
বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সমুদ্রপথে ফেরি চলাচল শুরু হলো চট্টগ্রাম-সন্দ্বীপ রুটে। সোমবার সকাল সাড়ে ৮টায় চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ঘাটে এই ফেরি সেবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন এই সেবার উদ্বোধন করেন। এছাড়া বিদ্যুৎ, পরিবেশ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, শিক্ষা ও মৎস্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টারাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
সন্দ্বীপের চার লাখ বাসিন্দার দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ হলো এই ফেরি সার্ভিসের মাধ্যমে। মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপনের ফলে দ্বীপের মানুষজন সহজে যাতায়াত করতে পারবে।
সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া থেকে গুপ্তছড়া পর্যন্ত এই ফেরি চলাচল করবে। সকাল ৯টায় প্রথম ফেরি সন্দ্বীপের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
ফেরি চলাচলের জন্য নতুন সড়ক, পার্কিং এবং ফেরিঘাট নির্মাণ করা হয়েছে। আগে সন্দ্বীপবাসীদের স্পিডবোট ও ট্রলারে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হতো, যা দুর্ঘটনার কারণ হতো। নতুন ফেরি সেবা তাদের জীবনমান উন্নত করবে এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গতি আনবে।
এছাড়া ঢাকা-সন্দ্বীপ এবং চট্টগ্রাম-সন্দ্বীপ রুটে বিআরটিসির বাস পরিষেবা চালু হয়েছে। যাত্রীদের জন্য ১০০ টাকা এবং যানবাহনের জন্য ২০০ থেকে ৭১০০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে।
তবে বর্ষা মৌসুমে উত্তাল সাগরে ফেরি চলাচল করা সম্ভব হবে কিনা, তা নিয়ে কিছু উদ্বেগ রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা।