Logo
Logo
×

অর্থনীতি

ইসলামী ব্যাংকে ঋণাত্মক ক্যাশ ফ্লো অব্যাহত

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ০৭:২২ পিএম

ইসলামী ব্যাংকে ঋণাত্মক ক্যাশ ফ্লো অব্যাহত

চলতি বছরের প্রথম তিন মাসের (জানুয়ারি-মার্চ) ব্যবসায় পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের ক্যাশ ফ্লো ঋণাত্মক হয়েছে ৭ হাজার ৫৮২ কোটি টাকা। গত আট মাস ধরে ঋণাত্মক ক্যাশ ফ্লো ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে । 

ক্যাশ ফ্লো ঋণাত্মক হওয়া মানে একধরনের নগদ অর্থের সংকট। ব্যাংক কোম্পানিতে স্বল্পসময় ক্যাশ ফ্লো কিছুটা ঋণাত্মক থাকলে সমস্যার হয় না। দীর্ঘমেয়াদে ক্যাশ ফ্লো ঋণাত্মক থাকলে বুঝতে হবে ব্যাংকটি সমস্যার মধ্যে পড়েছে।

গত বছর সেপ্টেম্বর শেষে ঋণাত্মক ক্যাশ ফ্লো ছিল ১ হাজার ৩০৯ কোটি টাকা। তার মানে গত আট মাসে ঋণাত্মক ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা। শতাংশ হারে বেড়েছে প্রায় ৪৭৩ শতাংশ।

ব্যাংকটির ধারের পরিমাণও কমে গেছে। মার্চ মাস শেষে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৭০৮ কোটি টাকায়। গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে যা ছিল ১৫ হাজার ৬১২ কোটি টাকা । 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইসলামী ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে কোনো টাকা না থাকা সত্ত্বেও লেনদেন পরিচালনা করছে; শুধু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা বা লাইফলাইন দিয়ে বেঁচে আছে।

গত জানুয়ারিতে বাংলাদেশ ব্যাংক পাঁচটি সংকট-কবলিত শরিয়াহ-ভিত্তিক ব্যাংককে ঋণ দেওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছে, যেগুলোর সবই চট্টগ্রাম-ভিত্তিক এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এর মধ্যে ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডও ছিল।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এই পাঁচটি ব্যাংকের সম্মিলিতভাবে গত ১৮ জানুয়ারিতে তাদের চলতি অ্যাকাউন্টে প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকার ঋণাত্মক ব্যালেন্স ছিল, যা তাদের সচল রাখার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরবরাহ করেছিল।

সেই ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত ইসলামী ব্যাংকের চলতি হিসাবে ঋণাত্মক ব্যালেন্স ছিল ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। 

এর আগে গত বছর ডিসেম্বর মাসে তহবিল সংকটের কারণে দেশের পাঁচটি শরিয়াহ-ভিত্তিক ব্যাংকের সাথে ইসলামী ব্যাংকের আর্থিক লেনদেন বন্ধ করা হয়েছিল। পরে অবশ্য খুলে দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংক এসব ব্যাংককে চিঠি দিয়ে বলেছিল, বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে এসব ব্যাংকের চলতি হিসাবের ব্যালেন্স দীর্ঘদিন ধরে ঋণাত্মক অবস্থায় রয়েছে। বারবার স্মরণ করিয়ে দিলেও ব্যাংকগুলো বিষয়টি সমাধানে কোনো উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংক এখন এসব ব্যাংককে চলতি হিসাবের নেতিবাচক অবস্থা সামঞ্জস্য করার জন্য ২০ দিন সময় দিয়েছিল।

অর্থনীতিবিদ এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, ইসলামী ব্যাংকের বিষয়ে খুবই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত যাতে তারা ঋণাত্মক অবস্থা থেকে উঠে আসতে পারে।

তিনি আরো বলেন, দেশের ব্যাংকিং খাতকে সচল রাখতে সবচেয়ে আগে বেসরকারি ব্যাংককে বাঁচানো উচিত।

Logo

প্রধান কার্যালয়: ৬০৯০ ডাউসন বুলেভার্ড, নরক্রস, জর্জিয়া, যুক্তরাষ্ট্র।

ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন