চলতি (২০২৩-২৪) অর্থবছর মাথাপিছু আয় বেড়ে ২ হাজার ৭৮৪ ডলার হয়েছে। গত অর্থবছর যা ছিল ২ হাজার ৭৪৯ ডলার। এ হিসাবে বছরের ব্যবধানে মাথাপিছু আয় বেড়েছে ৩৫ ডলার। বর্তমানে টাকার হিসাবে মাথাপিছু আয় ৩ লাখ ৬ হাজার ১৪৪ টাকা, যা গত অর্থবছর ছিল ২ লাখ ৭৩ হাজার ৩৬০ টাকা। ফলে এই প্রথম তিন লাখ টাকা ছাড়ালো মাথাপিছু আয়।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) সোমবার রাতে এ তথ্য প্রকাশ করেছে। বিবিএসের এই হিসাবে ডলারের দাম ধরা হয়েছে ১০৯ টাকা। যদিও ডলার এখন সরকারি দরে ১১৭ টাকা। ব্যাংক কেনা-বেচা করছে ১১৯-১২০ টাকায়। আর খোলা বাজারে দাম উঠেছে ১২৫ টাকা।
মাথাপিছু আয়ের হিসাবকে শুভংকরের ফাঁকি বলছেন অর্থনীতিবিদরা। তাদের মতে, গত এক বছরে শ্রমজীবী মানুষের মজুরি সেভাবে বাড়েনি। এ সময়ে দেশে কোটিপতিদের আয় বাড়লেও গরিবদের আয় বাড়েনি সেভাবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘মাথাপিছু আয় বৃদ্ধিতে ডলারের আগের দাম দেখানো হতে পারে। আবার বর্তমানে টাকার অঙ্কে কনভার্ট করলে বেড়ে যাবে। এটা শুভংকরের ফাঁকি।’
তিনি বলেন, ‘যেটা দেখানো হচ্ছে এটা প্রকৃত আয় নয়। প্রকৃতপক্ষে মানুষের আয় বাড়েনি, মজুরিও বাড়েনি। ফলে হিসাবটা মিলছে না। দেশে কোটিপতিদের সংখ্যা বেড়েছে। কোটিপতিদের আয়ের হিসাবে মাথাপিছু আয় বেড়েছে।’
মাথাপিছু আয় কোনো একজন ব্যক্তির ব্যক্তিগত আয় নয়। একটি দেশের ভেতরে এবং বাইরে থেকে যত আয় হয়, তা দেশের সব মানুষের মধ্যে ভাগ করে দিয়ে এই হিসাব করা হয়।