দেশটির সরকার। ফলে নির্ধারিত সময়ে দেশটিতে ঢুকতে না পারা কর্মীরা অনিশ্চয়তায় পড়েছে বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে হংকংভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট। 

সংবাদ মাধ্যমটি জানিয়েছে, আপাতত শ্রমিক নিয়োগ বন্ধ করে দেওয়ায় গত কয়েক দিনে মালয়েশিয়ায় গেছেন হাজার হাজার শ্রমিক। এর মধ্যে বেশিরভাগই বাংলাদেশি। গত কয়েক দিনে যেসব বাংলাদেশি শ্রমিক তাড়াহুড়া করে মালয়েশিয়ায় গেছেন তারা প্রতারণার শিকার হতে পারেন বলে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে ওই সংবাদে প্রকাশ করে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট। 

অ্যান্ডি হল নামের এক অধিকার কর্মীর বরাত দিয়ে পত্রিকাটি জানায়, ‘এসব শ্রমিকদের বেশিরভাগই আধুনিক দাসত্বের ঝুঁকিতে রয়েছেন। এসব শ্রমিক অবশ্যই ভুয়া চাকরিদাতা এবং ভুয়া চাকরির প্রতারণা ফাঁদে পা দিয়ে এসেছেন। যেগুলোর ব্যবস্থা করেছে দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তা, এজেন্সি এবং দালালরা।

এদিকে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ঘুষের অভিযোগ করেছেন জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা। উভয় সরকারের কাছে এ বিষয়ে তদন্ত, অপরাধীদের বিচার এবং নৈতিক নিয়োগের নীতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন তারা।

জাতিসংঘের চারজন স্বাধীন বিশেষজ্ঞের পাঠানো একটি চিঠিতে বলা হয়েছে, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরুই হয় দেশটির মানবসম্পদ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ঘুষ দেওয়ার মাধ্যমে। এই ঘুষ দিতে হয় ‘ভুয়া নিয়োগকর্তাদের জাল কোটা’ পাওয়ার জন্য।

চিঠিতে বলা হয়, ‘পরবর্তী সময়ে নিয়োগের অনুমোদন নিতে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি হাইকমিশন এবং বাংলাদেশি সিন্ডিকেট এজেন্টদের পর্যন্ত ঘুষ দিতে হয়। প্রবাসী কর্মীরা অভিবাসনের জন্য সিন্ডিকেটের কাছে উড়োজাহাজ ভাড়া, পাসপোর্ট ও ভিসার খরচ ছাড়াও প্রকৃত নিয়োগ খরচের চেয়ে অনেক বেশি ফি দিয়ে থাকেন।’

গত ২৮ মার্চ বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ায় পাঠানো জাতিসংঘের ওই চিঠিতে বলা হয়, অভিবাসীদের প্রতারিত করা হচ্ছে এবং জনপ্রতি সাড়ে চার থেকে ছয় হাজার ডলার পর্যন্ত নিয়োগ ফি নেওয়া হচ্ছে। যা ২০২১ সালে এই দুই দেশের মধ্যে সই হওয়া সমঝোতা স্মারকের (এমওইউ) খেলাফ। ওই এমওইউ অনুযায়ী, এই ফি হবে ৭২০ ডলার পর্যন্ত।

এদিকে টিকেট না পাওয়ায় যেসব কর্মী শেষ দিনেও মালয়েশিয়া ঢুকতে ব্যর্থ হয়েছে তাদের বিষয়ে দেশটিতে থাকা বাংলাদেশি হাইকমিশন কাজ করছে বলে জানিয়েছেন হাইকমিশনার শামীম আহসান।  

তিনি বলেন, ৫ লাখ ২৭ হাজারের বেশি ডিমান্ড লেটার সত্যায়ন করেছি। এ পর্যন্ত ৪ লাখ ৭২ হাজারের বেশি কর্মী মালয়েশিয়াতে এসেছে। আমরা নিয়োগ কর্তাদের সাথে যোগাযোগ রাখছি, তারা যেন প্রতিশ্রুত কাজে যোগদান করতে পারেন। বিভিন্ন জটিলতায় হয়তো তারা আসতে পারছেন না। কিন্তু আমাদের প্রচেষ্টা চলমান আছে।

Logo

প্রধান কার্যালয়: ৬০৯০ ডাউসন বুলেভার্ড, নরক্রস, জর্জিয়া, যুক্তরাষ্ট্র।

ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন