সব খরচ করতে না পারলেও ফের বড় আকারের এডিপি অনুমোদন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৭ মে ২০২৪, ১২:১৯ এএম
সরকারের সংশ্লিষ্টরা স্বীকার করেছেন, মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) মাত্র ৭০ শতাংশ খরচ করতে পারে। তবু সংশোধিত এডিপি থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা বৃদ্ধি করে আগামী অর্থ বছরের( ২০২৪-২৫) জন্য দুই লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের উন্নয়ন বাজেটের অনুমোদন করেছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি)। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে এনইসি সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২৪) বাজেটে এডিপির আকার ছিল দুই লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা। পরে তা সংশোধন করে ১৮ হাজার কোটি কমিয়ে করা হয় দুই লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা।
সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব সত্যজিত কর্মকার। এ সময় পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুস সালাম ও প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
সচিব বলেন, দুই লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার এডিপির মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে আসবে এক লাখ ৬৫ হাজার কোটি এবং বাকি এক লাখ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে বৈদেশিক ঋণ থেকে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে একদিকে উন্নয়ন বাজেটের আকার খুব বেশি বাড়ানো হয়নি, অন্যদিকে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে কষ্টে থাকা দরিদ্র মানুষের জন্য সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি বাড়ানো হয়েছে বলে জানান সত্যজিত কর্মকার।
তিনি বলেন, উন্নয়ন বাজেটের ৭০ শতাংশ খরচ করতে পারে সরকার। তাই দক্ষতা ও নজরদারি বাড়িয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন হার বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বিশেষ করে বৈদেশিক ঋণ ও সহায়তা নেওয়া প্রকল্পগুলো দ্রুত শেষ করতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানান পরিকল্পনা সচিব।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এ দিন এডিপি ছাড়াও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও করপোরেশনের জন্য ১৩ হাজার ২৮৮ কোটি টাকা বরাদ্দের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।বিগত বছরগুলোর মতো এবারও বিদেশি অর্থায়ন ও দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এডিপির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনায় সরকার খাদ্য নিরাপত্তা, কৃষি, কৃষি শিল্প, বিদ্যুৎ, শ্রম দক্ষতা ও দারিদ্র্য বিমোচনে অগ্রাধিকার দিয়েছে।
আগামী অর্থবছরের জন্য নতুন অনুমোদন পাওয়া এডিপিতে মোট প্রকল্প সংখ্যা এক হাজার ৩২১টি। এবার সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে, ৭০ হাজার ৬৮৭ কোটি টাকা। বিদ্যুৎ ও জ্বালানিখাতে বরাদ্দ ৪০ হাজার কোটি টাকা, শিক্ষাখাতে উন্নয়ন বরাদ্দ ৩১ হাজার ৫২৮ কোটি টাকা এবং স্বাস্থ্যখাতে প্রায় ২০ হাজার কোটি ৬৮২ কোটি টাকা।