রুণীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ, নানা-নানিকে হত্যাচেষ্টা

নাজিম উদ্দীন।
চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার দক্ষিণ গাছবাড়িয়া নয়াপাড়া এলাকায় নৃশংস একটি ঘটনার অভিযোগ উঠেছে। বেড়াতে আসা এক তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে এক আত্মীয়ের বিরুদ্ধে। একই ঘটনায় তরুণীর নানা ও নানিকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলাকেটে হত্যাচেষ্টা করা হয়।
ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে। নিহত তরুণীর নাম আরজু আকতার (২০)। তিনি উপজেলার সওদাগর পাড়া এলাকার আনোয়ার হোসেনের মেয়ে এবং পটিয়া সরকারি কলেজের ছাত্রী ছিলেন।
অভিযুক্তের নাম নাজিম উদ্দীন (২৮)। তিনি আরজুর মায়ের খালাতো ভাই এবং সাতকানিয়ার খাগরিয়া মুন্সি বাড়ি এলাকার বাসিন্দা। তার পিতা মৃত সৈয়দ আহমদ।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশের তথ্যমতে, কয়েকদিন আগে আরজু বেড়াতে এসে তার নানা-নানির বাড়িতে উঠেন। বুধবার রাতে বাথরুমে যাওয়ার সময় নাজিম তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং পরে হত্যা করে বাথরুমেই লাশ ফেলে রাখে। তরুণীর চিৎকার শুনে তার নানা-নানি ছুটে এলে নাজিম তাদেরকেও ছুরি দিয়ে গলায় কুপিয়ে পালিয়ে যায়।
স্থানীয়দের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে আহতদের উদ্ধার করে চন্দনাইশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুজ্জামান জানান, “রাত আনুমানিক ৩টার দিকে এক সিএনজি চালক থানায় এসে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।”
তিনি আরও বলেন, “অভিযুক্ত নাজিম উদ্দীন পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”
এ ধরনের নির্মম ঘটনা সমাজকে নাড়িয়ে দেয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সমাজেরও উচিত এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিরোধ গড়ে তোলা।