
হতাহতদের রায়পুরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে।
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চরাঞ্চলে দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে দুজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার ভোরে চাঁনপুর ইউনিয়নের মোহিনীপুর গ্রামে এই সহিংস ঘটনা ঘটে। পূর্ব বিরোধের জেরে দুই পক্ষ আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একে অপরের ওপর হামলা চালায়।
নিহতরা হলেন মোহিনীপুর গ্রামের খোরশেদ মিয়ার ছেলে আমিন মিয়া (২৩) এবং আবদুল বারিকের ছেলে বাশার মিয়া (৩৫)।
রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আদিল মাহমুদ বলেন, "সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এ ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন। তাদের লাশ রায়পুরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।"
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা খান নুরউদ্দীন মো. জাহাঙ্গীর জানান, "গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত দুই ব্যক্তির লাশ হাসপাতালে আনা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।"
স্থানীয় সূত্র বলছে, মোহিনীপুর গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ইউপি সদস্য সামসু মিয়ার সঙ্গে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালামের বিরোধ চলছিল। দুই পক্ষের মধ্যে প্রায়ই সংঘর্ষ হয়। এর আগে আবদুস সালাম পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে পরাজিত হয়ে এলাকা ছেড়ে চলে যান।
শুক্রবার ভোরে ঈদ সামনে রেখে তারা এলাকায় ফিরতে গেলে সামসু মিয়ার লোকজন বাধা দেন। এ সময় দুই পক্ষই আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে আবদুস সালাম পক্ষের দুজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম অভিযোগ করে বলেন, "গত ছয় মাস ধরে প্রতিপক্ষের হামলার ভয়ে আমার অনুসারীরা অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছিলেন। আজ তারা বাড়ি ফিরছিলেন, তখন সামসু মিয়ার লোকজন দেশীয় অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে আমার পক্ষের দুজন নিহত হন।"
সংঘর্ষের বিষয়ে ইউপি সদস্য সামসু মিয়ার মন্তব্য জানতে তার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এই ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।