Logo
Logo
×

কূটনীতি

বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিকাঠামো শক্ত করা নিয়ে আমি কেন মাথা ঘামাব: ট্রাম্প

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:২৫ পিএম

বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিকাঠামো শক্ত করা নিয়ে আমি কেন মাথা ঘামাব: ট্রাম্প

মার্কিন আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা ইউএসএআইডির বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিকাঠামো (পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ) শক্তিশালী করতে দেওয়া ২৯ মিলিয়ন ডলারের তহবিলের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, তিনি কেন বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশের পরিস্থিতি নিয়ে মাথা ঘামাবেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার মার্কিন অঙ্গরাজ্যগুলোর গভর্নরদের কর্ম অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার সময় ট্রাম্প অভিযোগ করেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিকাঠামো শক্তিশালী করতে ২৯ মিলিয়ন ডলার এমন একটি প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয়েছে, যার নাম কেউই শোনেনি। ২৯ মিলিয়ন ডলার! তারা চেক পেয়েছে। কল্পনা করতে পারো? তোমার একটা ছোট প্রতিষ্ঠান আছে, এখানে-ওখানে ১০ হাজার ডলার করে পাও, আর তারপর হঠাৎ যুক্তরাষ্ট্রের সরকার থেকে ২৯ মিলিয়ন ডলার পেয়ে যাও! ওই প্রতিষ্ঠানে মাত্র দুজন লোক কাজ করে। দুজন! আমি মনে করি, তারা খুব খুশি, খুব ধনী হয়ে গেছে। শিগগিরই তারা একটা নামকরা বিজনেস ম্যাগাজিনের কভারে চলে আসবে, কারণ তারা বেশ ‘সফল’!’

ট্রাম্প আরও বলেন, ‘২৯ মিলিয়ন বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিকাঠামো শক্তিশালী করতে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু ‘রাজনৈতিক পরিকাঠামো শক্তিশালী করা’ বলতে তারা কী বোঝায়? ২০ মিলিয়ন ডলার ‘রাজস্ব ফেডারেলিজম’-এর জন্য, ১৯ মিলিয়ন ডলার নেপালের ‘জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ’-এর জন্য, ৪৭ মিলিয়ন ডলার ‘এশিয়ায় শিক্ষার মান উন্নয়নের’ জন্য! এসব নিয়ে আমি মাথা ঘামাব কেন?’

সম্প্রতি মার্কিন ব্যবসায়ী ও টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্কের নেতৃত্বাধীন ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি (ডিওজিই) ঘোষণা দিয়েছে, তারা মার্কিন সরকারের বিভিন্ন সংস্থার ব্যয় পর্যালোচনা করছে। ডিওজিইর দাবি, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ‘কনসোর্টিয়াম ফর ইলেকশনস অ্যান্ড পলিটিক্যাল প্রসেস স্ট্রেনদেনিং’-এর জন্য ৪৮৬ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করা হয়েছে। যার মধ্যে ২১ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ ছিল ভারতে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য। ডিওজিইর এ তথ্য প্রকাশের পরই ভারতের পুরোনো বিতর্কটি নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছে।

এদিকে এ বিষয়টি নিয়ে ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিরোধী দল কংগ্রেস এবং ক্ষমতাসীন বিজেপি দুই দলই এটিকে ‘ভারতের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় বিদেশি হস্তক্ষেপ’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। তবে বিজেপি দাবি করেছে, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন তৎকালীন ইউপিএ সরকার ‘বিদেশি শক্তিকে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রবেশাধিকার সহজ করে দিয়েছিল।

ভারতে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে ২১ মিলিয়ন দিয়েছে ইউএসএআইডি, আমারও তো লাগবে: ট্রাম্পভারতে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে ২১ মিলিয়ন দিয়েছে ইউএসএআইডি, আমারও তো লাগবে: ট্রাম্প

বিজেপি নেতা অমিত মালব্য কংগ্রেসের সমালোচনা করে বলেছেন, ‘এটি নিশ্চিতভাবেই ভারতের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় বিদেশি হস্তক্ষেপ। কিন্তু এতে লাভবান হয়েছে কে? অন্তত ক্ষমতাসীন দল (বিজেপি) তো নয়! এই উদ্যোগ ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিদেশি সংগঠনের সিস্টেম্যাটিক অনুপ্রবেশের সঙ্গে যুক্ত।’

অন্যদিকে কংগ্রেসের মুখপাত্র পবন খেরা পাল্টা জবাবে বলেন, ২০১২ সালে এই অনুদান দেওয়া হয়েছিল, তখন কংগ্রেস সরকারে ছিল। তাহলে কি সরকার নিজের নির্বাচনী সম্ভাবনা নষ্ট করতে এ তথাকথিত ‘বহিরাগত হস্তক্ষেপ’ চেয়েছিল?

Logo

প্রধান কার্যালয়: ৬০৯০ ডাউসন বুলেভার্ড, নরক্রস, জর্জিয়া, যুক্তরাষ্ট্র।

ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন