রাজশাহীতে ট্রাক-বাস সংঘর্ষে ৩ জামায়াত নেতা-কর্মী নিহত, আহত অন্তত ৫০

রাজশাহী নগরের উপকণ্ঠ খড়খড়ি এলাকায় বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ট্রাক ও দুটি বাসের সংঘর্ষে তিনজন নিহত এবং অন্তত অর্ধশত জামায়াত নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
দুর্ঘটনাটি ঘটে রবিবার (৬ এপ্রিল) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে। সংঘর্ষের ফলে একটি বাস রাস্তার পাশের খাদে পড়ে উল্টে যায় এবং পানিতে ডুবে যায়। এতে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন—জুয়েল আহমেদ (৪০), নাসিম উদ্দিন (৪৫) এবং মিজানুর রহমান (৩২)। তিনজনেরই বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার রাণীহাটি ইউনিয়নের ঘোড়া পাখিয়া গ্রামে।
আহতদের মধ্যে ১৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনাস্থলে ছুটে যান রাজশাহী মহানগর জামায়াতের নেতারা। মহানগর জামায়াতের সাবেক সংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন সরকার জানান, দুর্ঘটনাকবলিত দুটি বাসে প্রায় ৯০ জন যাত্রী ছিলেন। সবাই চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার রাণীহাটি ইউনিয়ন শাখার জামায়াত নেতা-কর্মী ও সমর্থক। তারা একটি সফরে বেরিয়েছিলেন।
সফরের উদ্দেশ্য ছিল বাগেরহাটের ষাট গম্বুজ মসজিদ, পদ্মা সেতু এবং প্রয়াত জামায়াত নেতাদের—যেমন আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ কয়েকজনের—কবর জিয়ারত করা।
সফরের পথে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে বাস দুটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এর মধ্যে একটি বাস সড়কের পাশের খাদে পড়ে যায়, অপরটি গিয়ে ঢুকে পড়ে একটি দোকানে।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। উদ্ধার কাজে স্থানীয় জনতা ও জামায়াত-শিবির কর্মীরাও সহায়তা করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় নাসিম ও জুয়েল রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান এবং সোমবার সকালে মারা যান মিজানুর রহমান।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ফায়ার সার্ভিসের লিডার আরিফুল ইসলাম জানান, কীভাবে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে তা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিয়ার রহমান বলেন, “ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত চলছে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”