Logo
Logo
×

কূটনীতি

সম্প্রতি ৪০ হাজার রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশে 'গভীর উদ্বেগ' প্রকাশ ঢাকার

Icon

ইউএনবি

প্রকাশ: ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:২১ পিএম

সম্প্রতি ৪০ হাজার রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশে 'গভীর উদ্বেগ' প্রকাশ ঢাকার

মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোতে সংঘাতের কারণে ৪০ হাজারের বেশি মিয়ানমারের নাগরিকের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। আজ বুধবার (১৬ অক্টোবর) বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত কিয়াও সোয়ে মোয়ে পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টার সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ করতে এলে উপদেষ্টা এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।  

তিনি জোর দিয়ে বলেন, 'উভয় দেশের জন্যই আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের ওপর জোর দেন। একই সঙ্গে মিয়ানমারে শান্তি ও স্থিতিশীলতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। সাক্ষাৎকালে তারা রোহিঙ্গাদের স্থায়ী প্রত্যাবাসনসহ দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।

হোসেন জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হওয়ায় দেশ দুটির দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমাধান করা দরকার।

অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারণে সৃষ্ট অসুবিধাগুলোর কথা স্বীকার করেন মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, ২০২৩ সালের নভেম্বরে আরাকান আর্মির যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের কারণে বাস্তুচ্যুতদের প্রত্যাবাসনে দেরি হয়েছে।

মিয়ানমার সরকার ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অংশীজনরা এ সংকট সমাধানে শিগগিরই গঠনমূলক সংলাপে বসবে বলে আশা প্রকাশ করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। মানব পাচার বৃদ্ধিসহ সীমান্ত পরিস্থিতির অস্থিরতা থেকে সৃষ্ট নিরাপত্তাবিষয়ক ঝুঁকিগুলো তুলে ধরেন তিনি।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়াতে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন উপদেষ্টা হোসেন। মিয়ানমারকে এ অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশদ্বার বলেও উল্লেখ করেন তিনি। আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগে বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করতে মিয়ানমারের সমর্থনও চান তিনি।

তারা দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য জোরদার, জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি এবং ঢাকা ও ইয়াঙ্গুনের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট পুনরায় চালুর বিষয়ে আলোচনা করেন। তারা দুই দেশের মধ্যে বর্তমানে আলোচনাধীন উপকূলীয় জাহাজ চলাচল চুক্তি চূড়ান্তকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

মিয়ানমারের রাখাইনে চলমান সংঘাতের মধ্যে সম্প্রতি সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে পালিয়ে আসার পর তাদের আশ্রয়, খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি তাদের প্রত্যাবাসন ব্যবস্থা করার জন্য বাংলাদেশের প্রতি তার সরকারের কৃতজ্ঞতা জানান রাষ্ট্রদূত কিয়াও সোয়ে মো।

Logo

প্রধান কার্যালয়: ৬০৯০ ডাউসন বুলেভার্ড, নরক্রস, জর্জিয়া, যুক্তরাষ্ট্র।

ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন