Logo
Logo
×

অর্থনীতি

বাজেট ঘোষণার আগে আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তি পাচ্ছে না সরকার

Icon

প্রকাশ: ২৪ মে ২০২৪, ০২:৫৩ এএম

বাজেট ঘোষণার আগে আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তি পাচ্ছে না সরকার

সরকার ৬ জুন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করবে। বাজেট ঘোষণার আগে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) তৃতীয় কিস্তির ঋণ পাওয়ার সম্ভবনা নেই বাংলাদেশের। আইএমএফের নির্বাহী বোর্ডের বৈঠকের ক্যালেন্ডার থেকে জানা যায়, এ মাসে বাংলাদেশের আইএমএফর তৃতীয় কিস্তির ঋণ কর্মসূচির অনুমোদনে নির্বাহী বোর্ডের বৈঠক হওয়ার সম্ভবনা নেই। কারণ গেভিন, সোমালিয়া , ল্যাকশনাবাগ দেশগুলোর বর্ধিত ঋণ সহায়তা ঋণ অনুমোদনের জন্য ২৯ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত আইএমএফ নির্বাহী বোর্ডের বৈঠক হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে বাংলা আউটলুককে বলেন, আইএমএফের শর্ত অনুসারে সরকার ডলারের দাম সাত টাকা বাড়িয়েছে। এখন ক্ষয়ে যাওয়া রিজার্ভ ১৩ বিলিয়ান দাঁড়িয়েছে। ফলে বাজারে দেশে ডলারের সংকটে আরো উসকে দিয়েছে। এ অবস্থা থেকে বাঁচতে হলে অবশ্যই আইএমএফের কিস্তির ডলার অতি দ্রুত ছাড় করা প্রয়োজন ।

তিনি আরো বলেন, দেশের আইএমএফের কিস্তি ডলার পেলে অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীরা ডলার নিয়ে এগিয়ে আসবে। দেশে উন্নয়ন সহযোগীদের ঋণ এবং সহায়তা প্রয়োজন রয়েছে।

গত ১৫ মে বাংলাদেশের গত দুই মাসের আমদানি বিল পরিশোধের পর ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ ১৩ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসে। এ খবর প্রকাশ হওয়ায় পরিস্থিতি আরো সংকটময় হয়ে ওঠার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে অনেকের মধ্যে। বাংলাদেশে ২০২১ সালের অগাস্টে সর্বোচ্চ রিজার্ভ ছিল ৪৮ বিলিয়ন ডলার। কোভিড মহামারি পরবর্তী সময়ে হুট করে আমদানি ব্যয় এবং অর্থ পাচার ব্যাপক বেড়ে গেলে রিজার্ভ কমতে শুরু করে।

ডিসেম্বর মাসে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১৪ বিলিয়ান ডলার শর্ত দিয়েছে আইএমএফ। একই সাথে সংস্থাটি ব্যাংকিং খাতের ঝুঁকি কমাতে অগ্রাধিকার দেওয়া এবং ২০২৫ অর্থবছরের মধ্যে বাস্তব সম্মত কর নীতি প্রণয়নের রাজস্ব বাড়িয়ে কর-জিডিপির অনুপাত  দশমিক ৫ শতাংশ বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছে।

বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিনিময় হারের বিষয়ে শক্ত পদক্ষেপ এবং একই সাথে ক্রলিং পেগ সিস্টেম চালুর কথা উল্লেখ করেছে আন্তর্জাতিক ঋণ দান সংস্থাটি। বাইরের বা মুদ্রাস্ফীতিজনিত চাপ বাড়লে কর্তৃপক্ষকে আরও শক্ত নীতি নেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছে তারা।

চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রকৃত জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৪ শতাংশ হতে পারে বলে উল্লেখ করে তারা বলছে ২০২৫ অর্থবছরে এটি ৬ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

গত দুই সপ্তাহে আগে আইএমএফ ঋণ কর্মসূচির আওতায় তৃতীয় কিস্তিতে বাংলাদেশকে ১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার সম্মতি দিয়েছিল। চুক্তিটি ওয়াশিংটনভিত্তিক ঋণদাতার নির্বাহী বোর্ডের অনুমোদন সাপেক্ষে হবে এবং মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে হবে বলে প্রত্যাশা করা হয়েছিল।

সেই সময় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইএমএফ জানিয়েছে, আইএমএফের একটি দল ইসিএফ/ইএফএফ/আরএসএফ ব্যবস্থাপনার আওতায় দ্বিতীয় পর্যালোচনা শেষ করতে প্রয়োজনীয় নীতিমালা নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে স্টাফ লেভেল চুক্তিতে পৌঁছেছে।

দ্বিতীয় পর্যালোচনা শেষ হলে এক্সটেন্ডেড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি (ইসিএফ)/এক্সটেন্ডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটির (ইএফএফ) আওতায় প্রায় ৯৩২ মিলিয়ন ডলার এবং রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটির (আরএসএফ) আওতায় প্রায় ২২০ মিলিয়ন ডলার পাওয়া পাবে বাংলাদেশ। অর্থাৎ বোর্ডের অনুমোদন পেলে বাংলাদেশ প্রায় ১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার পাবে।

ক্রিস পাপাজর্জিওর নেতৃত্বাধীন আইএমএফের মিশন টিম ১৫ দিনের বাংলাদেশ সফর শেষে তৃতীয় কিস্তির নিয়ে ৭ মে এ তথ্য জানিয়েছে। তাদের সফরকালে কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্যালোচনার প্রেক্ষাপটে অর্থনৈতিক ও আর্থিক নীতি নিয়ে আলোচনা করা হয়।

Logo

প্রধান কার্যালয়: ৬০৯০ ডাউসন বুলেভার্ড, নরক্রস, জর্জিয়া, যুক্তরাষ্ট্র।

ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন